somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ক্রেইগ ভেন্টার কোন কৃত্রিম প্রাণ তৈরী করেন নি

১৪ ই মার্চ, ২০১২ দুপুর ২:৪৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এটা বেশ পুরোনো খবর। ক্রেইগ ভেন্টার নতুন কোন জীবিত কোষ তৈরী করেন নি। তথাপি নাস্তিক ও বিবর্তনবাদীরা এখনও এই খবরকে তাদের ব্যাকিং দেয়ার জন্য ব্যাবহার করে যাচ্ছে। এর কারণ দুটো হতে পারে, এক তারা নিজেরাই জানে না যে প্রসেসটাতে কি করা হয়েছে অথবা তারা সাধারণ পাঠকদের এ বিষয়ে অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে নিজেদের ‘জ্ঞানের(?) অহংকার’ প্রদর্শন করে বেড়াচ্ছে।

আসুন আমরা দেখি ক্রেইগ ভেন্টার ও তার দল কি করলেন?

তারা একটি অলরেডি ‘লিভিং’ ব্যাকিটেরিয়া মাইকোপ্লাজমা মাইকয়েড এর কোষের নিউক্লিয়ার ম্যাটেরিয়াল এর ডাটা কালেক্ট করলেন। এবং সে অনুসারে (স্পেসিফিক পদ্ধতিতে) নিউক্লিউটাইড ক্যাসেট তৈরী করলেন। ইস্টের মাধ্যমে, ইস্টের অলরেডি বিল্ট ইন এসেমব্লি সিস্টেম, ব্যাবহার করে তাদেরকে এসেম্বল করলেন। এরপর সেই জিনোমটিকে 'অলরেডি লিভিং' ব্যাকটেরিয়া মাইকোপ্লাজমা ক্যাপ্রিকোলাম এর মধ্যে ট্রান্সপ্ল্যান্ট করলেন। তবে তার আগে তারা একটি বুদ্ধি খাটালেন।তারা ক্যাপ্রিকোলাম এর নিজস্ব ‘রেস্ট্রিকশন এনজাইম’ এর জিন টাকে নক আউট করলেন। কেননা তারা জানতেন যে ব্যাকটেরিয়ার একটি বুদ্ধি আছে। তারা অন্য জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল ঢোকালে সেটাকে তাদের রেস্ট্রিকশন এন্ডোনিউক্লিয়েজ এনজাইম দিয়ে কেটে হজম করে ফেলে।

এরপর যখন ঐ তথাকথিত 'সিনথেটিক ডিএনএ' কে প্রবেশ করালেন, তখন
উক্ত ব্যাকটেরিয়া কোন প্রকার কথা না বলার সুযোগ পেয়ে সেটাকে নিজের করে নিল। (কেননা কথা বলার ব্যাবস্থাতো আগেই বুদ্ধি করে দূর করে দেয়া হয়েছে।)
প্রশ্ন হল তারা ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে নিউক্লিউটাইড টাকে ঢোকালেন কিভাবে? আমার জানা মতে নিউক্লিয়িক এসিড দুভাবে ঢুকতে পারে। এক, যদি কোন ‘ফায’ ভাইরাস ব্যাকেটেরিয়াকে আক্রমন করে নিজের জেনেটিক মেটেরিয়ালকে ব্যাকটেরিয়ার মেটেরিয়ালের সাথে যুক্ত করে লাইসোজেনিক phase এ চলে যায়। দুই, যদি ব্যাকটেরিয়ার বিল্ট ইন ‘ট্রান্সফরমেশন’ প্রসেস দ্বারা ‘নির্দিষ্ট কতগুলো শর্ত মেইনটেইন করা পরিবেশে’ দ্রবনের নিউক্লিয়িক এসিডকে আপন করে নেয়।

গুগলে একটু সার্চ দিয়ে কি পেলাম জানেন? নিচের Abstract টি পড়ুন:

“As a step toward propagation of synthetic genomes, we completely replaced the genome of a bacterial cell with one from another species by transplanting a whole genome as naked DNA. Intact genomic DNA from Mycoplasma mycoides large colony (LC), virtually free of protein, was transplanted into Mycoplasma capricolum cells by ‘polyethylene glycol’–mediated ‘transformation’. Cells selected for tetracycline resistance, carried by the M. mycoides LC chromosome, contain the complete donor genome and are free of detectable recipient genomic sequences. These cells that result from genome transplantation are phenotypically identical to the M. mycoides LC donor strain as judged by several criteria.”


(সিনথেটিক কোষ সংশ্লেষ)

চলুন আমরা দেখি এরপর কি হল। ব্যাকটেরিয়া তার ‘নিজ্স্ব’ পূর্ব থেকেই বিদ্যমান আর এন এ পলিমারেজ ব্যবহার করে মেসেঞ্জার আর এন এ তৈরী করল। এরপর সেই মেসেঞ্জার আর এন এ উক্ত ব্যাকটেরিয়ার ‘নিজস্ব’ রাইবোজম এর সাহায্যে প্রোটিন সংশ্লেষ করল। এখন উক্ত সংশ্লেষিত প্রোটিন কিন্তু মাইকোপ্লাজমা ক্যাপ্রিকুলাম এর নয় বরং মাইকোপ্লাজমা মাইকয়েড এর প্রোটিন।(কারণ জিনগুলোত মাইকয়েডেরই) সুতরাং এর যে রেস্ট্রিকশন এন্ডোনিউক্লিয়েজ তা ‘রিসেপটর ব্যাকটেরিয়া’ মাইকোপ্লাজমা ক্যাপ্রিকোলাম এর ডিএনএ কে ফরেইন মনে করে কেটে ফেলল। এবং তৈরী হল তথাকথিক ‘কৃত্রিম কোষ’।


