কলেজ ছাত্রীকে এলোপাতাড়ি কোপালো বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ! ছাত্রী খাদিজা সিলেট সরকারি মহিলা কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের । আর ছাত্র বদরুল শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের। লজিং মাষ্টার থেকে জীবনের মাষ্টার হতে চেয়ে ছিল , রাজি না থাকার কারনেই কোপ খেতে হলো খাদিজাকে।
একজন কোপাবে একজন কোপ খাবে আর বাকিরা বিডিও করবে এটাই নিয়ম। এর বাহিরে আর কোন নিয়ম নেই। থাকলে হয়ত তা আলোচনায় আসতো। বাংলা সিনেমায় সব সময় সিনেমার শেষ দৃশ্যে এসে বলে বলে আইন নিজের হাতে তুলে নিবেন না। কিন্তু তার আগেই মরে অর্ধেক সাফ হয়ে যায়। আর বাস্তবে আশে পুরো সাফ হয়ে যাওয়ার পর। পার্থক্য খুব বেশি না। আর সিনেমায় মারামারির দৃশ্যে জনতা চুপ করে সৃটিং দেখে ভিডিও করতে পারে না। আর বাস্তবের মারামারিতে আরামে ভিডিও করে। এখানেও তেমন পার্থক্য নেই।
আহ কত মিল...
একাত্তর টিভির ভাষ্য মতে বদরুল যখন খাদিজাকে কোপাছিল তখন আশে পাশে শতাধিক ছাত্রছাত্রী ছিল, ভিডিও দেখেও তাই বোঝা যায়। বিভিন্ন এঙ্গেল থেকে ভিডিও করছে যে। ভয়ে নাকি কেউ সামনে যায়নি। বেচারি খাদিজাকে কোপানোর পর এখন এরা এগিয়ে এসেছে আন্দোলন করতে। ভার্চুয়াল আন্দোলন ! একশত+ ছাত্র-ছাত্রী মাত্র একজনকে ভয় পেলো ভয় পেলো একজনের চাপাতিকে ! আল্লাহ না করুক দেশে যদি একাত্তরের মতো যুদ্ধ লাগে তবে এ জাতি পারবে তো লড়াই করতে? নাকি দূর থেকে ভিডিও আপলোড করে বলবে দেখুন দেখুন কি নির্মম হত্যাযঙ্গ চালাচ্ছে জারজরা। আরেকবার আসুক আমরা দেখিয়ে....
বিশ্বজিৎ খুন হয়েছিল প্রকাশ্য দিবালোকে, জানি না খাদিজার কপালে কি আছে। তবে আমরা যে কাপুরুষ জাতি তা প্রমান করছি বার বার।
হয়ত অনেকে বরবে ভিডিও করেছে বলেই তো দেখতে পারছেন না হলে কি বলতেন। এটাও ঠিক কিন্তু বুকে হাত দিয়ে বলেন তো খাতিজা না হয়ে আপনার বোন বা ভাইকে যদি কোপানো হতো চুপ করে থাকতেন? মাত্র দশজনও যদি প্রতিরোধ করার চেষ্টা করতেন আমার বিশ্বাস খাদিজার অবস্হা এমন হতো না।
ফেসবুক আন্দোলন করে কোন লাভ নাই। পোষ্টে হাজার হাজার লাইক আসতে পারে কিন্তু বেলা শেষে লাভের খাতা শুন্য। তাই যদি পারেন অফ লাইনে কিছু করুন অন লাইনে ভিডিও ভাইরাল করলে খাদিজারা নিরাপদ হবে না, এটা মনে রাখবেন।