তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরবেন কোটি মানুষ তাকে সংবর্ধনা জানাবে
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলে শুধু মুক্ত ও স্বাধীনভাবে চলাফেরাই করবেন না, তিনি বিএনপি ও জাতিকেও নেতৃত্ব দেবেন। এমন বক্তব্য বিএনপির নেতা ও তার আইনজীবীদের। তারা বলেন, তিনি আদালতের মাধ্যমে সব মামলায় জামিনে রয়েছেন। মামলার ম্যারিট নেই দেখে উচ্চআদালত কয়েকটি মামলা স্থগিতও করেছে। তারা আরো বলেন, তারেক রহমান হঠাৎ করে রাজনীতিক হননি। চিকিৎসাশেষে তিনি যেদিন দেশে ফিরবেন সেদিন বিমানবন্দরে তাকে কমপক্ষে এক কোটি লোক অভ্যর্থনা দেবে। সেদিন দেখা যাবে কে তাকে গ্রেফতার করার সাহস দেখায়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও তারেক রহমানের আইনজীবীগণ আমাদের সময়কে বলেন, দু‘জন প্রতিমন্ত্রী বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান দেশে ফিরলেই গ্রেফতার হবেন বলে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা কাণ্ডজ্ঞানহীন। তিনি আদালতের অনুমতি নিয়েই চিকিৎসার জন্য বিদেশে আছেন। সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদে থেকে প্রতিমন্ত্রীদের এ ধরনের বক্তব্য দায়িত্বশীলতার পরিচয় নয়।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেন, তারেক রহমান বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। বিএনপি দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। কোটি জনতা ও বিএনপির নেতাকর্মী তাকে অভ্যর্থনা জানাতে অপেক্ষায় রয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও তারেক রহমানের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান বলেন, তারেক রহমান জাতির জন্য অপরিহার্য ও স্পর্শকাতর নাম। তিনি স্বাধীনতার ঘোষক ও সফল রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়া এবং তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছেলে। তারপর তিনি বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান। তিনি তৃণমূল রাজনীতির মাধ্যমে দেশের রাজনীতিতে একটি অপরিহার্য অবস্থান তৈরি করেছেন।
সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব ফখরুল ইসলাম বলেন, জাতি তারেক রহমানের জন্য অধীর প্রতীক্ষায় রয়েছে। তাদের অপেক্ষা কত দ্রুত তিনি দেশে ফিরবেন। দল ও দেশকে নেতৃত্ব দেবেন। তিনি বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক দল। তারেক রহমান দেশে ফেরার মুহূর্তে তাকে স্বাগত জানাতে কোটি মানুষের সমাবেশ করার সামর্থ্য দলের রয়েছে। অবশ্যই তাকে কোটি মানুষ স্বাগত জানাবে।
তারেক রহমানের অপর আইনজীবী অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ভূঁইয়া জানান, বর্তমানে তারেক রহমানের কোনো মামলাই সচল নয়। প্রতিটি মামলাতেই তিনি জামিনে রয়েছেন। কয়েকটি মামলা উচ্চআদালত স্থগিত করে দিয়েছে। কোনো মামলায়ই চার্জ গঠন ও বিচার কার্যক্রম শুরু হয়নি। তিনি জানান, তারেক রহমানের নামে যে ধরনের মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে, এ ধরনের মামলা দেশের ১০ কোটি কর্মজীবী লোক থাকলে প্রত্যেকের নামে দায়ের করা যায়। কারণ আয়কর আইনে আছে, প্রতিদিনের ইনকামের নির্দিষ্ট হারে সরকারকে কর দিতে হবে। কিন্তু আমরা সবাই বছর শেষে একটি নির্দিষ্ট অংক দিয়ে থাকি। অ্যাডভোকেট জাকির জানান, তারেকের নামে মোট ১২টি মামলা হয়েছিল অবৈধ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময়। এছাড়া তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশে যাওয়ার পর বর্তমান সরকারের আমলে একটি মামলা হয়েছে। কিন্তু এই মামলার এজাহার নামীয় আসামি হলেও তিনি দেশে ফিরলে তাকে গ্রেফতার করার কোনো সুযোগ নেই।
