গতকাল রাতে কোন একটি হিন্দি সিনেমা চ্যানেলে "লোফার" সিনেমা দেখাচ্ছিল। শেষের দিকে খানিকটা দেখলাম। একটি দৃশ্য দেখে খুবই মজা পেলাম।
ছবির নায়ক অনিল কাপুর একজন এম.এল.এ। তো সে বাধ্য হয়ে (যা ঘটে থাকে) "আইন নিজের হাতে তুলে নেয়"। তো মোটামুটি দুষ্ট দমন যখন শেষ তখন সে উপস্থিত পাবলিকের উদ্দেশ্যে ছোটখাট একটি ভাষণ দিল, খারাপ লোকদের কেন আমরা ভয় পাই, একা কিছু করতে পারিনা, সবাই মিলে তাদের সাইজ করতে পারি...ব্লা...ব্লা...ব্লা....জাতীয় কিছু কথা। তো ভাষণ যখন শেষ তখন একজন ভিলেন এসে নায়ক-কে পিছন থেকে ছুরি মারে। স্বাভাবিক ভাবেই নায়ক তাকেও শেষ করে।
মজার ব্যাপার হলো.....এত লম্বা একটা ভাষণ শুনেও পাবলিকের কোন বিকার নেই। ভাষণ শেষে যখন নায়ক ছুরি খেল তখনও তারা চুপ চাপ দাড়িয়ে আছে কালের সাক্ষী বট গাছের মত। এত চমৎকার একটা উপাদেয় ভাষণও তাদের কোন বিকার ঘটাতে পারেনি।
এই ঘটনা আমার এক সহকর্মী কে বললাম, তো সে মন্তব্য করল "অনিল কাপুর তো ভাষন সাধারনত দেয় না। ভাষণ দেয়া ছবি করে নানা পাটেকার।"
আমার কথা হল, অনিল কাপুরের ভাষণ যেমন তেমন নানা পাটেকারের ভাষণ আপনি শুনতে বাধ্য। তার ডায়লগ ডেলিভারী-ই এমন যে, রোমান্টিক ডায়লগ দিলেও মনে হয় ঝাড়ি দিচ্ছে।
নানা পাটেকারের কথা মনে পড়াতে কিছুদিন আগে দেখা একটি সিনেমার কথাও মনে পড়ল। "ট্যাক্সি নং ৯২১১"। ঐ সিনেমার শুরূর দিকে দেখায়, নানা-র ছেলে ক্রিকেট খেলছে। তো সে ছেলের ঘাড় ধরে জিজ্ঞেস করলো,
নানা: "বল কার?"
ছেলে: "আমার"
নানা: "ব্যাট কার?"
ছেলে: "আমার"
নানা: "তো ফিল্ডিং করছিস কেন? ব্যাটিং কর্। টেন্ডুলকার হ্ কাইফ না।"
বড়ই স্বাস্থ্যকর এবং উপাদেও উপদেশ..........................

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




