গুরু, অলস বিকেলে চা খেতে যাই প্রতিদিন
সমবায় বাজারের মোড়ে, ঘুণ্টিঘরে।
আদা চা, রঙ চা, লেবু চা।
এই হিম হিম শীতে বেশ জমেছে গুরু। চল চল, আড্ডায় বসি।
বুঝলে গুরু, আট বছরের ভাঙা প্রেম, মেরিনার
নতুন হ্যাজবেন্ড সব জমে দই গুরু।
কলেজ ফেরত অপরিনত প্রেমীযুগল দেখে আফসোস হয়, শালা এই কি ভালবাসা? থুঃ থুঃ থুঃ চারিদিকের নগ্নতায় আমার চোখ বন্ধ হয়ে আসে।
প্রেমিক খুঁজে প্রেমিকার হৃদয়ের গভীরতা,
কোমর কিংবা বুকের নিচে, এই ফ্ল্যাটে সেই ফ্ল্যাটে।
আফসোস গুরু, একটাও রোমিও নেই এই আজব শহরে। তাজা ফুল দেখিনা কোন অবিবাহিত কিংবা বিবাহিত পুরুষের হাতে। ভালবাসার ঘরে তালা মেরেছে, আধুনিক রুপসী রাজশ্রী।
পাগলের মত ছুটে চলছে সবাই,
একবারও ভাবে না প্রেম কত মধুময়।
কত নিবিড় তার উষ্ণ লাজুক ঠোটের স্পর্শ।
ছুয়ে দেখবে নাকি গুরু?
যদি ছুঁয়ে দেখ তবে বাজি ধরে বলতে পারি, ওই রুপসীর ঠোটের ওম হার মানবেই।
নেগেটিভ লাল ঠোটের উষ্ণ আহবান,
হা হা হা গুরু, নেগেটিভ ছবির মতন।
গুরু জ্ঞান দিয়ে দিলাম, কিছু মনে করো না। হা হা হা!
কিছুক্ষন আমি অবাক চোখে তাকিয়ে রই ক্ষেপাটে এই প্রেমিকের চোখে। টকটকে লাল অদ্ভুত বাস্তব এক মায়া সেখানে। সে চোখের ঘন কাল মেঘের তাকিয়ে সেদিন আর আমি আকাশ দেখার প্রয়োজন মনে করিনি। বৃষ্টির মত ঝরঝরে ধারায় নেমে আসা অশ্রু আমাকে সে সুযোগ দেয় নি।
ছবিঃ গুগল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে আগস্ট, ২০১৮ সন্ধ্যা ৬:৪৭