পারছি না, কিছুই লিখতে পারছি না। লেখার আগ্রহ যে খুব একটা আছে তা নয়, তবু মনটা কে ব্যস্ত রাখা দরকার। মনের অরন্যে দুশ্চিন্তার ডোরাকাটা আঁকা ব্যঘ্রশাবকগুলো ক্রমেই যেন রাজত্ব বিস্তার করে চলেছে। জানিনা কি হবে, খুব চেনা, পরিচিত এক আশঙ্কা ক্রমশই গ্রাস করে ফেলছে আমাকে। যেই দেখছে চোখের কোলের কাল দাগ, সেই বলছে, ঘুমের অনিয়ম যেন না করি। শুনে হাসি পায়, ভাবি…..কতই না সহজ তাদের জন্য এসব বলা। ঘুম পাড়ানি মাসী, সে তো কবেই আমার বাড়ির ঠিকানা ভুলে গেছে, চেনেই না আমাকে।
তুমি যা চেয়েছিলে আমার কাছে, পারিনি করতে। কই, এমন কঠিন কিছু তো চাওনি কখনো। তোমার সব সময় বলা সেই সব নিষেধ গুলো শুনে কতই না বিরক্ত হয়েছি…..তুমি বুঝেও না বোঝার ভান করে থাকতে। এমন কি কখনো আমার জেদের কাছে পরাজিতও হতে হয়েছে তোমাকে।
এত স্বার্থপরের মতো আচরন গুলো কিভাবে করলাম তোমার সাথে?
খুব মনে পড়ছে তোমার সাথে বলা রুক্ষ কথাগুলো। কিভাবে পারলাম আমি?
মোটামুটি নিশ্চিত হয়ে গেছি আমি, তোমার আদরের লক্ষী সোনাটা বোধহয় তোমার আদরটুকুর প্রাপ্যতাও হারিয়েছে। আমাকে একটু সুযোগ কি তুমি দিবানা আব্বু? শুধু একবার বলতে চাই আমি “অনেক দেরীতে হলেও আমি এখন তোমার সব কথার মর্ম বুঝি”
আমাকে ভুল কাজ থেকে বিরত রাখার জন্য, পথ চলার আলো টুকু হাতে নিয়ে দাড়াবার জন্য কি তুমি থাকবানা? এ যে অনেক অন্ধকার পথ আব্বু!!
কাল সকালে দিল্লীতে আব্বুর বাইপাস অপারেশন। যতদুর জানি, অবস্থা খুব আশা -ব্যঞ্জক নয়। সকলের কাছে দোয়া চাইছি।