somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

উচ্চশিক্ষা: সম্পদ নয় 'বোঝা'

১৩ ই অক্টোবর, ২০১১ রাত ১২:৫৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে শিক্ষার হার ক্রমাগত বাড়ছে। এটা আশার কথা। একসময়ে সারা বাংলাদেশ থেকে ২০জন বোর্ড স্ট্যান্ড করলেও বর্তমানে প্রতিবছর হাজার হাজার শিক্ষার্থী শুধু জিপিএ ৫ পেয়েই বের হচ্ছে। তারমানে দেশে মেধাবী শিক্ষার্থীর সংখ্যাও বাড়ছে। যদিও একটি পক্ষ বলছে, শিক্ষার্থীদের নাম্বার বাড়িয়ে দিয়ে জিপিএ ফাইভ ও পরীক্ষার হার বাড়ানো হচ্ছে। অন্যদিকে সরকার বলছে শিক্ষার্থীরা এখন পড়াশোনায় মনোযোগ দিয়েছে। তাই শিক্ষার হার বাড়ছে। শিক্ষার্থীদের নাম্বার বাড়িয়ে দিয়ে পরীক্ষার হার বাড়ানো হচ্ছে নাকি পড়াশোনার মান বেড়েছে আমরা সে বিতর্কে যেতে চাই না। এ বিতর্কে না থেকে আমরা বলতে চাই এটাই যে প্রতিবছর উচ্চ মাধ্যমিকে যে হারে হাজার হাজার জিপিএ ফাইভ প্রাপ্তরা সহ অন্যান্যরা সাফল্যের সঙ্গে উত্তীর্ণ হয়ে উচ্চশিক্ষার জগতে প্রবেশ করছে তাদের ভবিষ্যত কি? প্রতিবছর বিভিন্ন কলেজ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হচ্ছে হাজার হাজার গ্রাজুয়েট। সরকারও উচ্চশিক্ষার পেছনে প্রতিবছর লক্ষ লক্ষ টাকা ব্যয় করছে। ফলে বাড়ছে উচ্চশিক্ষা। কিন্তু বাড়েনি উচ্চশিক্ষিতদের জন্য কর্মসংস্থান। দেশে কর্মহীন উচ্চশিক্ষিত বানিয়ে কী লাভ হচ্ছে রাষ্ট্রের? পশ্চিমা দেশগুলো যখন দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে আমরা তখন তৈরি করছি সাধারণ শিক্ষায় শিক্ষিত বেকার। এ শিক্ষিত উচ্চশিক্ষিত বেকাররা না পাচ্ছে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পারছে সাধারণ মানের কোনো কাজ করতে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো কি আজ স্রেফ বেকার তৈরির প্রতিষ্ঠান? দেশের এসব শিক্ষিত বেকাররা কি আজ রাষ্ট্রের বোঝা হয়ে পড়েছে? বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ করে এসব বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে প্রতিবেদনে।

উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যই যে বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ শেষে চাকরি করতে হবে তা নয়, তবে বাংলাদেশ বিশেষ করে তৃতীয় বিশ্বের দারিদ্রপীড়িত দেশগুলোতে প্রায় প্রত্যেক শিক্ষার্থীর স্বপ্ন থাকে পড়ালেখা শেষে ভালো একটা চাকরি। যা তাকে দিবে ভালো চাকরির নিশ্চয়তা দেবে এটাই উদ্দেশ্য থাকে। প্রতিবছর বিভিন্ন স্কুল ও মাদ্রাসা থেকে সাধারণ শিক্ষার্থী ছাড়াও হাজার হাজার জিপিএ ফাইভ শিক্ষার্থী বের হচ্ছে। এসব শিক্ষার্থীরা ভর্তি হচ্ছে বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়, প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয় কিংবা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন কলেজে। প্রতিবছর বাংলাদেশে গড়ে গ্রাজুয়েট বের হচ্ছে লক্ষাদিকেরও বেশি। ফলে বাড়ছে উচ্চ শিক্ষিতদের সংখ্যা কিন্তু তাদের জন্য নেই কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা। ফলে এসব উচ্চ শিক্ষিতরা যোগ্যতা অনুযায়ী কর্মসংস্থান না পেয়ে