দুধ আনার জন্য কিছু দিন আগে গেলাম আমার পাশের মহল্লার দুধের খামারে। দুধ দেওয়ার সময় এখনো হয়নি। ভাবলাম কি করা যায় সাথেই মসজিদ, একটু বসি। মসজিদে ঢুকতেই আমার পাশের বাড়ীওয়ালা এগিয়ে এলেন। ভদ্রলোক দীর্ঘ দিন সৌদীতে ছিলেন। দেশে এসেছেন বেশ কয়েক বৎসর। এখন তবলীগ করেন। দ্বীনের মেহনত করা কেন দরকার তা বিস্তারিত বলছিলেন। আমার বেশ ভালই লাগলো। ভদ্রলোকের সাথে আমার আইডিয়াও শেয়ার করা দরকার, তো আমি বললাম মহল্লার বাড়ীওয়ালারা ঠিক মত পানির বিল দেয়না, রিডারকে ম্যানেজ করে বিল কমায়, বিদ্যুৎ বিল দেয় না রিডারকে ম্যানেজ করে বিল কমায় (এখন অবশ্য প্রিপেইড), গ্যাসের ৫ চুলার পারমিশন, চুলা জ্বালায় ৮টা। হারাম পানি দিয়ে ওযু করে নামাজ পড়লে কি আল্লাহর দরবারে তা কবুল হবে? একথা বলার পর ভদ্রলোক তো রেগে আগুন, তুমি কিন্তু আমাকে ব্যক্তিগত আক্রমন করছ।
তাঁর কথাশুনে আমি অপ্রস্তুত হয়ে গেলাম। আমার ধারনাই ছিল না তিনিও একাজে যুক্ত। যে সুদ খায়, ঘুষ নেয়, চুরি করে, অন্যকে কষ্ট দেয়, তার মসজিদে আসার দরকার কি?
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে মে, ২০১৯ সকাল ১১:১৩