('মধুশালা' হরিবংশ রয় বচ্চন - এর প্রসিদ্ধতম কবিতা। এই বিখ্যাত হিন্দি কবি বলিউড অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন-এর বাবা)
অনুবাদঃ ভানু ভাস্কর
দু’এক ফোঁটা শরাব আশায় পানশালাটা খুঁজতে থাকো,
কোথায়? কোথায়? সে পানশালা খুঁজে কি আর মিলবে নাকো?
সব লোকে কয় এ পথ ধরো কিংবা অন্য পথের কথা,
কিন্তু মনের এই আহবান - ‘হাঁটতে থাকো মিলবে যথা।’
বন্ধু শোনো পিয়ালা ছেপে পড়তে থাকে কি শব্দে আজ,
যেন সে মদ ঘুঙুর জানে নৃত্য পাগল কুমারীর সাজ।
হয়ত আমি পৌঁছে যাব একটু দূরেই সে পানশালা,
বাতাস ঘ্রাণে কাঁপছে শোনো হাসির চমক প্রায় উজালা।
লাল শরাবের অভিশাপ নয় শিখরদেশের নয় ও লাভা,
জাত খোয়ানো হৃদয়ও নয় একটু শরাব, বুঝলো কেবা?
অতীত ভোলা দুঃখ যাহার ছোঁ মেরে দেয় মদের পাতে,
যে জন দুখের শোকেই হাসে সে-ই এসো এ পানশালাতে।
অন্তঃপাপের মন্ত্রনাবিষ পুড়িয়ে দিলো যে বন্ধুরা,
এবং দলে লোক দেখানো গীর্জা কি আর, কি মন্দিরা।
পুরুত এবং মোল্লাবেটার সংস্কারের নাক যে কাটে,
সেই মাস্তান আসতে পারো আমার রসের পানশালাতে।
তৃষ্ণাকাতর ঠোঁট আর ও মন, কিন্তু সে মদ চুমলো না হায়,
অনেক আশার পানশালাতে পাত্র ছেপে মদ গলে যায়,
সাকির হাতের পরশ সুখে ব্যর্থ হৃদয় ভরল না যার,
তার এ জীবন বৃথা-ই শুধু বৃথা-ই যাওয়া পানশালা তার।
(চলবে...)