১. বাবার সাথে আমার দেখা হওয়ার সময়টা ৬ পূর্ন হবে এ বছরের সেপ্টেম্বরই। এ দীর্ঘ সময়টাতে আমি বলবনা সবসময় আমার মনে পড়েছে উনাকে। ২০১২ এর সেই রমজান ঈদে বুক মিলিয়েছি আমি আর বাবা। আমি চেষ্টা করি একটা বার মনে করার দিনে অন্তত। আমি চেষ্টা করি দুপুরে যখন ঘুমাই ইদানিং মনে করার লুকিয়ে আস্তে আস্তে বাবার পাশ থেকে উঠে ফতেহ কিংবা রকির কথায় ব্যাট নিয়ে স্কুল মাঠ খেলার জন্য দৌড় দেয়াটা। আমার মনে পড়ে খুব ইদানিং। ৬ বছরের এই সময়টাকে ছোট্ট বলা যায়না, আবার আমি বড় হয়েছি সেটিও বলতে পারবনা। শেষবার যেদিন কথা হল, সেদিন আমার একটুও মনে হয়নি আমি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় আবদারের জায়গাটা হারিয়ে ফেলছি। আমাকে কেউ কাঁদতেও দেখেনি। একটা কথা খুব মনে পড়ছে, মৃত্যুর পর মানুষ এতটা দূরে চলে যায়, যতটা গেলে এর পর আর কোন দূর নেই! এ কথাগুলো বলার একটা কারন আছে, ইদানিং আমার অকারনে মন খারাপ হয়, এটা আমি বুঝি আর হয়তো শুধু বাবা!
২. আমি নিজের মত করে পড়তে পারিনা সেই এসএসসির পর থেকে। নিজেকে কোনভাবেই খুঁজে পাচ্ছিনা আজ ছয় বছর। আমি শুধু আগ্রহ পাইনা কন্টিনিউয়াস সিগনালের বইটাতে, যেমনটা পেতামনা প্রথম বর্ষের ডিসির বই কিংবা ফিজিক্স ল্যাবে। সবাই যখন সিজিপিএ নিয়ে উচ্চবাচ্চ্য করে, আর আমি আম্মুকে এসে বলি, আম্মু আমার এবার পাওয়ার ট্রান্সমিশনে ফেইল এসেছে। আমি অনেকদিন পর বুঝতে পেরেছি আমি আসলে একটা নির্দিষ্ট সময়ে আটকে আছি। যেটা থেকে বের হওয়া উচিত, কিন্তু আমার কখনো বের হওয়া হয়না।
৩. তিনের এই পয়েন্টটাতে নাহয় কিছু নাই-ই থাকুক! কিছু গল্প হোক সবার, আর কিছু অসংজ্ঞায়িত...