somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তীর্যক নীল
ভালবাসি মা, মাটি, দেশকে। ভালবাসি দেশের মাটির সাথে মিশে থাকা খেটে খাওয়া মানুষগুলোকে যারা মাটির বুক চিড়ে, মাথার ঘাম মাটিতে মিশিয়ে সোনা ফলান, বিদেশ থেকে কষ্টিার্জিত অর্থ বৈধভাবে দেশে পাঠান আর পোশাক শিল্পকে শিল্প হিসেবে বিশ্বে পরিচিতি ঘটান।nnnঘৃনা করি; ঐসব

নাস্তিক ও অবিশ্বাসীদের জয়জয়কার! ইসলামের মূলে বিষ!! পর্ব-১

১৩ ই সেপ্টেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় হ্যামফের(Hampher) নামক এক বৃটিশ গোয়েন্দার লেখা একটি ডায়রী জার্মানদের হস্তগত হয়। বিখ্যাত জার্মান পত্রিকা ‘ইসপিগল’ পরবর্তীতে ডায়রীটির লেখাগুলো ধারাবাহিকভাবে প্রকাশ করে। ঐ ডায়রী থেকে জানা যায়- খোলাফায় রাশেদিন যুগে প্রায় অর্ধ পৃথিবী ব্যাপি ইসলামের প্রসার লাভ করে, এটি কোনভাবেই খৃষ্টানগণ মেনে নিতে পারছেনা। আর তাই সকল খৃস্টান বিশেষজ্ঞগণ একত্রে মিলে এক মহা পরিকল্পনা গ্রহণ করে। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী খোলাফায়ে রাশেদীন যুগের অবসানের পর পরই পশ্চিমা গোয়েন্দারা ইসলামের বিরুদ্ধে এক গভীর ষড়যন্ত্রে মেতে উঠে। ডায়রী থেকে আরো জানা যায়, ঐ গোয়েন্দা হ্যামফের (Hampher) কে ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত করে, একটি বিশেষ মিশনে পাঠানো হয় মধ্যপ্রাচ্যে। সে প্রথমেই পৌঁছায় খোলাফায়ে রাশেদিনের কেন্দ্রস্থল ইস্তাম্বুলে। সেখানে সে মুসলমানদের মাতৃভাষা তুর্কি রপ্ত করে এবং মুসলমানদের সাথে নিয়মিত মসজিদে যাওয়া আসা শুরু করে। পরবর্তীতে সে ওখানকার এক ইসলামী নেতা আহমদ ইফেন্দীর নিকট আশ্রয় প্রার্থনা করে এই বলে যে, সে একজন এতিম, দুনিয়ায় তার আর কেউ নেই, কোন অর্থ সম্পদও তার নেই। সঙ্গত কারনেই আহমদ ইফেন্দী তাকে আশ্রয় দেন এবং তাঁর কাছ থেকেই ঐ গোয়েন্দা পরিপূর্ণভাবে কোরআন শিক্ষা লাভ করে। ওখানেই সে তুর্কি, আরবী, কোরআন ও শরীয়ত শিক্ষায় ব্যাপক সাফল্য অর্জন করে।

এরপর ঐ গোয়েন্দা দ্বিতীয় মিশন নিয়ে ইরাকের বস্রায় গমন করে এবং সাধারণ লোকদের সাথে ব্যাপক বন্ধুত্ব তৈরী করে। বস্রার এক বিশিষ্ট ব্যক্তির সাথে সে বন্ধুত্ব স্থাপন করে এবং তার ইসলামী জ্ঞানকে কাজে লাগিয়ে ঐ ব্যাক্তিকে ভুল পথে পরিচালিত করতে শুরু করে। অতঃপর ঐ গোয়েন্দা নিজেই একজন বিজ্ঞ আলেম সেজে ঐখানে একটি মাদ্রাসা খুলে বসে। তার ডায়রী থেকে আরো জানা যায় ঐ সময়টিতেই তার মতো আরো বহু এজেন্ট একইরকমভাবে বিভিন্ন মুসলিম অধ্যুশিত এলাকাগুলোতে মিশন শুরু করে। তারা ইসলামী চিন্তাবিদগণকে ভুল পথে পরিচালিত করতে শুরু করে, আবার ক্ষেত্র বিশেষে নিজেরাই বিজ্ঞ আলেম সেজে কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখার মাধ্যমে বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতে শুরু করে। তারা বহু মাদ্রাসা খুলে আরবী শিক্ষা দেওয়া শুরু করে এবং শিক্ষার সিলেবাসে এমন কিছু ভুল সুকৌশলে ঢুকিয়ে দেয়, যেন সকল মাদ্রাসা ছাত্রগণই ভুল ইসলামী শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে উঠে। তারা আরেকটি কাজ সুকৌশলে করতে সফল হয়, যা হচ্ছে- কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করে ইসলামে বিভিন্ন রকম কোন্দলের সৃষ্টি করে, যার ফলে ইসলামে বিভিন্ন দল ও উপদলের সৃষ্টি হতে শুরু করে।

