ধর্ষকদের বিচার অনেকেই চায়।বিচার চাহনে ওয়ালাদের মধ্যে এমনও লোক আছে -কোন মেয়ে তাদের রিপ্লাই না দেওয়ায় দুই দিনে মাগী সন্মোধোন করেছে,তিন দিনে পর্ণস্টারদের ছবি ও চার দিনে নিজের ডিক পিক পাঠাইয়া হ্যারাস করসে।কিন্তু রেইপ ভিক্টিমদের পূণর্বাসনের বিষটা গুরত্ব ধর্ষকের বিচারের মতই সমান।অথচ এই বিষয়টা চাপা পড়ে থাকে।সানি লিওনও রেইপ ভিক্টিম।তার পূণর্বাসন হয়নাই সামাজিক ধর্ষনের কারণে।ক্ষুব্ধ হয়ে তিনি তার সাবেক পেশায় যান।সামাজিক ধর্ষণ রেইপ ভিক্টিমের দোষ খুজে তাকে সমাজ থেকে একঘরে করে রাখে। আমাদের হাজার বছরের মহান সংস্কৃতি তার ঐতিহ্য বজায় রাখে অপরাধীদের পক্ষে থাকবে। মেয়ের পোশাকে দোষ না পাইলে তার চরিত্র নিয়া থিসিস করব,রিলেশন নিয়া করব,রাত কয়টায় বাইরে ছিল ইত্যাদি ইত্যাদি।
এইসব কাঠ মোল্লা তালেবর দুচির ভাইরা ভিক্টিমের চরিত্রে কোন খুঁত পাইলে পাংখা।কিন্তু,কেউ সারটেন প্রফেশন,পোশাক পরলেই,হারাম রিলেশন থাকলেই কি রেপ করা হালাল হয়ে যায় >_< ?ইসলামে এমন অনুমতি কোথায় দিসে ??
কিউরিয়াস মাইণ্ডস ওয়ান্টস টু নো পোডেফাইল,হিজাব ফেটিশওয়ালা রেইপিস্টদের ব্যাপারে এই সব কাঠ মোল্লা দুচির ভাইদের ব্যাক্ষা কি?
পুরা করাপ্ট সিস্টেমে আর একজন বলি হলেন।ন্যায় বিচারের আশাকরে আর আশাহত হতে চাইনা। তনু আপু মরে গিয়ে ভালো করেছেন।তিনি সামাজিক ধর্ষণের স্বিকার হন নি।তার ছবি ভাইরাল হয়েছে, বেচে থাকলে তিলে তিলে মরণ যন্ত্রণা সহ্য করতেন।তার বিয়ে না হবার সম্ভাবনা প্রবল ছিল। একঘরে হয়ে থাকতেন।অথবা, গ্রাম্য শালিশ তাকে দোষী সাব্যস্ত ধর্ষকের সাথে বিয়ে দিয়ে ''ন্যায়বিচারের'' ধারা বজায় রাখত।কারণ তিনি সমাজের চোখে ''নষ্টা'' হয়ে গেছেন।
ব্লগে যতই চিল্লাইনা কেন,অনেস্টলি আমার নিজের এমন সাহস নাই যে সমাজকে পাশ কাটিয়ে এমন ''নষ্টা'' মেয়েকে নিজের বউ হিসেবে গ্রহণ করব।তবে অন্তত এই সাহস আছে যে সমাজের ''রেইপ ভিক্টিমরা নষ্টা'' ধারণার প্রকাশ্যে বিরোধিতা করার।