somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

তিলোত্তমার কাব্য
নামে আর কিইবা আসা যায় তবুও বলছি ডাক নাম রওনক।রওনক অর্থ রোদ।আমি ১৯ বছরের এক তরুন যে কিনা তার ১২ বছরের কৈশরে ফীরে যেতে চায়।তাহলে হয়ত জীবনের অনেকগুলো ভুল করতাম না। ।ভালোবাসতে জানি না তাই ভালোবাসি না তবে একজনের স্বৃতি কিছুতেই মাথা থেকে তাড়াতে পারি না।বার

শেষ গল্প

১৪ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাঝে মাঝে কষ্ট গুলো এত গাঢ় থাকে যে দম আটকে বমি চলে আসে।
কি কষ্ট ?
যে কষ্ট বলা যায় সেটা কষ্ট না।
ও।
চা খাবেন?
না চা খাওয়া ছেরে দিয়েছি।
কখন ছারলেন?
সকালে।
এখনো দিন যায় নি।এক কাপ খেতে পারেন।
ওকে,দিতে বলুন।

আমার পাশে চৈতি বসে আছে।সে চায়ালার কাছ থেকে চা ও বেনসন সিগারেট নিচ্ছে।আমি চাইছিলাম তার সাথে আমার দেখা হোক।তার কাছ থেকে কিছু টাকা নিয়েছিলাম।এখন টাকাটা ফিরিয়ে দেব।
টাকাটা ফিরিয়ে দেওয়াটা ইম্পর্টেন্ট কারন আমার কাব্য জিবনের সমাপ্তি হতে চলছে।
তিলোত্তমাকে ফোন দেওয়া হয়েছে।সে আগামীকাল সকালে মগবাজার কাজী অফিসের সামনে অপেক্ষা করবে।
কাব্য জীবনের সমাপ্তি উপলক্ষে বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছি।যেমন বাসা থেকে হাসি মুখে বিদায় নিয়েছি।এই বিদায় মানে শেষ কাব্যিক বিদায়।বাসায় কারো কোনো পরিবর্তন লক্ষ করা যায়নি কেবল মা একটু কাঁদছিলেন।তবে আমাকে কিছু বলেন নি।আমার জীবনের ভাল খারাপ দিনগুলোর সৃতি কমলা সোয়টার পুরিয়ে ফেলা হয়েছে,সাথে তিলোত্তমার ফোন নাম্বার এবং এটা সেটা।যাকে পুরোপুরি পেয়ে যাচ্ছি তার সৃতি রাখার কোনো মানে নেই।

আমার চা খাওয়া শেষ।চৈতিকে টাকাটা দিয়ে উঠে পরলাম।যে টাকাটা নিয়েছিলাম তার কিছু বেশিই দিলাম।শেষ বিদায় উপলক্ষে বাসা থেকে বেশি টাকা দেওয়া হয়েছে।আমি জানি সে চাইলে তার জীবনটা বদলে ফেলতে পারে।ইচ্ছেটা তার উপর।আমি উঠে চলে যাচ্ছি সে আমার দিকে হ্যা করে তাকিয়ে আছে।কাব্যিক স্টাইল।

আমার বড্ড হাসি পাচ্ছে।আমি হাসছি এবং হাটছি।কেউ ফিরে তাকাচ্ছে না।সবাই সবার নিজ কর্মে ব্যাস্ত।
আমি মগবাজার কাজী অফিসের পাশেই একটা হোটেলে বসে বিরানি খাচ্ছি।কাচ্চি বিরানি।হেব্বী টেষ্ট।আমার পকেটে টাকা নেই।তিলোত্তমা না আসা পর্যন্ত পকেটে কোনো টাকা উঠছে না।জাভেদ ভাই খাওয়াচ্ছেন।আমার কাব্যিক জীবনের শেষটা তিনি সামনে থেকে দেখতে চান।আমাদের বিরানি খাওয়া শেষ।

এখন কোথায় যাবেন?
বাসা থেকে বিদায় নিয়ে এসেছি ত এখন আর বাসায় যাওয়া হচ্ছে না।
সে কি!বিয়ে করে কোথায় থাকবেন?
তিলোত্তমাকে টাকা নিয়ে আসতে বলেছি।বিয়ে করে বিশ্ব ভ্রমনে বের হব।
বাহ!ইন্টারেস্টিং তো!
রাইট জাভেদ ভাই!চলুন দোকানের ছাদে উঠে গল্প করি।
কি বলেন!আপনার কাব্যিক(উদ্ভট) জীবন না শেষ!
এখনো হয়নি ত,কাল ভোরে হবে।
আমি এবং জাভেদ ভাই মগবাজারের একটা দোকানের উপর বসে আছি।মাঝ রাত হবে।আকাশের জোচ্ছনা ছাদের মাটিতে পড়ছে।দোকানের বন্ধ শাটারগুলোতে নির্জনতারা প্রতিদ্ধন্নি করছে।মাঝে মাঝে দূর থেকে দু একটা কুকুর ডেকে উঠছে।জাভেদ ভাইয়ের হাতে হুইস্কির বোতল।আমার হাতে বিড়ি।এইমাত্র বদলাবদলি হল।