দেশের বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছে। রাষ্ট্র এসব উচ্চ শিক্ষিতদের যোগ্যতা অনুযায়ী দিতে পারছে না কোনো চাকরি। শিক্ষিত বেকারের তালিকা দীর্ঘ হয়ে বোঝা বাড়ছে রাষ্ট্রের। সরকারি কোনো সেক্টরে নিয়োগ বিজ্ঞাপ্তির সার্কুলারে শূন্য আসনে ১০টি পদে লোক নেয়ার ঘোষণা দিলে সেখানে চাকরির দরখাস্ত পড়ছে লক্ষাদিকের বেশি। তার ওপর চলে নিয়োগ পেতে জোর লবিং। অর্থ ও ক্ষমতার জোরে যে এগিয়ে থাকে নিশ্চিত হচ্ছে শুধু তার চাকরি। আর বাকিরা এক অনিশ্চয়তার দোলায় দোল খেতে থাকে। এই হলো বাংলাদেশের কর্মসংস্থানের অবস্থা।
শিক্ষিত বেকার বানিয়ে রাষ্ট্রের কি লাভ হচ্ছে?
ধরা যাক আবদুল মজিদের তিন সন্তান। গ্রামে তার পর্যাপ্ত জায়গা জমি আছে। তা দিয়ে ভালোই সংসার চলে। তিন সন্তানের মধ্যে বড় দু সন্তান অর্ধ শিক্ষিত আর ছোট সন্তান পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইতিহাসে অনার্সে মাস্টার্স। আবদুল মজিদের অর্ধ শিক্ষিত দু’ছেলের মধ্যে একজন গ্রামের মুদি দোকানদার। আরেকজন বাবার জায়গা জমিতে হালচাষ ও রক্ষণাবেক্ষনের দ্বায়িত্বে আছে। অর্ধ শিক্ষিত এ দুই ছেলের চাইতে আবদুল মজিদ অনেক বড় স্বপ্ন দেখেছে তার শিক্ষিত ছেলেকে নিয়ে। অন্তত সে ভালো একটা চাকরি করে বাবার মুখ উজ্জল করবে। সংসারের বাতি জ্বালাবে। বাবা বুক ফুলিয়ে মানুষকে বলবে- দেখ আমার ছেলে পড়ালেখা শেষে কত বড় চাকরি করে। কিন্তু ইতিহাসে মাস্টার্স আবদুল মজিদের এ শিক্ষিত ছেলে টানা তিন বছর জুতার তলা ক্ষয় করেও তার যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি যোগাতে পারেনি। তৃতীয় শ্রেনীর কেরানীর চাকরিতেও সে দরখাস্ত করেনি কারণ সে বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ডিগ্রিধারী। আবদুল মজিদের এ শিক্ষিত ছেলেকে নিয়ে বেকায়দায় পড়েছেন। তাকে না পারছেন গ্রামে কৃষি কাজ করাতে না পাচ্ছে যোগ্যতা অনুযায়ী কোনো চাকরি। আবদুল মজিদের বোঝা এখন তার শিক্ষিত ছেলে। বাংলাদেশে অসংখ্য আবদুল মজিদের শিক্ষিত সন্তানই এখন বোঝা হয়ে দাড়াচ্ছে। সরকারি বেসরকারি উভয় সেক্টরে চাহিদার তুলনায় চাকরি প্রার্থীর সংখ্যা কয়েক শ’ গুণ বেশি। একটি জরিপে দেখা গেছে সরকারি একটি পদের জন্য গড়ে দরখাস্ত পড়ছে পাঁচ হাজার। দেশে এতোসব শিক্ষিত বেকার তৈরি করে শিক্ষিতের হার বাড়লেও অর্থনৈতিকভাবে লাভবান হচ্ছে না বাংলাদেশ। বরং বোঝা বাড়ছে সমাজের ও রাষ্ট্রের। অর্থনৈতিকভাবেও পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ।

সময়ের সাথে প্রতিবছরই উচ্চশিক্ষার স্রোতের সাথে বাড়ছে বেকারত্ম। দেশে যে হারে বেকারত্ম বাড়ছে তা অব্যাহতভাবে চলতে থাকলে ২০১৫ সালের মধ্যে বেকারতœ দেড়গুণ বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা করেছেন অর্থনীতিবিদরা। বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ এবং বর্তমান সরকারের আমলে গঠিত জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির কো-চেয়ারম্যান ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন ‘শিক্ষা এবং অর্থনৈতিক নীতিতে সমন্বয়ের অভাবের কারণে ২০১৫ সালের মধ্যে বেকারত্ব আরও প্রায় দেড়গুণ বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে।’
