নতুন বৌয়ের মত মেয়েটা নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। একটা গাড়িতে কেউ এভাবে থাকে! সামনে কি আছে অথবা আশেপাশে কি ঘটছে তা দেখে। কিন্তু না সে নিচের দিকেই তাকিয়ে আছে!
অথচ তার সামনে বসা ছেলেটা অপলক দৃষ্টিতে তার দিকে চেয়ে আছে। তার সৌন্দর্য কে কুড়িয়ে খাচ্ছে! আর মেয়েটা কিনা লাজুকের মত বসে রয়েছে।
ছেলেটা দেওয়ান হাট থেকে অটো টেম্পুতে
উঠে বসার কিছুক্ষণ পরে মেয়ে টুক টুক করে হেটে এসে সে গাড়িতে বসল।
তারপর আবার তার সামনে বসছে। সামনের দিকে তাকালেই দুইজনে চোখা-চোখি হওয়ার কথা কিন্তু মেয়েটার সে দিকে কোন সাড়া নেই। নিচের দিকে চেয়ে আছে, আর মাঝে মধ্যে একটু পাশে তাকিয়ে দেখে কতটুকু আসছে!
অথচ ছেলেটা তাকে দেখার পর থেকে আর কোন দিকে চোখ সরাতে পারছে না।
আর পারবেই বা কেমনে! কারো সামনে এতো সুন্দর গোলাপ ফোটে থাকলে কে না তাকিয়ে দেখবে! কে না একটু ছুতে চাইবে!
মনে মনে অনেক ভাবনা করলেও, তা করা সম্ভব না। কারণ ছেলেটা কলেজ ইউনিফরম পড়ে আছে। এরপর আবার গাড়িতে অন্য লোকও আছে!
তার উপর আবার ছেলেটি একটু লাজুক ধরনের। কিন্তু আজ কেমনে যে সে এতোক্ষণ তাকিয়ে থাকল আল্লাহ মালুম!
গাড়ি মোড়ে মোড়ে থামছে আর যাত্রী নামাচ্ছে। আর এই দিকে ছেলেটির বুকে
ধুক ধুক করছে! এই বুঝি নেমে যাবে।
আর দেখা তো হবে না!
এরপর আবার ক্লাসেরও সময় হয়ে গেছে।
কিন্তু মেয়েটা এখন একপলক তার সামনে
দেখেনি।
আচ্ছা কি এমন হতো একবার সামনে তাকালে! কি এমন হতো ছেলেটার চোখে একবার চোখ রাখলে!
আচ্ছা মেয়েটা কারো সাথে প্রেম করছে না তো বা কারো সাথে যুগল বন্ধি হয়ে যায়নি তো! না হয় কেউ এমন করে বসে থাকে!
জামাল খান রোড় ক্রস করার পর মহসিন কলেজের হোস্টেল গেটে মেয়েটা সত্যি সত্যিই নেমে গেলো।
আর ভীতরে -ভীতরে ছেলেটার মন ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে।
আর একদৃষ্টিতে তার চলে যাওয়া কে অবলকন করছে। আর মনে মনে বলছে, আসলে একটু সুন্দর মেয়ে হলে তাদের ভাব বেড়ে যায়! যার কারণে তারা শেষ পর্যন্ত কারো সাথে প্রেম করতে পারে না।
আর বিয়া করলেও করে,মজিবুল হকের মতো বোড়ুকে না হয় আফ্রিকান, কানাডিয়ান এর মতো ছেলেকে!
কিছুক্ষণ পর গাড়ি চট্টগ্রাম কলেজের গেটে এসে থামল আর ভাড়া মিটিয়ে দিয়ে, সেও আনমনে ক্যাম্পাসের দিকে হাটা দিলো।