রাজধানীর বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি বাসা থেকে গতকাল শুক্রবার রাতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। দুই শিক্ষার্থী হলেন হৃদয় ও নীরা। বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ডি ব্লকের ৬ নম্বর সড়কের ২০৪ নম্বর বাসার দোতলা থেকে তাঁদের লাশ উদ্ধার করা হয়।ওই বাসার ১বি নম্বর ফ্ল্যাটে হৃদয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঁচ শিক্ষার্থী ভাড়া থাকতেন। সন্ধ্যায় হৃদয়ের সঙ্গে দেখা করতে ওই বাসায় আসেন নীরা। নীরা হৃদয়ের কক্ষে ঢোকার পর দীর্ঘ সময় দরজা বন্ধ থাকে। এরপর কোনো সাড়াশব্দ না পেলে বাসার দারোয়ান কাশেমকে খবর দেন অন্য শিক্ষার্থীরা। রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্ষের দরজা ভেঙে সিলিংয়ের সঙ্গে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো দুজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে ভাটারা থানা-পুলিশ।
এখানে প্রশ্ন অনেক গুলা।
আত্বহত্যা কেউ সাধে করে না। আর এখানে জোড়া আত্বহত্যা। খুব সহজেই অনুমান করা যায় এখানে প্রেমঘটিত কোন ব্যাপার থাকলেও থাকতে পারে।
এবার আসি বিশ্লেষণে! ছেলেটির নাম হৃদয়। নর্থ সাউথের ৪র্থ সেমিস্টারের বিবিএ ডিপার্টমেন্টের ছাত্র। আমরা সাথে হালকা পরিচয় ছিল। জানতাম নর্থসাউথের এক মেয়ের সাথে কঠিন প্রেম আছে!
কিন্তু সেই প্রেমের মাঝে যে এত কস্ট লুকিয়ে ছিল সেটা জানতাম না, আরো জানতাম না সে প্রেমের জন্যই তাকে জীবনটা দিতে হবে!
বন্ধু-বান্ধব সুত্রে জানা গেছে নীরার সাথে প্রেমের সম্পর্ক নাকি তাদের উভয়ের পরিবার থেকে চরম ভাবে উপেক্ষিত হয়েছে। শুধু তাই না, তাদেরকে একরকম বাধ্য করা হয়েছে আলাদা হতে। কিন্তু সত্যিকারের প্রেম কি আলাদা করা যায়? ফলাফল হিসেবে তারা এই জীবনে এক সাথে থাকতে না পারার বেদনা, একসাথে মরার মাধ্যমে পোষাতে চেয়েছে!
আপনি দায় কাদের দিবেন? আমার মতে এই মৃত্যুর জন্য দায়ী ওদের ফ্যামিলি। কি ক্ষতি হত ওদের ভালবাসা মেনে নিলে?
আমি জানি আত্বহত্যা করা মহাপাপ। শুধু বোকারাই আত্বহত্যা করে। আবার কেউ সামনে-পিছে কোন পথা খুজে না পেলেও আত্বহত্যা করার কথা মাথায় আনে ! ওরাই ভাল জানে ওরা কতটা কস্ট নিয়ে গলায় ফাস নিয়েছে !
অনুরোধ একটাই, এইরকম বোকামী আর কেউ করিস না! সত্যি কস্ট লাগে!
ভালো থাকিস, হৃদয়! ভাল থেকো, নীরা!