গত এক দশকে বাংলাদেশে বেকারত্ব বেড়েছে ১ দশমিক ৬ শতাংশ, কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার কমেছে ২ শতাংশ। আর বর্তমান হার বজায় থাকলে ২০১৫ সালে মোট বেকার হবে ৬ কোটি। এ সময়ে শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধির হার সবচেয়ে বেশি বেড়েছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো, আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও), কমনওয়েলথসহ একাধিক সংস্থার সর্বশেষ পরিসংখ্যানে এ তথ্য উঠে এসেছে। । আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা আইএলওর সর্বশেষ তথ্যে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বর্তমানে বেকারত্ব বাড়ার হার ৩ দশমিক ৭ শতাংশ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী বাংলাদেশে প্রতি বছর কর্মবাজারে প্রবেশ করছে প্রায় ২৭ লাখ আর চাকরি পাচ্ছে মাত্র এর ৭ শতাংশ বা ১ লাখ ৮৯ হাজার। অর্থাৎ প্রতি বছর কর্মবাজারে প্রবেশকারী বেকার থাকছে প্রায় ৯৩ শতাংশ। এক দশক আগে ২০০০ সালে বেকারত্ব বৃদ্ধির হার ছিল ১ দশমিক ৯ শতাংশ। এ সময়ে কর্মবাজারে প্রবেশ করত প্রায় ১৮ লাখ আর কর্মসংস্থানের হার ছিল ১১ শতাংশ।
আইএলওর পরিসংখ্যান অনুযায়ী বর্তমানে বাংলাদেশে মোট জনসংখ্যার ৪০ শতাংশ বেকার, অর্থাৎ প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষ বেকার। আইএলওর রিপোর্টে বলা হয়, বর্তমান হারে বেকারত্ব বাড়লে ২০১৫ সাল পর্যন্ত বেকারের সংখ্যা দাঁড়াবে প্রায় ৬ কোটি। অন্যদিকে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুযায়ী গত তিন বছরে নতুন কর্মসংস্থান যোগ হয়েছে প্রায় ৩১ লাখ। বর্তমান কর্মসংস্থান প্রবৃদ্ধির হার ২ দশমিক ২ শতাংশ। ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার ছিল ৪ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০০৫-০৬ অর্থবছরের পর থেকে ২০০৮-০৯ অর্থবছর পর্যন্ত কর্মসংস্থান বৃদ্ধির হার কমতে থাকে।
ঘরে ঘরে চাকরি এবং আওয়ামী লীগের প্রতিশ্রুতি
আওয়ামী লীগের নির্বাচনি প্রতিশ্র“তি ছিল বাংলাদেশের প্রতি ঘরে ঘরে একজনকে চাকরি দেয়া। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইশতেহার-২০০৮ দিনবদলের সনদ এর ১৪ নাম্বার প্যারায় উল্লেখ আছে। ‘বছরে ন্যূনতম ১০০ দিনের কর্মসংস্থানের জন্য প্রত্যেক পরিবারের একজন কর্মক্ষম বেকার তরুণ/তরুণীকে কর্মসংস্থানের জন্য ‘এমপ−য়মেন্ট গ্যারান্টি’ স্কিম পর্যায়ক্রমে কার্যকরী করা হবে। সকল কর্মক্ষম নাগরিকের নিবন্ধন করা হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ নতুন প্রজন্মের সমূদয় যুব সমাজকে দুই বছরের জন্য ‘ন্যাশনাল সার্ভিস’-এ নিযুক্ত করার জন্য প্রকল্প গ্রহণ করা হবে।’ মহাজোট সরকারের আড়াই বছর গেলেও তাদের এ প্রতিশ্র“তি বাস্তবায়নতো হয়নি বরং ঘরে ঘরে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা বাড়ছে। দীঘতর হচ্ছে বেকারের লাইন।
