অনেকদিন পর আজ ফেসবুকে বসলাম।
বসেই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের এক বন্ধুর স্টাটাস পড়তেই চোখ আটকে গেলো।
সাথে সাথে ওকে ফোন করলাম, ওর মনের অবস্থাটা জানার চেষ্টা করলাম, সত্যিই খুব দু:খজনক ঘটনা। এমনটা হওয়া কখনো প্রত্যাশিত নয়।
নিচে ওর ফেসুবক স্টাটাসটি শেয়ার করলাম.......
(আজ আমি হিন্দু মৌলবাদের শিকার হলাম। আজ পুবাইলে আমার লেখা নাটক ‘বিলাসীর দ্বিতীয় অধ্যায়’-র শুটিং ছিল।নায়িকা তমালিকা কর্মকার শুটিং করতে এসে অভিনয় না করেই ফিরে গেছেন।
‘বিলাসীর দ্বিতীয় অধ্যায়’ নাটকটি শরৎ চন্দ্রের ‘বিলাসী’ গল্পের কাহিনীর মতো একটি সত্য ঘটনা অবলম্বনে রচিত।কিন্তু নাটকটি একটি হিন্দু পরিবারের নারীর পরকীয়া, অসম সম্পর্ক তুলে ধরেছে বলে এই গোঁড়া হিন্দু প্রতিক্রিয়াশীল অভিনেত্রীর আঁতে ঘা লেগেছে।
একটি হিন্দু পরিবারে পরকীয়া কিংবা বহুগামিতার মতো ঘটনা ঘটতে পারে, তা তমালিকা বিশ্বাসই করেন না। একটি হিন্দু পরিবারের গল্পে অসম বয়সী পরকীয়া ও বহুগামিতার ঘটনা থাকায় শুটিং স্পটে গিয়েও আমার নাটকে অভিনয় না করে ঢাকায় ফিরেছেন তিনি।
উল্লেখ্য, বেশ আগেভাগেই তাকে নাটকের স্ক্রিপ্ট পড়তে দেওয়া হয়েছিল। তিনি স্ক্রিপ্ট পড়ে এই নাটকে অভিনয় করতে রাজি হয়েছিলেন। এমনকি আজ সকালে প্রয়োজনীয় কস্টিউম ও প্রস্তুতি নিয়ে তমালিকা শুটিং স্পটে উপস্থিত হয়ে ছিলেন। হঠাৎ তিনি জানান, নাটকে বিতর্কিত নানা বিষয় থাকায় তিনি অভিনয় করবেন না। যদিও তার এই অভিযোগ সম্পূর্ণ অমূলক এবং শিল্পবোধের ঘাটতির ইঙ্গিতবাহী। অথচ সপ্তাহখানেক আগেই তিনি স্ক্রিপ্ট পড়ে অসম্মতি জানাতে পারতেন। শেষ পর্যন্ত তমালিকার অসম্মতিতে শুটিং না করেই টিম নিয়ে আমাদের ফিরতে হলো।
আরো উল্লেখ্য, এই নাটকে অভিনয় না করে শুধু শিডিউল ফাঁসিয়েই তিনি ক্ষান্ত হননি। আমার বিরুদ্ধে, আমার নাটকের বিরুদ্ধে তিনি নানা ক্ষমতাধর মহলে মিথ্যা অভিযোগ করছেন।)