কিন্তু একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের ডায়েটিং এর জন্য সবচেয়ে দুরূহ কাজটি হচ্ছে চা-কফির আসক্তি মুক্ত হওয়া । সারাদিন ডায়েটিং করে যে পরিমান সাশ্রয় হয় , তা মাত্র ২/৩ কাপ চিনি যুক্ত চায়েই ভেস্তে যায় ।
সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো চা কে নেশা জাতীয় দ্রব্য হিসেবে দেখা হয়না ;
কিন্তু চা-কফি খাওয়ার অভ্যাস পরিত্যাগ করতে পেরেছে এমন ব্যাক্তি মেলা ভার । এতে দেহের জন্য সরাসরি ক্ষতিকর কোন উপাদান নেই বলে এর নেশা ধরানোর বিষয়টা আলোচিত নয় ; কিন্তু প্রকৃত পক্ষে চা-কফি খাওয়াটা শুধু অভ্যাস নয় , প্রচন্ড নেশাও বটে ।
এই অল্প বয়সে কিঞ্চিত হৃদরোগের ঝুকিতে পরে ডায়েটিং করতে গিয়ে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে দেখেছী চা-কফি কতটা মারাত্মক । সিগারেট ছেড়ে দিয়েছি অবলীলায়, কিন্তু চা ছাড়তে গিয়ে দেখি ১ দিন চা না খেলে মাথার সমস্ত রগ গুলো ব্যাথা শুরু হয়ে যায় ; স্পস্ট বুঝতে পেরেছি চা আমার স্নায়ুতন্ত্রকে আসক্ত করে ফেলেছে । দুধ-চিনি ছাড়া খেয়ে ট্রাই করলাম ক'দিন কোন ভাবেই ১ দিনের বেশী থাকতে পারিনি । আবার উল্টোটাও করে পরীক্ষা করেছি , অর্থাত চিনি বা মিস্টি খেয়ে চা না খেয়ে থেকেছি । তাতেও ফল একই । অর্থাত দুধ, চিনি সাথে মিশে স্নায়ুতন্ত্রের জন্য চা এক অনন্য নেশার সৃষ্টি করে ।
চা খাই একেবারে জন্ম লগ্ন থেকে , সম্ভবত কাপে করে দুধ খাবার পাশাপাশি । হৃদরোগে আক্রান্ত না হলে চা খাওয়া কোন সমস্যাই হতোনা, কারন ওজন একেবারে অস্বাভাবিক নয় । কিন্তু আমার মতো বিনামেঘে বজ্রপাতের মতো হৃদরোগ যে কারোরই হতে পারে, প্রত্যেকেরই আগে থেকেই সাবধান হওয়া ভাল । আর সৌন্দর্য বা ফিগার সচেতনদের কথাতো বলাই বাহূল্য । আমি চা খাই একেবারে জন্ম লগ্ন থেকে , সম্ভবত কাপে করে দুধ খাবার পাশাপাশি । কাজেই বাচ্চাদেরকে অযথা চায়ের অভ্যাস করতে দেবেন না ।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ৮:৫৬

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




