যতোটা চেষ্টা, যতোটা বাড়াবাড়ি শুধু ওই ধেয়ে আসা আলোকরশ্মি নিয়ে। গবেষণার সব ঘাম ওই তীব্রতা কমানোর সচেতন প্রয়াসে। উপেক্ষার তীব্রতায় সে দগ্ধ আলো অবশেষে ছুঁইয়ে ছুঁইয়ে আসে, বেখেয়ালে জমতে থাকে পোড়া ছাই। ধাবমান কালের সেলুলয়েডে আঁচড় কাটে ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র সব ইতিহাস। একদিন অনাকাঙ্খিতভাবে ধুলা আর ছাইয়ের জারন-বিজারনের খেলাকে টের পায় মানবহৃদয়। ভেতরের উতৃপাতকে অস্বীকার করে ঠোটের কার্ণিশে ঝুলিয়ে রাখে নির্ভার সাইনবোর্ড। অবহেলা আর হৃার্দিক খেলা চলে সমানুপাতিক হারে। দৃষ্টিকে পাশ কাটিয়ে উঁকি মারে বেনামী বীজের অংকুর। সচেতেনতার দেয়াল টপকে রোদের আঁচ লাগে তার গায়ে। নৈর্বত্তিক উল্লাসে অংকুর বড় হয়। শিরা-উপশিরা বেয়ে ডাল-পালার বিস্তার ঘটে কোষে-কোষে, অনুতে-অনুতে, সত্তার ব্যাপ্ত মহাবিশ্বে। মানুষ তা টের পায়, শিকড়ের অভিকর্ষিক তাড়নায় তার বহুকালের স্থিত শিলাস্তর প্রক্ষিপ্ত হয়। মহাজাগতিক টানপোড়েনের বাড়াবাড়ি ধাক্কায় অন্তর্জাগতিক ওই মৃদু কম্পন উতৃপত্তিস্থলেই অপঘাতে মরে সংবাদের যোগ্যতা হারায়।
একদিন অযাচিত এক স্টপেজে অলস সময় কাটানোর প্রয়াসে অনেকটা অনিচ্ছায় কেনা প্রত্রিকার হেডলাইনে পড়ে সে অবহেলার মানেটা, মনোযেগ দিয়ে পড়ে বহুকাল আগের এক অর্ন্তজাগতিক ভূমিকম্পের ভয়াবহতা। সে পড়তে থাকে তন্ময় হয়ে। সে পড়ছে.. গাড়ী চলছে . . .
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মার্চ, ২০০৯ রাত ১০:৩৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




