"পৃথিবীতে যে কোন ভাষার চেয়ে দূর্বোধ্য ভাষা হল একটা মেয়ের ভাষা।একটা মেয়ের মুখের ভাষা, চোখের ভাষা সে ছাড়া সম্ভবত আর কেউই বোঝে না।
প্রচন্ড জ্বরে পুড়তে থাকা একটা মেয়ে কখনোই মুখ ফুটে বলবে না তার কপালটায় হাত রাখতে। খুব আগ্রহী হয়ে ছেলেটা কপালে হাত রাখলেই সে খুবই বিরক্ত হয়ে হাত সরিয়ে দিবে, ছেলেটা ভয় পাবে।সে ভাববে, অমন করে হাত রাখাটা মেয়েটা হয়তো পছন্দ করছে না। সেই ভাবনাটা ভীষণ ভীষণ ভুল।
প্রচন্ড বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিপাগল মেয়েটা কখনোই বলবে না, "চলো আজকে ভিজি" ইচ্ছের বিরুদ্ধে এক রকম জোর করেই সে ছাতা মেলে ধরবে। ছেলেটা ছাতাটা বন্ধ করতে চাইলেই সে রাগী রাগী চোখে তাকাবে।সেই রাগী চোখের চাহনি দেখে ছেলেটা দমে যাবে।আর ভিজতে চাইবে না।
শক্ত করে তার হাতটা ধরতে চাইলে সে কিছুতেই হাতটা স্পর্শ করতে দিবে না। ভীতু ছেলেটা দ্বিতীয়বার আর হাত স্পর্শ করার চেষ্টা করবে না।চুপ করে বসে থাকবে, অথচ সে যদি আর একটাবার চেষ্টা করতো, মেয়েটা আর বাঁধা দিতো না।
প্রশ্ন আসে, "দরকারটা কি এমন যুক্তি ছাড়া কাজ করার ?? মেয়েটা যা চায়, তা সরাসরি বললেই তো পারে।প্যাঁচ কেন ??"
পৃথিবীর সবকিছু যুক্তি মেনে চলে না।এই ব্যাপারটাও আসলে তেমন।আবেগের ভাষা সবসময় প্রকাশ করতে ইচ্ছে হয় না। মেয়েটা চায়, তার জন্য কেউ একটুখানি বেশি ইফোর্ট দিক।কেউ একটু দ্বিতীয়বার বুঝার চেষ্টা করুক। কেউ একটু মনের ভাষাটা পড়ার চেষ্টা করুক। কেউ একটাবার চোখের দিকে তাকিয়ে প্রমাণ করে দিক, সে আলাদা, সে অন্যরকম।
বেশিরভাগ ছেলেই ভুল করে, মেয়েটার ভাষা পড়তে, মেয়েটার ভাষা বুঝতে। রাগী রাগী চোখের "না" টুকুই সে বুঝে নিয়ে ফিরে যায়।রাগী রাগী চোখ দুটোর দিকে এক মূহুর্ত তাকিয়ে থেকে সেই টলমলে চোখের গভীরে উষ্ণ অভিমানের চাদর জড়িয়ে সযত্নে লুকিয়ে রাখা "হ্যাঁ" টাকে সে একদমই বুঝতে চায় না, একদমই খুঁজতে চায় না। "