somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জির প্রবন - ভারত শুধু বাংলাদেশেই আশার আলো দেখছে !!

০৯ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

0বাংলাদেশকে দেখভাল প্রয়োজন0
0বাংলাদেশে রাজনৈতিক ইচ্ছার বিপুল বিনিয়োগ চাই0

আবু সোহায়েল : ভারত তার প্রতিবেশীদের ব্যাপারে হতাশ, আশার আলো দেখছে শুধু শেখ হাসিনার বাংলাদেশে। আণবিক শক্তির অধিকারী পাকিস্তানের দিক থেকে কোনো আশা নেই। নেপালকে হাতের মুঠোয় রাখা যাচ্ছে না। এলটিটিই'র বিরুদ্ধে যুদ্ধজয়ী শ্রীলংকা এখন বেয়াড়া। গত নির্বাচনে শেখ হাসিনা বিজয় লাভের ফলে বাংলাদেশই এখন তাদের জন্য একমাত্র আশার আলো। এই আশার আলোকে টিকিয়ে রাখার জন্য বাংলাদেশকে ভালভাবে দেখভাল করা দরকার। এ ধরনের অভিমত ব্যক্ত করেছেন ভারতের ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) এস.কে চ্যাটার্জি তার গত ২৬ মার্চ তারিখের এক প্রবন্ধে। "Why India needs to nurture Bangladesh" শীর্ষক প্রবন্ধে ব্রিগেডিয়ার (অবঃ) এস.কে চ্যাটার্জি বলেছেন, এই আশার আলোর একটা কাল পর্যন্ত স্থিতির জন্য প্রয়োজন হবে রাজনৈতিক ইচ্ছার বিপুল বিনিয়োগ (Huge investments in terms of sustained political will need to remain evident for a sustained period of time)।
ব্রিগেডিয়ার বাবু ‘বিপুল রাজনৈতিক বিনিয়োগ' বলতে কি বুঝিয়েছেন তার ব্যাখ্যা করেননি তার লেখায়। কিন্তু লেখার পরবর্তী অংশে বাংলাদেশের জন্য যেসব রাজনৈতিক পদক্ষেপ গ্রহণের প্রয়োজনীয়তার বিষয় উল্লেখ করেছেন তাতে বুঝা যায় ইসলামী শক্তির দমনই তাদের টার্গেট। এজন্য যে রাজনৈতিক ইচ্ছা ও সামর্থ্যের প্রয়োজন তার যোগান দেয়াকেই তিনি ‘‘রাজনৈতিক ইচ্ছার বিপুল বিনিয়োগ’’ বলে উল্লেখ করেছেন।
লক্ষণীয়, শেখ হাসিনার সরকার এবং আওয়ামী লীগ ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জিদের এই রাজনৈতিক কৌশলেরই অনুসরণ করছে। ব্রিগেডিয়ার বাবুরা সবসময় বাংলাদেশের ব্যাপারে more catholic than Pope। অর্থাৎ বাংলাদেশের রাজনীতির ব্যাপারে আওয়ামী সরকারের কি বলণীয় কি করণীয় তা ব্রিগেডিয়ার বাবুরাই বেশি জানেন এবং তাদের এই রাজনৈতিক ইচ্ছাই Export হয় বাংলাদেশে। অথবা বলা যায় আওয়ামী সরকার ব্রিগেডিয়ার বাবুদের রাজনৈতিক ইচ্ছাই নিজেদের জন্য Import করেন বাংলাদেশে।
ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জির উল্লেখিত প্রবন্ধে এরও জ্বলন্ত দৃষ্টান্ত মিলেছে। প্রবন্ধের এক জায়গায় ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জি বাবু বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপদেশ দিতে গিয়ে বলেছেন, হাসিনা ‘জিহাদ'কে দমন করার যে উদ্যোগ শুরু করেছেন তার সাথে কৃষি অর্থনীতির উন্নয়নও যোগ করতে হবে (Hasina's attempts at combating Jihad will have to be accompanied by development in a primarily agrarian economy)। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ‘জিহাদ' দমন করার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন কিনা আমরা জানি না। কারণ ‘জিহাদ' দমন করার উদ্যোগ নিলে তাকে পবিত্র কুরআনের বিরুদ্ধেই লড়াই শুরু করতে হবে। কিন্তু ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জি বাবুরা ‘জিহাদ' অর্থাৎ কুরআন, অন্য কথায় ইসলামের বিরুদ্ধে লড়াই শুরু করেছেন। ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জি বাবুরা ইসলামের বিরুদ্ধে তাদের এ লড়াই বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকারকে দিয়েই লড়াতে চান। এটাই তাদের রাজনৈতিক অভিসন্ধি। এটাকে ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জিরা তাদের ‘‘রাজনৈতিক ইচ্ছার বিনিয়োগ’’ বলে অভিহিত করেছেন, যে ‘‘রাজনৈতিক বিনিয়োগ’’ দ্বারা তারা শেখ হাসিনার শাসনকে একটা কাল পর্যন্ত ধরে রাখতে চান। ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জি বাবুরা ইসলাম ও জাতীয়তাবাদীদের ঐক্য প্রতিরোধ করতে চান । তাদের আশা এইভাবেই ইসলামী ও জাতীয়তাবাদী শক্তির ঐক্য নস্যাৎ করে ও ইসলামী শক্তিকে রাজনৈতিক ময়দান থেকে সরিয়ে শেখ হাসিনার সরকারকে টিকিয়ে রাখার মাধ্যমে কালক্রমে বাংলাদেশকে সিকিম বানানো অথবা বাংলাদেশকে বশংবদ করে রাখার রাজনৈতিক অভিসন্ধি পূরণ করতে পারবে। লালা রাজপথ রায় পৌনে একশ' বছর আগে চিত্তরঞ্জন দাসকে লেখা এক চিঠিতে বলেছিলেন, মুসলমানদেরকে যদি বশংবদ করে রাখতে হয় তাহলে তাদেরকে কুরআন ছাড়াতে হবে এবং তিনি এটাকে অসম্ভব বলেছিলেন। পৌনে একশ বছর পর ব্রিগেডিয়ার চ্যাটার্জি বাবুরা শেখ হাসিনার সরকারকে বাহন সাজিয়ে অত্যন্ত কৌশলে এই অসম্ভবকে সম্ভব করার কাজে হাত দিয়েছেন বলে পর্যবেক্ষক মহল মনে করছেন।
আবু সোহায়েল-এর লেখা থেকে ।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:১৩
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×