somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মসজিদের পানি এবং এর শৌচাগার ব্যবহারে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করা কেন?

২৫ শে মে, ২০২২ দুপুর ২:৩২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শুধু ঢাকা নয়, বাংলাদেশের প্রায় সকল মসজিদের এই একই চিত্র। আমার প্রশ্ন হল মসজিদ আল্লাহ্‌র ঘর ইবাদতের স্থান সব ঠিক আছে। সেখানে কেউ দিবা ঘুম দিতে পারবে না এটা গ্রহণ যোগ্য (যদিও প্রায় প্রতিটি মসজিদেই গিয়ে দেখা যায় কিছু লোক অঘোরে ঘুমাচ্ছে)।
অথচ মসজিদের টয়লেট এবং পানি সকলের জন্য উন্মুক্ত হওয়ার কথা থাকলেও সেটা উন্মুক্ত থাকে কেবল মসজিদে নামাজ পড়তে আসা মুসল্লিদের জন্য।
কেন? এই প্রশ্নের উত্তরে যৌক্তিক অযৌক্তিক হাজারটা উত্তর শোনা যাবে। আমি সে তর্কে না গিয়ে বলব, মসজিদের শৌচাগার এবং পানি যদি সকলের জন্য উন্মুক্ত করা সম্ভব নাই হয় তাহলে নিশ্চয়ই সকলের দান গ্রহণ করাটাও সমীচীন নয়? অতএব এবার দানবাক্সে লিখে দিন কেবলমাত্র এই মসজিদের মুসল্লিদের দানই গ্রহণযোগ্য।
সেটা কি আপনারা পারবেন? আছে সে কি সৎসাহস ?
যদি তা না পারেন, যদি সেই সৎ সাহস না থাকে তাহলে মানবিক হন। মসজিদের শৌচাগার উন্মুক্ত করার সাথে মসজিদের পবিত্রতার কোন সম্পর্ক নেই। বরং সেটাই শোভন।
আমাদের ছোট দেশ বিশাল জনগোষ্ঠী তার উপরে শহরগুলোতে জনসংখ্যার চাপ অনেক বেশী। শহর গুলোতে প্রতিদিন নানা কাজে বাইরে থেকে মানুষ প্রবেশ করেন বেশির ভাগ লোকই প্রতিদিন এসে প্রতিদিন ফিরে যান। এর বাইরেও শহরের বাসিন্দারাও যারা প্রতিদিন বাইরে বের হন তাঁরাও যে কোন সময় যে কোন স্থানে শৌচাগারের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতে পারেন। কিন্তু আমাদের শহরগুলোতে পর্যাপ্ত গন শৌচাগার নেই আর তা করা সম্ভবও নয়। কিন্তু এই সমস্যার বিপরীতে এত সংখ্যক মসজিদ রয়েছে যে প্রতিটি মসজিদের শৌচাগার উন্মুক্ত করে দিলে খুব সহজেই তাদের এই সমস্যার সমাধান হয়ে যেত । প্রয়োজন কেবল স্বদিচ্ছা, মানবিকতা আর সুষ্ঠু পরিকল্পনা।

পূনশ্চঃ কয়েক মাস আগে সিরাজগঞ্জ শহরে গিয়ে দুপুর আড়াইটায় শহরের মধ্যে দুটি মসজিদ ঘুড়ে ওজু করতে না পেরে নামাজ পরতে পারিনি পরে ওখানকার বড় মসজিদে গিয়ে নামাজ পরি। শৌচাগার ব্যবহার তো দূরের কথা নামাজের ওয়াক্ত থাকতেই শৌচাগার এমনকি মসজিদ্গুলো পর্যন্ত আঁটকে দেয়া হয়! এ সব মসজিদ কমিটির সদস্যদের কি মাথায় গন্ডগোল আছে নাকি সেটাই বুঝতে পারি না।
মসজিদের খেদমতে ইমাম, মোয়াজ্জেন ছাড়াও প্রতিটি মসজিদে খাদেম আছে। তাদেরকে দ্বায়িত্ব দিন। মসজিদ ফজর থেকে শুরু করে এশার ওয়াক্ত পর্যন্ত খোলা রাখুন। মসজিদকে শো পিছ বানিয়ে রেখে কোন লাভ নেই। যে কেউ যে কোন সময়ে ইবাদতের জন্য আসতে পারবেন এর বাইরেও যে কোন অত্যাবশ্যকিয় প্রয়োজনে আসতে পারবেন সেটা নিশ্চিত করুন।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০২২ বিকাল ৪:৫২
৯টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডালাসবাসীর নিউ ইয়র্ক ভ্রমণ

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:৪৪

গত পাঁচ ছয় বছর ধরেই নানান কারণে প্রতিবছর আমার নিউইয়র্ক যাওয়া হয়। বিশ্ব অর্থনীতির রাজধানী, ব্রডওয়ে থিয়েটারের রাজধানী ইত্যাদি নানান পরিচয় থাকলেও আমার কাছে নিউইয়র্ককে আমার মত করেই ভাল ও... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×