এক পক্ষের দাবি বাংলাদেশের উচিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া এবং অন্যপক্ষ আশ্রয় দেয়ার বিপক্ষে । প্রথম পক্ষের এই দাবির কারন হচ্ছে মানবতা । আমাদের মুসলিম ভাইয়েরা মরে যাচ্ছে, আমরা কি তাদেরকে সাহায্য না করে বসে থাকতে পারি? অন্যপক্ষের মতে, সেই ১৯৯২ সাল থেকেই রোহিঙ্গারা অবৈধভাবে এই দেশে বসবাস করছে এবং বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সৃষ্টি করছে । তাছাড়া আমরা নিজেরাই ১৮ কোটি জনসংখ্যার ভারে ন্যুজ এমতবস্থায় তাদের দায়দায়িত্ব নেয়া আমাদের পক্ষে কষ্টকর । আরেকটি লক্ষ্যনীয় বিষয় হল, মায়ানমারের অনেকে রোহিঙ্গাদের বাঙ্গালি বলে অবহিত করে, সুতরাং পুশ-ইন হওয়ার পর পুশ-ব্যাক করা আমাদের জন্য কঠিন হয়ে পরতে পারে ।
তর্ক-বিতর্ক করলে অনেক কিছুই করা যায় কিন্তু আমি কিছুটা ভিন্নভাবে ভাবছি ।
আমার মতে, বাংলাদেশ সরকারের উচিত রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেয়া এবং তাতে আমাদেরই লাভ । আমি আসলে এইটাকে একটা বিশেষ প্রকল্প হিসেবে দেখছি এবং সেভাবেই লাভ-ক্ষতি হিসাব করেছি ।
প্রকল্পটি যেভাবে বাস্তবায়িত হবেঃ
1. প্রথমে ৫ থেকে ১০ হাজার রোহিঙ্গা শরণার্থীকে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিব, তারপর তাদের দিয়ে একটি ডকুমেন্টারি মুভি বানিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন টিভি চ্যানেল এবং ইন্টারনেটে প্রচার করবো । (মিডিয়াতে আমরা প্রকাশ করবো যে আমাদের দেশে ১ থেকে ২ লক্ষ রোহিঙ্গা অবস্থান করছে ।),
2. আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতা ও শান্তির বানী নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যসহ উন্নত বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাবে এবং শরণার্থীদের সাহায্যের জন্য তাদেরকে উৎসাহিত করবে ।
বাংলাদেশ যেভাবে লাভবান হবেঃ
1. উন্নত দেশের দান করা টাকায় আমাদের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ বাড়বে,
2. আমাদের প্রধানমন্ত্রী যদি নিজেকে একজন সত্যিকারের নেতার ন্যায় নিজেকে মিডিয়াতে হাইলাইট করতে পারে, তাহলে তার নোবেল পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে বেড়ে যাবে ।
3. আমরা যেহেতু ১-২ লক্ষ মানুষের জন্য অর্থ সাহায্য নিয়ে ৫-১০ হাজার মানুষকে সাহায্য করবো তাই মোট টাকার একটা বিশাল অংশ আমাদের দেশের নিজের প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারব ।
পরিকল্পনা কেমন লাগলো? বাংলাদেশ সরকার যদি চায় আমি একটা মাস্টার প্ল্যান করে দিতে পারি । ওহ আরেকটা ব্যপার, শেখ হাসিনা নিজেকে শান্তির বাহক হিসেবে পরিচয় করিয়ে দেবার জন্য এইটাই হতে পারে মোক্ষম সুযোগ ।