পাকিস্থান নাম শুনলেই অনেকের চেতনা উজ্জীবিত হয় ।মেরুদন্ড সোজা হয় ।মনে হয় পাকিস্থান নাম নেয়াটাই পাপ ।পাকিস্তান যখন বাংলাদেশে ( পূর্ব পাকিস্তানে হত্যাযজ্ঞ চালায় তখন সে দেশের সুশীল সমাজের একটা ক্ষুদ্র অংশ প্রতিবাদ জানিয়েছিল- " পূর্ব পাকিস্থানে অন্যায় ভাবে আক্রমন করা হচ্ছে " ! তারা এই স্লোগানে প্রতিবাদ জানিয়েছিল তবে কেন পুরো পাকিস্থানকে আমরা ভিলেন হিসবে উপস্থাপন করি?? যাক সেসব কথা
তবে ইতিহাসের কথা বলতে গিয়ে আমি পাকিস্থান নামটি উচ্চারিত করতে আপত্তি করি না। ইতিহাস কে আমি অস্বীকার করতে পারি না। ইতিহাস ইতিহাস ।ইতিহাস বলতে গেলে পাকিস্থান উচ্চারিত হবে।
ব্রিটিশরা পটু মেরেছে পাকিস্তনাও পটু মেরেছে।
ব্রিটিশ কেন মহব্বত করব পাকিস্থান কেন নয় ?
রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে ইতিহাস লিখতে গিয়ে অনেকেই তমদ্দুন মজলিস নামটি উচ্চারন করেন না। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনের মিছিলে সালাম-রফিক-বরকত-জব্বারের শহীদ হওয়া দিয়েই তাদের লেখা শুরু করেন। তাই আসুন ভাষা আন্দোলনে তমদ্দুন মজলিস এর ভূমিকা কি ছিল জেনে নেই ।
তমদ্দুন মজলিস
তমদ্দুন মজলিস ১৯৪৭ সালে আবুল কাসেম কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত বাংলাদেশের, (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) একটি ইসলামি সাংস্কৃতিক সংগঠন। পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার পর প্রথম বাংলা ভাষাকে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে দাবি তুলে তমদ্দুন মজলিস বাংলা ভাষা আন্দোলন শুরু করে।
সুত্র ( উইকিপিডিয়া )
তৎকালীন পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় সরকারের বাঙালি বিরোধী নীতি এবং বাংলা ভাষা সম্পর্কে বিরূপ মন্তব্য এবং সেই সময়কার কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ফজলুর রহমান কর্তৃক রচিত পত্রের বিরোধিতার জন্য ১৯৪৭ সালের অক্টোবর মাসে তমদ্দুন মজলিস প্রথম ‘’রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ’’ গঠনে নেতৃত্ব দেয়।
সুত্র( উইকিপিডিয়া )
ভাষাসৈনিক অধ্যাপক আবদুল গফুর লেখেন, ‘১৯৫২ সালের ২৭ জানুয়ারি খাজা নাজিমুদ্দিন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঢাকা সফরে এসে পল্টন ময়দানে এক জনসভায় বলে বসেন, পাকিস্তানের একমাত্র রাষ্ট্রভাষা হবে উর্দু। যে নাজিমুদ্দিন ১৯৪৮ সালের ১৫ মার্চ বাংলা রাষ্ট্রভাষার দাবি নিয়ে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। তার এই বিশ্বাসঘাতকতায় স্বভাবত পূর্ববঙ্গের জনমত বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে। এর প্রতিবাদের জন্য তমদ্দুন মজলিস আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ প্রভৃতি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের নিয়ে সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়। তমদ্দুন মজলিসের পক্ষ থেকে অধ্যাপক আবুল কাসেম ও আমি এই সংগ্রাম পরিষদের সদস্য ছিলাম। এই পরিষদের পক্ষ থেকে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি প্রতিবাদ দিবস পালনের সিদ্ধান্ত হয়। ২১ ফেব্রুয়ারি মেডিকেল কলেজের সামনে বাংলা ভাষা সমর্থকদের ওপর পুলিশের গুলীতে রফিক, শফিক, সালাম, বরকত প্রমুখ তরুণদের রক্তে রাজপথ সিক্ত হয়ে উঠলে ভাষা আন্দোলনের নতুন গতিবেগ সৃষ্টি হয়' (সূত্র: দৈনিক ইনকিলাব, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০১২)।
আমাদের বর্তমান প্রজম্ম একুশে ফেব্রুয়ারির দিন পাক হানাদারের গুলীতে শহীদ হওয়া বরকত-রফিক-জববার-সালামের নাম জানলেও রাষ্ট্রভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেয়া মূল সংগঠন তমদ্দুন মজলিসের নাম জানি না।যে সংগঠন টি ভাষা-আন্দোলনে অবদান বা ভূমিকা রেখেছিল আমাদের অজানা। আমার লেখায় তমদ্দুন মজলিসের অবদানকে ব্যবহার করে বরকত-রফিক-জববার-সালামের মহান ভাষা শহীদদের আত্মবলিদানকে ছোট করার চেষ্টা করছি না ।
সঠিক ইতিহাস জানতে চাই।
ধন্যবাদ ।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ১২:১২