পুরো প্রসেসটা করল একদল ‘ইন্টেলিজেন্ট সাইন্টিস্ট’। পুরো প্রসেসটাকেই জ্ঞানের আলোকে অলরেডি ‘জীবিত’ ইস্ট ও ব্যাকেটেরিয়ার মধ্যে করা হল, তাদেরই বিল্ট ইন সিস্টেম ব্যাবহার করে। একটি Successful transplantation এর মাধ্যমে আমরা একটি Successful Genetic Engineering দেখতে পেলাম। এ ব্যাপারে নিচের মন্তব্যটি প্রণিধানযোগ্য।

Dr Peter Dearden, Director of Genetics Otago comments:

“This paper represents a very significant step forward in engineering life. Venter’s group have been able to put a fully synthetic genome into a bacterial cell and get it to act as that cell’s genome. The technical skill required to get this to work is immense, and is the culmination of a long series of experiments that pioneered the technology to do this, as well as developing ways to prove that it had been done.

“The experiment raises an interesting question, has Venter and his team created life? The answer is NO. Venter’s team is relying on the information in a natural genome. While the DNA strand that makes up the genome is synthetic and made in the lab, the information it contains comes from a species of bacterium; and it is the information that is important in a genome. Also Venter’s team needs a bacterial cell, one without a genome, to put their synthetic genome into. This cell, currently, can only be made by a living organism.

“However, while Venter and his team haven’t created life, they have carried out a remarkable feat, and put us one further step on the road to completely re-engineering organisms for biotechnological purposes.”

এবং আমরা আবারও এই সুনিয়ন্ত্রিত ইন্টেলিজেন্স এর ব্যাবহার দেখে মূল ইন্টেলিজেন্ট স্বত্ত্বা ‘আল্লাহ’ যিনি জীবিত ব্যাকটেরিয়ার প্রাণ দান করেছেন তার পরিচয় পেলাম। এবং জানতে পারলাম কিভাবে তিনি আমাদেরকে সকল সৃষ্টির সেরা বানিয়েছেন।

এছাড়াও এখানে আমরা দেখতে পেলাম যে উক্ত বিজ্ঞানীরা ‘মৃত ব্যাকটেরিয়া’ ব্যাবহার করলেন না। আর পৃথক ভাবে Cell memberane, microtubules, DNA, RNA, Ribosome, DNA polymerase, RNA polymerase, Golgi appearatus, Endolplasmic reticulum তৈরী করে তাদেরকে একত্রিত করে ‘জীবিত’ করা হলে যাকে আমরা ‘কৃত্রিম প্রাণ’ বলতে পারতাম তার ধরা ছোয়ার কাছেও তো এই প্রাণ কে যেতে দেখলাম না!!!

রেফারেন্স:
১. http://www.jcvi.org/cms/press/press-releases/full-text/article/first-self-replicating-synthetic-bacterial-cell-constructed-by-j-craig-venter-institute-researcher/
২. http://www.sciencemediacentre.co.nz/2010/05/21/experts-on-craig-venters-synthetic-biology-breakthrough/
৩. Genome Transplantation in Bacteria: Changing One Species to Another. Click This Link
৪. USMLE step 1 immunology and microbiology (Kaplan Series)
৫. Lippincot’s illustrated Reviews of Biochemistry
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই মার্চ, ২০১২ বিকাল ৩:৫৯
১১টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইসলামের বিধান হতে হলে কোন কথা হাদিসে থাকতেই হবে এটা জরুরী না

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৫



সূরাঃ ৫ মায়িদাহ, ৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। তোমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে মৃত, রক্ত, শূকরমাংস, আল্লাহ ব্যতীত অপরের নামে যবেহকৃত পশু, আর শ্বাসরোধে মৃত জন্তু, প্রহারে মৃত... ...বাকিটুকু পড়ুন

লবণ্যময়ী হাসি দিয়ে ভাইরাল হওয়া পিয়া জান্নাতুল কে নিয়ে কিছু কথা

লিখেছেন সম্রাট সাদ্দাম, ০২ রা মে, ২০২৪ রাত ১:৫৪

ব্যারিস্টার সুমনের পেছনে দাঁড়িয়ে কয়েকদিন আগে মুচকি হাসি দিয়ে রাতারাতি ভাইরাল হয়েছিল শোবিজ অঙ্গনে আলোচিত মুখ পিয়া জান্নাতুল। যিনি একাধারে একজন আইনজীবি, অভিনেত্রী, মডেল ও একজন মা।



মুচকি হাসি ভাইরাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবন চলবেই ... কারো জন্য থেমে থাকবে না

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা মে, ২০২৪ সকাল ১০:০৪



নাইমদের বাসার ঠিক সামনেই ছিল দোকানটা । দোকানের মাথার উপরে একটা সাইনবোর্ডে লেখা থাকতও ওয়ান টু নাইন্টি নাইন সপ ! তবে মূলত সেটা ছিল একটা ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। প্রায়ই... ...বাকিটুকু পড়ুন

দেশ এগিয়ে যাচ্ছে; ভাবতে ভালই লাগে

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০২ রা মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩


বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ১৯৭২ সালে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল নেতিবাচক। একই বছরে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির হার ছিল প্রায় ১ শতাংশ। ১৯৭৩ সালে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রবৃদ্ধি ছিল ৭... ...বাকিটুকু পড়ুন

×