তিলোত্তমা যদি না আসে?
কলেজ থেকেই তিলোত্তমার কথা দিয়ে না আসার বদ অভ্যাস আছে,তবে আমি জানি কাল সে আসবে।
হুয়িস্কিতে কয়েক ডোক দিতেই আমার অকারনে হাসি পাচ্ছে।জাভেদ ভাই হাসছেন না।উনি শান্ত ভঙ্গিতে বসে রয়েছে।আমার হাসি দেখে ওনার আরো বেশি হাসার কথা।উনি আধা বোতল শেষ করেছেন।
হাসছেন না কেনো জাভেদ ভাই!
আমার হাসি আসছে না।
এখন থেকে নিয়ম করে হাসবেন,সকালে একবেলা দুপরে একবেলা।দেখবেন সব সময় হাসি পাবে।
উনি হেসে ফেললেন।
হাসতে হাসতে ভোর হয়ে গেল।আজকের নাস্তাও উনি করাবেন।ভাই ভাই হোটেলের নাস্তা।ফাস্ট ক্লাশ নাস্তা।
উনি আগেই চলে গেলেন।পকেটে হাত দিতে গিয়ে বত্রিশ টাকা পেয়েছি।তাই ভাবছি সেভটা করে নেওয়া দরকার।৪০টাকা হলে ভালো হতো।ফোম সেইভ করা যেত।
মোরের দোকান থেকে ক্লিন সেইভ করে আসলাম।ফ্রেশ ফ্রেশ লাগছে।
আমি জাভেদ ভাইয়ার সাথে বসে বসে নাস্তা খাচ্ছি।উনি মুখ পাংশু করে রেখেছেন।

ইচ্ছা ছিল আপনার কাব্যিক জীবনের শেষটা দেখে যেতে।এমুহূর্তে যেতে হবে।হটাত্‍ করেই জরুরি কাজ পরে গেছে।

ওকে জাভেদ ভাইয়া।আমার কাব্যিক জীবন এখানে এবং এ মুহুর্তে শেষ হচ্ছে।

বলার সাথে সাথে অদ্ভুত একটা আনন্দ অনুভূত হচ্ছে।সব কিছু ভালো লাগছে।নিজেকে মুক্ত মনে হচ্ছে।মুহূর্তটা বেনসনের সাথে সেলিব্রেট করা হল।
ভাইয়া বিদায় নিচ্ছে...
ভালো থাকিস লিপু।
আই উইল ভাইয়া।

আমি এখন মগবাজার কাজী অফিসের নিচে দারিয়ে আছি।সময় কাটতেই চাচ্ছে না।

দুপুর পর্যন্ত একটি ছেলেকে মগবাজার কাজী অফিসের নিচে দারিয়ে থাকতে দেখেছিল অনেকেই।কিন্তু তার পরে আর কেউ দেখেনি তাকে।সেদিন মেয়েটা ঠিকই এসেছিল।কিন্তু কাওকেই অপেক্ষায় পায় নি সে।মেয়েটা ছেলেটার বাসায় খোঁজ নিয়ে জানতে পারে সেখানেও নেই সে।মেয়েটার মনে ধারনা হয় ছেলেটা প্রতারক।কিন্তু ছেলেটার মনে কি ধারনা হলো তা আর জানা যায়নি কারন ছেলেটার আর খোঁজ পাওয়া যায়নি।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

লিখেছেন এস.এম. আজাদ রহমান, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪



বাংলাদেশের রাজনীতিতে নতুন ছায়াযুদ্ধ: R থেকে MIT—কুয়াশার ভেতর নতুন ক্ষমতার সমীকরণ

কেন বিএনপি–জামায়াত–তুরস্ক প্রসঙ্গ এখন এত তপ্ত?
বাংলাদেশের রাজনীতিতে দীর্ঘদিন ধরে একটি পরিচিত ভয়–সংস্কৃতি কাজ করেছে—
“র”—ভারতের গোয়েন্দা সংস্থা নিয়ে রাজনীতিতে গুজব,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×