somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিস নামটি কেন উচ্চারিত হয় না ।তমদ্দুন মজলিস অবহেলিত কেন?

২০ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ রাত ৩:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পাকিস্থান নাম শুনলেই অনেকের চেতনা উজ্জীবিত হয় ।মেরুদন্ড সোজা হয় ।মনে হয় পাকিস্থান নাম নেয়াটাই পাপ ।পাকিস্তান যখন বাংলাদেশে ( পূর্ব পাকিস্তানে হত্যাযজ্ঞ চালায় তখন সে দেশের সুশীল সমাজের একটা ক্ষুদ্র অংশ প্রতিবাদ জানিয়েছিল- " পূর্ব পাকিস্থানে অন্যায় ভাবে আক্রমন করা হচ্ছে " ! তারা এই স্লোগানে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তবে কেন পুরো পাকিস্থানকে আমরা ভিলেন হিসবে উপস্থাপন করি?? যাক সেসব কথা
তবে ইতিহাসের কথা বলতে গিয়ে আমি পাকিস্থান নামটি উচ্চারিত করতে আপত্তি করি না। ইতিহাস কে আমি অস্বীকার করতে পারি না। ইতিহাস ইতিহাস ।ইতিহাস বলতে গেলে পাকিস্থান উচ্চারিত হবে।
ব্রিটিশরা পটু মেরেছে পাকিস্তনাও পটু মেরেছে।
ব্রিটিশ কেন মহব্বত করব পাকিস্থান কেন নয় ?

রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ইতিহাস লিখতে গিয়ে অনেকেই তমদ্দুন মজলিস নামটি উচ্চারন করেন না। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মিছিলে সালাম-রফিক-বরকত-জব্বারের শহীদ হওয়া দিয়েই তাদের লেখা শুরু করেন। তাই আসুন ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিস এর ভূমিকা কি ছিল জেনে নেই ।

তমদ্দুন মজলিস

তমদ্দুন মজলিস ১৯৪৭ সালে আবুল কাসেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের, (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে তমদ্দুন মজলিস বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে।
সুত্র ( উইকিপিডিয়া )

তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালি বিরোধী নীতি এবং বাংলা ভাষা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য এবং সেই সময়কার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান কর্তৃক রচিত পত্রের বিরোধিতার জন্য ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে তমদ্দুন মজলিস প্রথম ‘’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’’ গঠনে নেতৃত্ব দেয়।
সুত্র( উইকিপিডিয়া )

ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর লেখেন, ‘১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকা সফরে এসে পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বলে বসেন, পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। যে নাজিমুদ্দিন ১৯৪৮ সালের ১৫ মার্চ বাংলা রাষ্ট্রভাষার দাবি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তার এই বিশ্বাসঘাতকতায় স্বভাবত পূর্ববঙ্গের জনমত বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এর প্রতিবাদের জন্য তমদ্দুন মজলিস আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ থেকে অধ্যাপক আবুল কাসেম ও আমি এই সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলাম। এই পরিষদের পক্ষ থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজের সামনে বাংলা ভাষা সমর্থকদের ওপর পুলিশের গুলীতে রফিক, শফিক, সালাম, বরকত প্রমুখ তরুণদের রক্তে রাজপথ সিক্ত হয়ে উঠলে ভাষা আন্দোলনের নতুন গতিবেগ সৃষ্টি হয়' (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১২)।

আমাদের বর্তমান প্রজম্ম একুশে ফেব্রুয়ারির দিন পাক হানাদারের গুলীতে শহীদ হওয়া বরকত-রফিক-জববার-সালামের নাম জানলেও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া মূল সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের নাম জানি না।যে সংগঠন টি ভাষা-আন্দোলনে অবদান বা ভূমিকা রেখেছিল আমাদের অজানা। আমার লেখায় তমদ্দুন মজলিসের অবদানকে ব্যবহার করে বরকত-রফিক-জববার-সালামের মহান ভাষা শহীদদের আত্মবলিদানকে ছোট করার চেষ্টা করছি না ।
সঠিক ইতিহাস জানতে চাই।

ধন্যবাদ ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১২
৩১টি মন্তব্য ২৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×