আমরা প্রতিদিন অনাচার অবিচার দেখতে পারি, গড়হিসাব করে অপমৃত্যুর হিসাব নিতে পারি। টিভিতে মহারাণী মহারাজার মিথ্যাচার দেখতে পারি, নাচ গান দেখার ফাঁকে ফাঁকে আজানের বিরতি নিতে পারি।
গনমানুষের ভিরে চিহ্নিত বেশ্যাকে অপলকে গিলতে পারি। এইচডি ও থ্রিজি সেবার মাধ্যমে আমরা প্রতিদিন অজস্র মানুষের বিচার চাই বিচার চাই ও বিচারহীনতার নির্বাক শ্রোতাদর্শক মন্ডলী হয়ে পুরস্কারজয়ী সংবাদে নিজেদের কান্নায় হারিয়ে ফেলতে পারি।
আমরা সব মেনে নিতে পারি; জিয়া থেকে এরশাদ !
আমার মধ্যবিত্তের এই খুল্লামখুল্লাকে স্বাধিনতার ছবক হিসেবে নিতে পারি, আমরা কপিরাইট থেকে ফুলকপির দাম সব মেনে নেই। ত্বকির বাবা এখন একা একজন মানুষ তাও মেনে নিয়েছি আমরা, মেঘের জন্য মায়াকান্নাও মেনে নিয়েছি আমরা।
শিল্পের নামে যে ট্যানারি শিল্প গড়ে উঠেছে আমরা তাও মেনে নিয়েছি। আরজে, ভিজে ও হানি সিং আমরা মেনে নিয়েছি, বাসা ভাড়া, বাস ভাড়া, বাশের ভাড়া, বেশ্যা সহ সকল বাড়তি দর আমরা মেনে নিয়েছি।
একটার পর একটা পুকুরচুরির সংবাদ আসে আমরা অবাক হই আবার অপেক্ষায় থাকি আবার কখন অবাক হব। প্রতিদিন অবাক হওয়ার মতন সংবাদ আসে আমার অবাক হই আবার অপেক্ষায় থাকি নতুন করে অবাক হওয়ার!
আমরা মেনে নিয়েছে সব, আমলা থেকে কামলা, বিচারপতি থেকে কবি সকল নিন্দনীয় কর্ম কে আমরা মেনে নিতে নিতে নান্দনিকতায় রুপ দিয়েছি।
আজাদ থেকে অভিজিৎ, সুন্দরবন কিংবা মংলা, তাজরিন কিংবা রানা প্লাজা, আমরা সব মেনে নিয়েছি, মানিয়ে নিয়েছি।
আমাকে মাফ করবেন, আমরা আজও চুমু খাওয়া মেনে নিতে পারিনি। হে প্রান্তিক প্রেমিক যুগোল আপনাদের যারা কান ধরে উঠবস করিয়েছে তাদের প্রেমহীন হৃদয়ে প্রেমের জন্য দোয়া করুন!
থুথু দিন এ সমাজের মুখে আর চুমু খান, ভালোবাসুন।
ভালোবাসা।