লেবার ফোর্স সার্ভে অনুযায়ী বাংলাদেশে কর্মক্ষম মানুষের সংখ্যা প্রায় সাড়ে আট কোটি। এর মধ্যে ১৫ থেকে ২৯ বছর বয়সী লোকের সংখ্যা ৪১ শতাংশ অর্থাৎ প্রায় ৩ কোটি ৪৮ লাখ। এর মধ্যে বেকারের সংখ্যা প্রায় দেড় কোটি। সার্ভে অনুযায়ী দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা প্রায় ১৫ লাখ। এছাড়া আরও প্রায় ৮৫ লাখ যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি পায়নি। এ ৮৫ লাখকে বেকার ধরলে বাংলাদেশে এ মুহূর্তে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দাঁড়ায় প্রায় এক কোটি।
২০০০ সালের তথ্য অনুযায়ী শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা ছিল প্রায় ৮ লাখ এবং আন্ডার এমপ্লয়মেন্টের শিকার প্রায় ৫৫ লাখ। পরিসংখ্যান অনুযায়ী প্রতি বছর প্রায় এক লাখ শিক্ষিত বেকার শ্রমবাজারে আসছে, যার মধ্যে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে শ্রমবাজারে প্রবেশ করছে প্রায় ৫০ হাজার। এর মধ্যে ৪৫ শতাংশ চাকরি পেলেও প্রায় ৫৫ শতাংশ বেকার থাকছে কিংবা যোগত্যা অনুযায়ী চাকরি পাচ্ছে না।
এসব পরিসংখ্যান সম্পর্কে বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদ ড. কাজী খলীকুজ্জমান আহমদ বলেন, ‘এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে বেকারত্বের পরিসংখ্যান খুবই জটিল। কোনো পরিসংখ্যানেই সঠিক চিত্রও উঠে আসে না। তবে সব পরিসংখ্যানের সূচক হচ্ছে বেকারত্ব বৃদ্ধির দিকে। বিশেষ করে প্রতি বছর শিক্ষিত বেকার বৃদ্ধির চিত্র জাতির জন্য শঙ্কার। শিক্ষার ভিত্তিতে অর্থনৈতিক নীতি এবং অর্থনীতির গতি- ্রকৃতির আলোকে শিক্ষার ব্যবস্থা সমন্বয় না করলে এ সংখ্যা ক্রমাগত বাড়তেই থাকবে।’
উল্টোদিকে বাংলাদেশ!
পশ্চিম যখন দক্ষ জনশক্তি তৈরি করছে তখন আমরা ঘরে ঘরে তৈরি করছি শিক্ষিত বেকার। কর্মমূখী শিক্ষার দিকে জোর দিয়ে আজ পশ্চিমা রাষ্ট্রগুলো অর্থনৈতিকভাবে সমৃদ্ধশালী হয়ে উঠেছে। আমরা হাঁটছি উল্টোদিকে। আমাদের কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হয়ে উঠেছে বেকার তৈরির কারখানা। দেশের একটি বিশাল অংশ আজ শিক্ষিত বেকার। যারা না পাচ্ছে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরী; না পারছে সাধারণ মানের কোনো কাজ করতে। বর্তমানে দেশে ৩৪টি পাবলিক বা সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়, ৫৩টি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়, ২০১টি সম্মান ও মাস্টার্স কলেজ (তন্মধ্যে সরকারী ১০২টি), এবং ১৭৫টি কামিল মাদ্রাসা (সরকারী মাত্র ৩টি)। (২০০৬ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর খালেদা জিয়ার মন্ত্রীসভা ফাজিল ও কামিল ডিগ্রিকে যথাক্রমে ডিগ্রি ও মাস্টার্স-এর মর্যাদা দেয়। সে বছরই সরকার কওমী মাদ্রাসার সর্বোচ্চ ডিগ্রি, দাওরা ডিগ্রিকে, ইসলামিক ইতিহাস/আরবী সাহিত্যে মাস্টার্স-এর মর্যাদা দেয়। দাওরা ডিগ্রি প্রদানকারী মাদ্রাসার সঠিক সংখ্যা জানা নেই। এগুলোর বাইরে আরো অল্প কিছু উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে) প্রতিবছর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ৪০ হাজার এবং মাদ্রাসা থেকে ৪০ হাজার শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষার সনদ পাচ্ছেন।
শিক্ষিত বেকারদের কর্মসংস্থান কে দেবে?
