somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আয়নার সামনে দাড়িয়ে দেখুন তো, সত্যিই মানুষ দেখতে পাচ্ছেন তো!

২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


শিক্ষকদের হাত থেকে বেত কেড়ে নিয়ে প্রথমবারের মত ছাত্রদের বেয়াদবির লাইসেন্স দেয়া হয়েছিল। আজ যে পরিণতি আমরা দেখতে পাচ্ছি সেটা হওয়ারই ছিল। যারা শিক্ষকদের কাছ থেকে ছাত্রদের শাসনের অধিকার কেড়ে নিলো। তাঁরা কিন্তু মানুষ হয়েছিল সেই শাসনের অধীনে থেকেই। তাহলে কি তাঁরা এখন নিজেদের অপদার্থ বলে জাহির করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করছেন? হয়ত তাই। অথবা পিটিয়ে মানুষ করার অপরাধে এখন ক্ষমতা হাঁতে পেয়ে শিক্ষকদের উপর প্রতিশোধ নিতে চাইছেন।

একবার ভাবুন তো আপনার সবথেকে কড়া মেজাজের যে শিক্ষক ছিলেন। যিনি সর্বদা হাঁতে বেত নিয়ে ঘুরতেন। যিনি ছিলেন একজন মূর্তিমান আতঙ্কের নাম। সেই তিনিই আপনার জানামতে কতজনকে পিটিয়েছেন ? খুব বেশী হবে না আমি নিশ্চিত। কারন ঐ সময়টা তো আমরাও পেড়িয়ে এসেছি। আর আমাদের স্কুলেও তেমন মূর্তিমান আতঙ্ক ছিলেন। যাকে এই কদিন আগেও পায়ে হাত দিয়ে সালাম করে এলাম। ওনারা আসলে পেটাতে নয় ভয় দেখিয়েই পথ দেখাতেন। আর খুব বেশী প্রয়োজন হলে দু একটি নিদর্শন রাখতেন যা সারা স্কুল ময় একটা জু জু'র সৃষ্টি করত। সম্ভবত সেটাও তাঁরা ইচ্ছে করেই করতেন যাতে ভয়েই ছেলেমেয়েরা সঠিক নিয়মে চলার চেষ্টা করে।

একটিবার খেয়াল করে দেখুন তো স্কুল জীবনের সেইসব মূর্তিমান আতংকদেরকেই কি এখন মহামানব বলে মনে হচ্ছে না? হচ্ছে, হবারই কথা। কারন আসলে তাঁরাই ছিলেন এক একজন ঘোর অন্ধকারে আলোকবর্তিকার মতন। যাদের অক্লান্ত প্রচেষ্টায় এ দেশ কিছু সূর্য সন্তান পেয়েছে। যারা আজ এ দেশটাকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন। অথচ সেই সব মানুষ গড়ার কারিগরদের কাছ থেকেই কিনা শাসনের অধিকার কেড়ে নেয়া হল! কেন নেয়া হল? চরম অপদার্থ না হলে কি করে এই কাজটা করতে পারল?
যারা এই কাজটি করেছেন, সত্যি বলছি আসলেই তারা অপদার্থ! এরা নিজেরা যেমন সন্তানদের শাসন করেন না ঠিক তেমনি শাসন করতেও দিতে চান না। কোনভাবেই এটা সন্তান বাৎসল্য নয় এটা চরম দায়িত্ব হীনতার পরিচয়। যা কেবল একজন অপদার্থের পক্ষেই করা সম্ভব।

আজ যখন শিক্ষকরা ছাত্রদের হাত থেকে বাঁচার জন্য আবেদন করে। যখন তাঁরা নিরাপত্তার দাবী নিয়ে রাস্তায় এসে দাঁড়ায় তখন কি আপনাদের লজ্জা করে না? করে না। যদি করত, তাহলে তো ঐ মানব বন্ধনে তাদের পাশে আপনিও গিয়ে দাঁড়াতেন। দাঁড়ান নি। নিজেদের একটু আয়নার সামনে গিয়ে দাড় করিয়ে দেখুন তো সেখানে মানুষ দেখতে পাচ্ছেন তো!

অবিলম্বে শিক্ষকের মর্যাদা ফিরিয়ে দিন। হ্যাঁ, সেটা ঐ ছাত্রদের পিটিয়ে মানুষ করার মধ্যেই বিদ্যমান। বিশ্বাস না হলে চোখ বুঝে একবার আপনার ছেলেবেলা থেকে ঘুরে আসুন। স্মৃতি রোমন্থন করার চেষ্টা করুন।

আর যদি শিক্ষকের মর্যাদা ফিরিয়ে দিতে না, পারেন তাহলে মনে রাখবেন আগামী দশ/ পনের বছর পর আমাদের এ দেশটা একটা অসভ্যের দেশে পরিণত হবে। তখন আপনারা মানে আজকের এই বাবারাও আর নিরাপদে থাকবেন না। অবশ্য সে নমুনা এখনই প্রতিনিয়তই দু চারটি করে দেখতে পাচ্ছি। যদিও তা সবাইকে চিন্তিত করে বলে মনে হচ্ছে না।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জুন, ২০২২ রাত ১০:২৭
৩টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার কিছু ভুল!

লিখেছেন মোঃ খালিদ সাইফুল্লাহ্‌, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮

১। ফ্লাস্কে চা থাকে। চা খেতে টেবিলে চলে গেলাম। কাপে দুধ-চিনি নিয়ে পাশে থাকা ফ্লাস্ক না নিয়ে জগ নিয়ে পানি ঢেলে দিলাম। ভাবছিলাম এখন কি করতে হবে? হুঁশ ফিরে এল।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×