somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঙালীর তৈল মর্দন প্রিয়তার মনস্তাত্বিক বিশ্লেষণ।

১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


স্কুলে পড়ার সময় আমরা ঐকিক নিয়মের একটা অংক করিতাম এবং সেটি পরীক্ষায় প্রায় আসিত। তাহা হইল-
একটি বানর একটি তৈলাক্ত বাঁশ বাহিয়া ১ম মিনিটে ৫ ফুট উপরে উঠিল আর তার পরের মিনিটে ৪ ফুট নিচে নামিয়া যায়। বাঁশটির উচ্চতা ১০০০ হাজার ফুট হইলে বাঁশটির মাথায় উঠিতে বানরটির কতো সময় লাগিবে?

তৈলের প্রতি আমার সবসময় একটা অনিহা ছিল। তৈল জাতীয় পিঠা আমার পেটে হজম হইত না। মাথায় এবং শরীরে কখনো তৈল মেখেছি বলিয়া মনে পড়ে না। কাহারো মাথায় তৈল দেওয়া দেখলে আমার শরীরে শির শিরানি অনুভুতি হইত। তাই এই অংকটি সমাধান করিতে গেলে আমার সেরকম অনুভুতি হইত। মনে হইত আমার হাত যেন তৈলে ভরিয়া গিয়াছে। কলমখানা বুঝি পিছলাইয়া পড়িয়া যাইবে। আরো একখান কষ্ট হইত যে, বানর তো স্বইচ্ছায় এরকম কর্ম
করিত না। অবশ্যই তাহার পশ্চাৎ দেশে কেহ একজন সজোরে আঘাত করিত আর সে তাহা সহিতে না পারিয়া অনিচ্ছা সত্ত্বেও ঐ তৈলাক্ত বাঁশে ‍উঠিবার কসরত করিত। আহা বানর! বঙ্গ দেশে তোমার জন্ম হইয়াছে বলিয়া এরকম খেলা খেলিয়াছে। ইউরোপ আমেরিকায় হইলে তোমাকে নিয়া নানা গবেষণা করিত। এইডসসহ নানা রোগের টিকা আবিষ্কার করিয়া তোমার উপর পুন: পুন: প্রয়োগ করিত। তবুও তৈলাক্ত বাঁশ বাহিয়া উঠার চেয়ে মানব জাতির কল্যানে নিজেকে উৎসর্গ করা মনে হয় অনেক মহৎ হইত।
এখন কথা হইল বানরতো তৈলাক্ত বাঁশ বাহিয়া উপরে উঠিল। কিন্তু বাঁশে তৈল মর্দন করিল কে? আমরা। আমরা সেই ছোট বেলা থেকে বাঁশে তৈল মর্দন করা শিখিয়াছি। তা বড় হইয়া ভুলিতে পারি নাই। তাই যখনই সুযোগ পাই সেই শিক্ষাটাকে কাজে লাগাই। আর এভাবে বাঙালির তৈল মর্দন চর্চা চলছে।

ইদানিং শিশু শ্রেণির পাঠ্য পুস্তকে ছাগলে গাছে উঠিয়া আম খাওয়া ছবি সংযুক্ত হইয়াছে। তাহাতে জাতি উপর ইহার কি প্রভাব পড়িবে তাহা আপাতত বলিতে পারিব না।
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই জুলাই, ২০১৭ সকাল ৯:১১
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দ্যা এডামেন্ট আনকম্প্রোমাইজিং লিডার : বেগম খালেদা জিয়া

লিখেছেন ডি এম শফিক তাসলিম, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০৪

১৯৪৫ সালে জন্ম নেয়া এই ভদ্রমহিলা অন্য দশজন নারীর মতই সংসার নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন, বিয়ে করেছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের অন্যতম সুশাসক শহিদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান কে! ১৯৭১সালে এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

×