এ বিষয়ে কথা বলতে মুখোমুখি হয়েছিলাম দেশের একজন বিশিষ্ট অর্থনীতিবিদের। তিনি নাম প্রকাশ না করার শর্তে কথা বলতে রাজী হন। এ বিষয়ে কথা বলতে নাম প্রকাশ না করার শর্ত কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন ‘এ বিষয়ে বললে আমাকে হয়তো বলা হবে উচ্চশিক্ষার বিরোধী কথা বলছি।’ তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এই যে সাধারণ শিক্ষায় যে হারে উচ্চশিক্ষিতের সংখ্যা বাড়ছে এটা সমাজের বোঝা ছাড়া আর কিছু নয়। কারণ এসব উচ্চ শিক্ষিতদের চাইতে গার্মেন্টসের একজন পোশাক শ্রমিক দেশকে কিছু দিতে পারছে আর সাধারণ শিক্ষায় একজন শিক্ষিত সে হয়তো সমাজকে দুইটা নীতি কথা শুনাচ্ছে। এর বেশি কি?’ তবে কর্মমূখী বিষয়গুলো ভিন্নবলে জানালেন তিনি। তিনি উৎপাদনমূখী শিক্ষার কথা বলেন। উৎপাদনমূখী শিক্ষায় প্রয়োজনে মানবীয় গুণাবলি সম্পন্ন বিষয়গুলো অন্তর্ভূক্ত করার পরামর্শ দেন। পর্যাপ্ত কর্মসংস্থান না থাকলেও থেমে নেই উচ্চশিক্ষার স্রোত। নিম্নমানের উচ্চশিক্ষার সম্প্রসারণ ঘটেই চলেছে। কিন্তু বেকারত্ব হ্রাসে কারও মাথাব্যথা নেই। কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষা সম্প্রসারণের উদ্যোগও তেমন চোখে পড়ছে না। অথচ এটাই সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। সময়ের দাবি।
চাকরীদাতা দাতা কে?
বাজেটের বড় একটা অংশ বরাদ্দ থাকে শিক্ষাখাতে। সরকার উচ্চশিক্ষা উৎসাহিত করতে বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় করলেও উচ্চশিক্ষিতদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির পদক্ষেপ উল্লেখ করার মতো নয়। সরকারি কাঠামোর মধ্যেও এসব উচ্চশিক্ষিতের জন্য অল্পসংখ্যক পদই খালি আছে। এসব পদ পূরণে সরকারি পদক্ষেপও সামান্যই দেখা গেছে। সরকারি কাজে উচ্চশিক্ষিতদের প্রথম শ্রেণী ও দ্বিতীয় শ্রেণী, এই দুটি পদকে ঘিরেই চাকরি প্রাপ্তির চেষ্টা থাকে। কিন্তু বাস্তব চিত্রটা হতাশাজনক। ২০০৬ সালে বেসামরিক প্রশাসনে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে চাকরিরত ছিলেন ৯৩ হাজার ৮শ ৩৯ জন। প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তার পদ খালি ছিল ২৩ হাজার ৪শ ৩৬টি। একই বছর দ্বিতীয় শ্রেণীর কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন ৫৩ হাজার ৪শ ৭১ জন এবং পদ খালি ছিল ১ হাজার ৭শ ৩৬৭টি। এর বাইরে সরকারি তৃতীয় শ্রেণীর চাকরিতে পদ খালি ৮২ হাজার ৪শ ৬৬টি। সরকারি চাকরিতে ২০০৬ সালে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণীর ৪০ হাজার শূন্য পদের বিপরীতে কয়েক লাখ উচ্চশিক্ষিত বেকার ছিল। এই সংখ্যা বাড়ছে। ২০০৭ সালে সরকারি চাকরিতে কর্মরত ছিল ১০ লাখ ৪৩ হাজার জন। খালি পদের সংখ্যা ছিল প্রায় ১০ লাখ। সরকার দাবি করেছে ২০০৯ সালে প্রায় ৭০ হাজার লোক সরকারি চাকরি পেয়েছে। এছাড়াও বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থায় উচ্চশিক্ষিতদের জন্য কিছু কর্মসংস্থান হলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই কম।
