আমাদের হোটেলে কিছু সৌদিয়ান গেস্ট এসেছে। সাধারণত, শর্ত মোতাবেক এদের কক্ষে প্রবেশ সংরক্ষিত থাকে। কিন্তু একটা বিশেষ কাজে আমাকে আমার আরেক আলজেরিয়ান সহকর্মীসহ ওই কক্ষে প্রবেশ করতে হয়েছে। প্রবেশ করে টেবিলের উপর আমাদের হোটেল বার এর সবচেয়ে দামী ভোদকার ছোট বোতল দেখে আমার সহকর্মী হবাক! তাকে অবাক হতে দেখে আমিও অবাক হলাম। কারণ ওয়ান বা এই জাতীয় জিনিস পাঁচতারা হোটেলে একেবারে স্বাভাবিক ব্যাপার! প্যারিসের যে হোটেল রুমের ভাড়া ৩ হাজার ইউরোর উপরে, সেখানে এসব সুবিধাদী থাকাটা নূন্যতম মাপকাঠিতে পড়ে। প্রতিটা রুমেই মিনিবার রয়েছে এবং সেখানে বিয়ার, ওয়াইন, হুইস্কি, ভোদকা সবই আছে। রুমের কেউ যদি এর বাহিরে বিশেষ কিছু চায়, সেই ক্ষেত্রে হোটেল এর বার এ ফোন করলে রুমে দিয়ে যায়, এটা স্বাভাবিক একটা বিষয়। এতে আমার সহকর্মী এতো প্রতিক্রিয়া দেখাচ্ছে কেনো বুঝে উঠার আগেই সে আমাকে কিছুটা ক্ষোভ নিয়ে বললো; জানিস,
এই পরিবারটার কাছেই আমাদের ক্বাবা শরীফের চাবি থাকে!
*প্রমাণ স্বরূপ আমার কাছে সেই হোটেলের বুকিং প্যাড, রুম ইস্যূ লেটার, ক্লায়েন্টের আইডি, রুমের ছবি এবং পরিচিতিসহ ছবিও আছে। কিন্তু নিরাপত্তা এবং চাকুরীর মায়ায় কারণে অনেক কিছুই প্রকাশ করা সম্ভব হয় না!