।।
।।
।।
।।
।।
ইয়ে মানে, আমি ভাবতেছিলাম, যদি দুই বছর আগে আমি এই দিনে কোন মেয়েকে বিয়ে করতাম, তাইলে আজকে আমার ২য় বিবাহ বার্ষিকী হত
ইয়ে মানে, প্রথম পাতার বৈচিত্র্য আনতেই এই পোস্টের অবতারণা।
ভাই মাইনাস দেয়ার আগেই জুক্স বলি।
কয়েকদিন আগে কিছু জুক্স পড়লাম। বোনাস হিসেবে দিয়া দিই।
আফ্রিকান মানুষখেকো উপজাতির নাম হল জুলু। ত এই জুলু শব্দটা কেন যেন আমার কাছে খুব সুইট লাগে, সেই হিসেবে জুলুদের নিয়ে জোকস গুলাও দারুণ আনন্দ দেয় আমাকে।
জুলুরা উলংগ থাকে। একজনের গার্লফ্রেন্ডের উপর আরেকজন নজর দেয় না। খুবই শান্তিপ্রিয়, ক্ষিধা লাগলে বন্ধুর গায়ে কামড় দিছে এমন রেকর্ড নাই। তারা শুধু বহিরাগতদেরই খায়।
রান্না যতই খারাপ হোক, কাউকে খাওয়ার পরে তারা কখনই বলে না যে খাওয়াটা মজা হয় নাই। মানে বুঝা যাচ্ছে, তারা খুবই শান্তি প্রিয় আর ম্যানারস বুঝে।
তাদের কথাবার্তা অনেকটা হয়ত এরকম।
১ম জুলুঃ দোস্ত, আমার বউটা খুব ক্যাচম্যাচ করে রে। এখন আসলেই খুব বিরক্ত লাগে। ওরে নিয়ে কী করি বল ত?
২য় জুলুঃ মমমম, তাও কথা। কী আর করবি, এই বউটাকে কাবাব কর।
জুলুরা মাঝে মাঝে ইন্টারন্যাশনাল নিউজও কিন্তু হয়েছে। সাউথ আফ্রিকার পাশেই এদের অবস্থান হওয়ায়, সাউথ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট একবার এদের কাছে শুভেচ্ছা জানাতে চিঠি দিয়ে এক দূত পাঠাল।
ত যেমনটা হয় আর কী, শুভেচ্ছা হিসেবে পাঠিয়েছে শুনে জুলুরা খুশি হয়ে সেই পত্রবাহককে খেয়ে ফেলল
ফলশ্রুতিতে, সাউথ আফ্রিকার রাষ্ট্রপতি ত রেগেমেগে আগুন। মোটামুটি ওদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করা হবে এমন পরিস্থিতি দাঁড়িয়ে গেছে। রাষ্ট্রপতি জুলুদের এমন আচরণের তীব্র নিন্দা জানিয়ে আবারো চিঠি পাঠাল। আর তাদের সিরিয়াস টাইপের হুমকিও দিল।
ত জুলু সর্দার উত্তর পাঠাল, “ এত সিরিয়াস হওয়ার কী আছে? আপনাদের সুযোগসুবিধা মত আপনারাও আমাদের পত্র বাহককে খেয়ে ফেলেন। সিম্পল সমস্যার সিম্পল সমাধান
জুলু সর্দারের মেয়ের সাথে কুকর্ম করায় দুই বহিরাগতর শাস্তি হিসেবে বোঙ্গোবোঙ্গো দেয়ার কাহিনী নিশ্চয় সবাই শুনছেন। ঐটা ত সেই ডায়নোসর আমলের জোকস
এক হুজুরের সাথে দেখা হইছে এক জুলুর। ত, হুজুর জুলুকে বুঝালেন যে, “ওরে জুলু আর মানুষকে খাইস না। ভাল হয়ে যা। তাহলে বেহেস্ত পাবি।“
ত, জুলুকে উনি বেহেস্তের অনেক লোভ দেখালেন। দুধ আছে, মধু আছে, কলা আছে, মাছ আছে, মানে কিছুর অভাব নাই আর কী।
জুলু ত শুনে খুবি খুশি।
হুজুর আরও মোটিভেশন দেয়ার জন্য বলতে লাগলেন, “ ঐখানে আরও আছে হুর পরী। ৭০ টা। ”
এইটা শুনে ত জুলু মহাখুশি। সে তাও নিশ্চিত হবার জন্য জিজ্ঞাসা করে, “ ৭০ টা? বলেন কী !! সবাই কি ফর্সা হবে? ”
হুজুর বলেন, “অবশ্যই। সবাই দুধের মত ফর্সা হবে। নীল চোখ হবে প্রত্যেকের। সব পরী হবে সিনেমার নায়িকাদের মতন। তবে ভয় নাই, ওখানে চাইনীজ চেহারার নায়িকাদের স্থান নাই। অবস্থা ওখানে পুরাই চরম।
জুলু ত এসব শুনে খুশিতে পাগল হয়ে গেল। অবশেষে, একদম ভাল চলার প্রমিজ করল সে। খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে একদম শুধরে যাবে বলে কথা দিল। হুজুর যখন সব শুনে খুশি, তখন জুলু আবারও নিশ্চিত হতে জিজ্ঞাসা করল, “ আচ্ছা ৭০ টা হুর পরী থাকবে সেটা ত বুঝলাম। কিন্তু তাহলে ৭০ দিন পরে আমি নাস্তা করব কী দিয়ে ? !! ”
শেষকথাঃ আমার মনটা খুশি, সেই খুশিতে আপনাদের সবার খুশি হওয়ার কোন কারণ নাই। কারণ, বার্ষিকী আমার, আপনাদের না। এই কারণে জোকস বলে আপনাদের মনটাও খুশি করানোর চেষ্টা করলাম। আমার জন্য দুয়া করবেন প্লিজ।
© আকাশ_পাগলা
সর্বশেষ এডিট : ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৯ রাত ৯:৫৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