তারেক রহমানের নামে মামলাগুলো হচ্ছেÑ কাফরুল থানায় মামলা নং ৫২ (৯) তারিখ ২৬-৯-২০০৭ বাদী জহুরুল হুদা। তিনি জামিনে, মামলাটিও স্থগিত আছে। অভিযোগ খরচের হিসাব গোপনের। সময়কাল ধরা হয়েছে ১৯৮২ সাল থেকে। যখন তিনি স্কুল কলেজের ছাত্র ছিলেন। তদন্ত করে পাওয়া গেছে এবি ব্যাংক, একাউন্ট নং ০০০২১১১০০০০৪০১৬। ৪৭২৩৭.৯৪ টাকা। সাউথ ইস্ট ব্যাংকে ৪২১০ টাকা। একাউন্ট নং-৪০১৩০৬০১২৬-৩০০।
গুলশান থানা মামলা নং-১৩ (৫), তারিখ ৪-৫-২০০৭। বাদী সৈয়দ আবু শাহেদ সাহেল। মামলাটি চাঁদা দাবির। আসামি গিয়াসউদ্দিন মামুন। ধারা ৩৮৫/৩৮৬/৩৮৭। তারেক রহমান আসামি নন। কিন্তু তাকে জড়ানো হয়েছে। বাদী আসামি না করলে এ ধরনের মামলায় তৃতীয়পক্ষকে আসামি করা যায় না। কিন্তু তাকে করা হয়েছে।
মামলা নং-১০৩ গুলশান থানা। বাদী হারুন ফেরদৌস। তারিখ ২-৩-২০০২। আসামি গিয়াসউদ্দিন মামুন। তদন্ত রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে আসামি তারেক রহমানের উপস্থিতিতে চাঁদা দাবি করেছে। তিনি জামিনে, মামলাটি স্থগিত।
ধানমণ্ডি থানা মামলা নং-২ (৪)। জামিনে রয়েছেন ও মামলাও স্থগিত।
গুলশান থানা মামলা নং-৩৪(৩)। তারিখ ৮-৩-২০০৭। বাদী আমিন আহমেদ ভূঁইয়া। এটিই তার নামে প্রথম মামলা। এ মামলায় দ্রুত বিচার আইনে না চলার কারণে তাকে সাজা দেয়ার জন্য আইন সংশোধন করা হয়। বাদী হলফনামায় বলেছেন, তারেক রহমানের নামে তিনি কোনো মামলা করেনি। জামিন ও স্থগিত আছে।
রমনা থানার বিশেষ মামলা নং-৩। তারিখ ৮-৭-২০০৮। জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা। তারেক রহমানের সঙ্গে বেগম খালেদা জিয়া ও আরাফাত রহমান কোকোও আসামি।
বিশেষ মামলা-১৮। বাদী সামিয়া আক্তার এনবিআর। খরচ গোপনের অভিযোগ। ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৭৭৩ টাকার মামলা। বর্তমানে জামিন ও স্থগিত আছে।
শাহবাগ থানার মামলা নং-১৪ (৪)। চাঁদা দাবি। জামিনে আছেন। মামলাও স্থগিত।
গুলশান থানার মামলা নং-১০২ (৩)। বাদী মার্শাল ডিস্টিলারিজ লি.-এর হারুন ফেরদৌস। অভিযোগ আসামি গিয়াসউদ্দিন মামুন তারেক রহমানের উপস্থিতিতে ৮১ লাখ টাকা চাঁদা দাবি।
কাফরুল থানার মামলা নং-৬৮ (৩)। বাদী রেজা কনস্ট্রাকশনের খান মো. আফতাবউদ্দিন। আসামি গিয়াসউদ্দিন মামুন। তারেকের নাম নেই।
রমনা থানার মামলা-১০। মামলাটি শাব্বির হত্যামামলা নামে পরিচিতি পেয়েছে। অথচ আসামি হচ্ছে বাবর ও নুরুদ্দিন অপু। এজাহারে আছে, নুরুদ্দিন অপু ১ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছে। তারেক রহমান তা শুনেছেন।
ক্যান্টনমেন্ট থানা মামলা নং-৮ (১০)। মানি লন্ডারিং আইনে ২০ কোটি ৪১ লাখ টাকার। এজাহারে তারেক রহমান সম্পর্কে কোনো অভিযোগ নেই। আসামি গিয়াসউদ্দিন মামুন। মামলাটির সময়কাল ১ জানুয়ারি ২০০৩ থেকে ২০০৭ সাল পর্যন্ত। কিন্তু দায়ের হয়েছে মানি লন্ডারিং আইন ২০০৯-২ এর ৪(২) ধারায়। এর আগের ধারা বাতিল করা হয়েছে। এজাহারে উল্লেখ রয়েছে-সময়কালের আইন বর্তমানে বাতিল ও অকার্যকর হয়ে পড়েছে।
তারেক সালমান: আমাদের সময়
৩৫টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন