মাসুদ এখন খুব সাংসরিক ছেলে হয়ে গেছে।ইদানিং তার খুব ব্যস্ত সময় যাচ্ছে।কেউ আর চাইলে আগের মত তার দেখা মেলে না কোন বন্ধুও এখন আর তার সাথে দেখা করতে চাইলে পারেনা। হ্যাঁ পারে তবে যে দিন সে ফ্রি থাকে।অথচ আগে মাসুদ এমন ছিলো না।সব সময় যে কেউ চাইলে,যখন-তখন তাকে পাশে পেত। কি সুন্দর দিন পাড় করেছে আগে।কোন বন্ধুদেরও অভিমান ছিলো না তার প্রতি। আর এখন লাইলাও তার দেখা পায়না
লাইলা ছিলো তার একজন ভালো বন্ধু।ধীরে ধীরে সে বন্ধু প্রেমিকা হয়ে যায়। আর আবারও প্রমাণ হলো, ছেলে-মেয়ে বন্ধু হয়না।এক সময় তারা দুই জন,দুইজনার হয়ে যায়।কারণ প্রকৃতি তাদের এমনি করে তৈরি করেছে।
মাসুদ-লাইলা যখন বন্ধু ছিলো তখন,তারা কারো প্রতি এতো টান ছিলো না,যতটা এখন হয়েছে।সারাদিন কি করে,কে কোথায় যায়,কার সাথে যায় ইত্যাদি খুজ-খবর নিতে থাকে।প্রেমে পড়লে মনে হয় সবাই এমন হয়ে যায়।
কারণ তখন তাদের চাহিদা আরো বেড়ে যায়
কিন্তু মাসুদ তো আর আগের মত এখন তাকেও সময় দেয় না। যার কারণে সম্পর্ক টাও একটু হালকা হয়ে গেছে।
মাসুদ এখন সারাদিন নিজে কে নিয়ে ব্যস্ত।
নিজের কেরিয়ার নিয়ে চিন্তিত।
কিভাবে নিজে একটা ভালো জায়গায় নিতে পারবে,সেটা নিয়ে চিন্তিত।আর সেটার পিছনে ছুটতে গিয়ে এখন তার জীবন থেকে আগের অনেক কিছুই হারিয়ে গেছে।
এখন সে শুধু নতুন কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকতে চাই।
যেমন, সামাজিক কার্যকর্মে ব্যস্ত থাকা,নতুন কোচিং নিয়ে
ব্যস্ততা, নিজের পড়ালেখা নিয়ে ব্যস্ততা,মা-বাবার কথা চিন্তা করা ইত্যাদি।
যার ফলে মাসুদ হয়ে গেছে এখন ভিন্ন একজন রুপে।
আর এখন শুধু দেখার বিষয়, সে আগামিতে কোথায় গিয়ে পৌছায় এবং কোথায় গিয়ে বসায় নিজেকে ।