দায়সারাভাবে চলছে উচ্চশিক্ষা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে হলে অবস্থানরত কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বলে জানা যায়, ৬/৭ বছর আগের পুরাণো নোটের দিকেই শিক্ষার্থীদের নজর। পরীক্ষার কয়েকদিন আগে শিক্ষার্থীরা এসব নোট থেকে কয়েকটা প্রশ্ন মুখস্ত করেই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে মাস্টার্সের শিক্ষার্থী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হওয়া হয়তো কিছুটা কঠিন তবে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে উত্তীর্ণ হয়ে বেরিয়ে আসা কঠিন নয়।’ তিনি জানান, পরীক্ষার আগেই বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা কি আসবে তার একটা সম্ভাব্য ধারণা দেন। বিভিন্ন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত আরো কয়েকজন শিক্ষার্থীও একই কথা বলেন। এ বিষয়ে দেশের বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এতে সার্টিফিকেট অর্জন হয় ঠিকই কিন্তু জ্ঞান অর্জন হয় না। ফলে সিলেবাস ভিত্তিক মুখস্ত বিদ্যার শিক্ষা কোনো কাজে আসছে না।’ অন্যদিকে শিক্ষকরাও নিজ প্রতিষ্ঠানে পাঠদানের পরিবর্তে বড় অংকের টাকার লোভে অন্য প্রতিষ্ঠানে পাঠদান ও পরামর্শকের কাজ করছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে মানসম্মত গবেষণা নেই। চলছে শিক্ষক ছুটির হিড়িক। এদের অনেকে আবার সরকারি টাকায় বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিয়ে চাকরি ছেড়ে দিচ্ছেন। যোগ দিচ্ছেন বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে কিংবা অন্যত্র। সরকারি টাকায় উচ্চশিক্ষিত হয়ে অনৈতিকভাবে বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরির মাধ্যমে উপার্জন করছেন বড় অঙ্কের টাকা। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে,পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক শিক্ষক আবার নিজ প্রতিষ্ঠানে পড়ানোর পাশাপাশি ২-৩টা বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াচ্ছেন। এতে করে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে তার পাঠদান পর্বটির দায়সারাভাবে সারছেন। ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। বর্তমানে দেশে এই সংখ্যা ৫৪। উচ্চ মধ্যবিত্ত বা উচ্চবিত্ত পরিবারের সন্তারাই অর্থমূল্যে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হচ্ছেন। টাকার বিনিময়ে সার্টিফিকেট বিক্রির অভিযোগও রয়েছে কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে। মানসম্মত ক্যাম্পাস ছাড়াই মার্কেটের কিংবা শপিংমলের ওপর তলায় বসেছে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে খন্ডকালীন শিক্ষক ভাড়া করে চলছে শিক্ষাদান। পাঠ্যসূচির অবস্থাও করুণ। সামান্য কয়টি ক্লাস নিয়েই কোর্স শেষ করা হয়। দেওয়া হয় সার্টিফিকেট।
