somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফিল্ম

২৬ শে জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন বাংলা ফিল্ম ইন্ড্রাস্ট্রি আর বলিউডের মাঝে কোন তফাৎ আমি খুঁজে পাইনা । দুইটার দশা একই রকম । কেউই এখন আর গল্প খুঁজে পায় না । একই ধাচের ফিল্ম তৈরি করে যাচ্ছে একের পর এক । বাংলাদেশ যদি ইন্ডীয়ার মত বড় দেশ আর এডভান্স হত তাহলে আমরাও আজে বাজে ফিল্ম দিয়ে , কপি করে বলতে গেলে অনন্ত জলিলের ফিল্মও শত কোটী টাকার বিজনেস করতে পারত । তবে অবশ্যই সমালোচনার ঝর উঠত , কারণ বাঙ্গালিরা নিজেরদের জাতির সমালোচনা করতে পছন্দ করে । বাঙ্গালী বরাবরই নিজের শত্রু আর এরা নিজের উন্নতি কিভাবে হবে তা না ভেবে ভিনদেশের সাথে তুলনা করতে পছন্দ করে । কারণ বাংলাদেশীরা নিজেদের চেননা কিন্তু নিজেদের ছাড়া বিশ্বের বাকি সবকিছুই চিনতে এদের কষ্ট হয় না আর ভারত টিকে আছে আমাদের উল্টো স্বভাবের হওয়ার জন্য ।।।
এক কালে আমি খুব বাংলা ছবির ভক্ত ছিলাম । সময়টা ছিল ২০০০-২০০৬ সাল । এই ছয় বছরে প্রতি শুক্রবার একটি করে ফিল্ম দেখা হত । শুক্রবার মানে ছিল এক ধরনের উৎসবের মত । আমি থাকতাম এক অজপারা গ্রামে । আমার গ্রামে এখনো কারেন্ট যায় নি । আমার গ্রামের পাশাপাশি আরও ৪ টা গ্রাম রয়েছে । পাচটা গ্রামে বর্তমানে টিভি আছে ৪ টা । তাহলে বুঝে নিন ২০০০ সালে একটা টিভি মানে কতকিছু ছিল । সৌভাগ্যবশত তখন টিভিটা আমদের ছিল । তখন প্রতি শুক্রবারে রীতিমত আমাদের বাড়িতে ১০০-২০০ মানুষ জমে যেত । অবশ্য সবার সাথে ছবি দেখার মজাও ছিল অনেক ।।। তখন কার ফিল্মগুলাও ছিল তৎকালীন সমাজের জন্য উন্নত । তাই অনেক দেখতেও ভালো লাগত । তখনকার কিছুকিছু ফিল্ম দেখলে এখনো চ্যানেল বদলাতে ভুলে যাই । একটা ফিল্ম তো প্রায় মুখস্তের পর্যায়ে ছিল , " হাঙ্গর নদীর গ্রেনেড "।
২০০৬ সালে সিলেট চলে আসি । তখন থেকে ধিরে ধিরে হিন্দি ফিল্মের নেশা ধরে । বাংলা ফিল্ম তখন দু চোখের বিষ হয়ে দাড়ায় । কারণ একেত হিন্দি ফিল্মের ভালো ভালো কাহিনী আর দ্বিতীয়ত ছোট বেলায় যত বাংলা ফিল্ম দেখেছি পরবর্তি সময় ঐগুলার কাহিনীই একের পড় এক রিফাইন করা হয়েছে । মাঝে মাঝে যখন কিছু ভিন্ন ধরনের ফিল্ম তৈরি হয়েছে ঐগুলা দেখেছি । যেমন , " মনপুরা" টাইপ । কিন্তু হিন্দি ফিল্ম চলতে থাকে পুরু দমে । এখন আমার কাছে , হিন্দি ফিল্মের দশাও একই রকম হয়ে গেছে । কপি পেস্ট ছাড়া বলিউডে কোন ফিল্ম তৈরি হয় না । "KRRISH3" থেকে "DHOOM3" সব কপি প্যাস্ট । ২০১২ সাল থেকেই হিন্দি ফিল্মে বিতৃষ্ণা চলে এসেছে । বলিউডের ফিল্ম মেকার দের অবস্থা বাংলাদেশি ফিল্ম মেকারদের মতই হয়ে গেছে । কোন গল্প তারা খুঁজে পায় না তাই তামিল , ইংলিশ , কোরিয়ান ফিল্ম সবগুলা থেকে কপি মারতে মারতে ভরাই দিতেসে । তাই ২০১২ থেকে হিন্দি ফিল্ম দেখাও কমিয়ে দিয়েছি তবে হুমায়ুন আহমেদ আর ইন্ডীয়ার চেতান ভাগাতের গল্প থেকে তৈরি প্রিতিটা ফিল্ম আমি দেখি । তবে ইন্ডিয়ান বাংলা ফিল্ম আমি সচরাচর দেখে থাকি । পাগলু , ফাগলু টাইপ না অনেকটা রিতুপর্ন ঘোষের তৈরি ফিল্মের ধরনের ।।।।
২০১২ সাল থেকে ইংলিশ ফিল্মের দিকে ঝুকে পড়ি , এদের কথা আর কি বলার । এরা যে মাস্টার পিস এটাত সবাই যানে । কিন্তু কয়েকদিন আগে থেকে কোরিয়ান ফিল্ম দেখা শুরু করি । এক কথায় আমি হতবাক হয়ে গেছি । জানতাম না যে কোরিয়ানরা এত সুন্দর ফিল্ম তৈরি করে । অনেক ক্ষেত্রে তো কোরিয়ানরা হলিউডকেও ছাড়িয়ে গেছে । কোরিয়ান ফিল্ম যদি একবার দেখেন তাহলে এদের ফ্যান না হয়ে পারবেন না । এরা দর্শকের ইমোশন নিয়ে এত খেলতে পারে কি বলব । আপনাকে কাঁদিয়ে ছাড়বে এরা এইটা নিশ্চিত থাকেন । এত ইমশনাল অত্যাচার করে এরা । যদি এখনো কোরিয়ান মুভি না দেখে থাকেন তাহলে অনেক কিছুই মিস করেছেন ।
কোরিয়ান , " No Mercy" আর "Miracle in cell no.7 " এই দুইটা ফিল্ম দেখেই আমি কোরিয়ান ফিল্মের প্রেমে পরে গেছি । আশা করি আপনারও পরবেন ......
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ

লিখেছেন হাসান কালবৈশাখী, ০৩ রা মে, ২০২৪ সকাল ৮:০২

গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।


... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯


মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×