তার ডায়রী থেকে জানা যায়, ঐ এজেন্টদের দুইটি প্রধান টার্গেট দিয়ে পাঠানো হতোঃ
 মুসলমানদের দুর্বল(বিশেষ করে জ্ঞানের) জায়গাগুলো খুঁজে বের করা।
 ঐ পথে তাদের দেহে প্রবেশ করা এবং তাদের জোড়াগুলোকে বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া।
এটিই শত্রুকে পরাজিত করার মূল পথ।

ঐ ডায়রীর বিষয়বস্তু বিশ্লেষণ ও পর্যালোচনা করে তাদের যে কর্ম পরিকল্পনা পাওয়া যায় তা নিম্নরূপঃ
 ইসলামের শত্রুরা, ইসলামের মূল জ্ঞানে ভুল ঢুকিয়ে মুসলমানদের ধ্বংস করার জন্য হাজার হাজার গোয়েন্দা হিজাজ(মক্কা-মদিনা), মিশর, ইস্তাম্বুল, ইরাক, ইরানসহ সকল মুসলিম দেশে পাঠিয়ে দেয়।
 ঐ গোয়েন্দাদের বৃটেনের এক গোপন মাদ্রাসায় আরবী শিখিয়ে কোরআন, হাদিস ও শরীয়া জ্ঞানে পারদর্শী আলেম হিসাবে তৈরী করা হয়, অথবা তারা কর্মস্থলে গিয়ে আরবী শিখে কোরআন, হাদিস ও শরীয়া জ্ঞানে পারদর্শী হয়ে আলেম বনে যায়।
 গোয়েন্দারা আলেম হিসাবে মুসলিম দেশ, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যে মাদ্রাসার প্রিন্সিপাল, ভাইস প্রিন্সিপাল, শিক্ষক, মসজিদের খতিব, শিশুদের আরবী গৃহ-শিক্ষক ইত্যাদি পদে চাকুরী নেয়।
 ঐ গোয়েন্দা আলেমরা মুসলিম দেশ, বিশেষ করে মধ্যপ্রাচ্যের মুসলিম বিশেষজ্ঞদের ধোঁকা দিয়ে কোরআন-হাদিসের ভুল ব্যাখ্যা করায় অথবা নিজেরাই বিশেষজ্ঞ সেজে ভুল ব্যাখ্যা দিতে শুরু করে।
 গোয়েন্দা আলেমরা মুসলমানদের সাথে মিলেমিশে মাদ্রাসা গড়ে তোলে।
 অতঃপর তাদের তৈরী করা ভুলগুলো বিভিন্নভাবে, বিশেষ করে মাদ্রাসার সিলেবাসে ঢুকিয়ে দিয়ে মুসলিম সমাজে ব্যাপকভাবে প্রচার ও গ্রহণযোগ্যতা পাওয়ার ব্যবস্থা করে দেয়।

ইনশা’ল্লাহ্ ষড়যন্ত্রের খুঁটিনাটি নিয়ে খুব শীঘ্রই লিখছি ২য় পর্ব।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জাম গাছ (জামুন কা পেড়)

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ০৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

মূল: কৃষণ চন্দর
অনুবাদ: কাজী সায়েমুজ্জামান

গত রাতে ভয়াবহ ঝড় হয়েছে। সেই ঝড়ে সচিবালয়ের লনে একটি জাম গাছ পড়ে গেছে। সকালে মালী দেখলো এক লোক গাছের নিচে চাপা পড়ে আছে।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×