বেকারত্ম হ্রাসে মাথা ব্যাথা নেই কারো
ছোট হয়ে আসছে কর্মক্ষেত্রের পরিধি। প্রতিবছর বাড়ছে হাজার গ্রাজুয়েট। দীর্ঘ হচ্ছে বেকারের লাইন। ক্রমবর্ধমান বেকারত্ব ক্রমেই বোঝা হয়ে দাঁড়াচ্ছে রাষ্ট্রের জন্য। অপরদিকে সরকারের বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে দেড় লাখের বেশি শূন্যপদ থাকলেও সেখানে নিয়োগ পাচ্ছে না শিক্ষিত বেকাররা। জানা গেছে, দেশে কত লোক কর্মহীন তার সুনির্দিষ্ট কোনো তথ্য নেই সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কাছে। বিভিন্ন গবেষণা থেকে ধারণা পাওয়া যায়, দেশের মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ যুবক। আর তাদের ৪০ ভাগই বেকার। সে হিসাবে প্রায় ৩ কোটি মানুষ ঘুরছে কাজের খোঁজে। যদিও সরকারি চাকরিতে দেড় লাখেরও বেশি পদ দীর্ঘদিন ধরে শূন্য রয়েছে। কিন্তু আমলাতান্ত্রিক নানা জটিলতায় এসব পদে নতুন করে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে না।
শুধু মেধার জোরেই চাকরি জোটে না!
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ২০০৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে মাস্টার্স সম্পন্ন করেন হাসান। স্নাতকে ২য় শ্রেণী ছাড়া বাকি সব পরীক্ষাতে প্রথম শ্রেনী। হাসান জানান, সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দেখলেই আবেদন করে সে। লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়, মৌখিক পরীক্ষাও ভালো হয় কিন্তু আজ আবদি তার কাছে কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে অ্যাপয়নমেন্ট লেটার আসেনি। কয়েকটি বেসরকারি প্রাইভেট ব্যাংকেও টানা একবছর ধরে এমন হচ্ছে বলে তার অভিযোগ। হাসান বলেন ‘চলতি বছরে যে কয়েকটি প্রাইভেট ব্যাংকে অফিসার পদে আমি পরীক্ষা দিয়েছি তার লিখিত ও মৌখিক উভয় পরীক্ষা ভালো হয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘অর্থ ও ক্ষমতা কোনোটাই আমার নেই তাই চাকরি হয়নি।’ বর্তমানে টিউশনি করে তিনি জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে জানান। হাসানের মতো উচ্চ শিক্ষিত অনেকেই চাকরি না পেয়ে ভুগছে হতাশায়। বর্তমানে শিক্ষিত বেকারদের অভিমত, চাকরির ক্ষেত্রে শুধু সার্টিফিকেট থাকলেই হচ্ছে না। প্রায় সব সেক্টরেই নিয়োগ বাণিজ্য চলছে বলে তাদের অভিযোগ। অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে একাধিকবার সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়া নিরপেক্ষতার সহিত করার জন্য আদেশ ছিল। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে বিগত বিএনপি জামায়াত সরকারের আমলের মতো নিয়োগ বাণিজ্য রমরমাভাবে না চললেও গোপণে এখনও চলছে নিয়োগ বাণিজ্য।
শিক্ষার্থীর প্রতি রাষ্ট্রের মাথাপিছু ব্যয় ১ লাখ ২০!
পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের শিক্ষার মাথাপিছু ব্যয়ভার বেড়েই চলছে। শিক্ষার্থীর মাথাপিছু বর্তমান বার্ষিক ব্যয় ১ লাখ ২০ হাজার টাকারও ওপরে। অথচ তিন বছর আগে অন্তত ১০ থেকে ১২ হাজার টাকা কম ছিল। সাধারণ পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে এ চিত্র হলেও বিজ্ঞান, চিকিৎসা, প্রকৌশল ও কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে এ ব্যয় আরও বেশি। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) প্রতিবেদনে রাজস্ব বরাদ্দের ভিত্তিতে মাথাপিছু ব্যয়ের চিত্রে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ৩০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ২ লাখ ৬২ হাজার ৯৪১ জন। তাদের মাথাপিছু ব্যয় হয়েছে ৬১ হাজার ৬১৬ টাকা। ২০০৮ সালে ২৭টি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৬৪ হাজার ৬২৪ জন। মাথাপিছু ব্যয় হয়েছে ৫৯ হাজার ৫২৪ টাকা। ২০০৭ সালে ২৫টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ছিল ১ লাখ ৬০ হাজার ৭২৭ জন। মাথাপিছু ব্যয় হয়েছে ৪৯ হাজার ৯০৮ টাকা। ইউজিসির এ ব্যয়ের চিত্র চলতিবছর জাতীয় সংসদে উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০০৯ সালে ১৭টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথাপিছু ব্যয় বেড়েছে। এরমধ্যে রয়েছে ঢাকা, রাজশাহী, বাংলাদেশ কৃষি, বাংলাদেশ প্রকৌশল, চট্টগ্রাম, জাহাঙ্গীরনগর, ইসলামী, খুলনা, হাজী দানেশ, শেরেবাংলা কৃষি, রাজশাহী প্রকৌশল, খুলনা প্রকৌশল, ঢাকা প্রকৌশল, জগন্নাথ, কাজী নজরুল, চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়। মাথাপিছু এ ব্যয় ২০০৮ সালের তুলনায় ২ হাজার ৯২ টাকা এবং গত ২০০৭ সালের তুলনায় ১১ হাজার ৭০৮ টাকা বৃদ্ধি পেয়েছে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শুধু স্নাতকোত্তর গবেষণা প্রতিষ্ঠান হওয়ায় তাদের মাথাপিছু ব্যয় সর্বাধিক।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে শিক্ষার্থীদের মাথাপিছু ব্যয় হয়েছে ৬১ হাজার ৬৫৯ টাকা। ২০০৮ সালে ব্যয় ছিল ৫৪ হাজার ১৫৩ টাকা এবং ২০০৭ সালে ছিল ৫২ হাজার ৬৮৪ টাকা। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে মাথাপিছু ব্যয় হয়েছে ৩৭ হাজার টাকা। ২০০৮ সালে ছিল ৩৩ হাজার ৫০৫ টাকা, ২০০৭ সালে ব্যয় হয়েছে ৩১ হাজার ৯২৭ টাকা। বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে মাথাপিছু ব্যয় ছিল ১ লাখ ৭৫ হাজার ৯১৭ টাকা। ২০০৮ সালে ১ লাখ ৬৩ হাজার ৫৯ টাকা, ২০০৭ সালে ছিল ১ লাখ ৩৬ হাজার ৮৬৯ টাকা। ২০০৯ সালে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাথাপিছু ব্যয় ৭৩ হাজার ১২৭ টাকা। ২০০৮ সালে তা ছিল ৬৬ হাজার ৭০৮ টাকা এবং ২০০৭ সালে ছিল ৫৩ হাজার ৯১২ টাকা। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ছিল ৪১ হাজার ৪২৭ টাকা, ২০০৮ সালে ৩৬ হাজার ৩৪ টাকা এবং ২০০৭ সালে ছিল ৩৪ হাজার ৭০৩ টাকা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ছিল ৫০ হাজার ৭৭৬ টাকা। ২০০৮ সালে ৪৯ হাজার ৫৫৩ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৪৮ হাজার ৪৯০ টাকা। ২০০৯ সালে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে মাথাপিছু ব্যয় ২৯ হাজার ১৩১ টাকা। ২০০৮ সালে ২৫ হাজার ৯৬৬ টাকা, ২০০৭ সালে ২৪ হাজার ৬২ টাকা।
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ছিল ২৪ হাজার ২৫০ টাকা, ২০০৮ সালে ২৭ হাজার ১১ টাকা এবং ২০০৭ সালে ২২ হাজার ৯০৮ টাকা।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ছিল ৪৫ হাজার ৬০১ টাকা, ২০০৮ সালে ৪৩ হাজার ৬৫৮ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৩১ হাজার ৬৫৩ টাকা। বাংলাদেশ উম্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে মাথাপিছু ব্যয় ছিল ৬ হাজার ৭৮ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ২ লাখ ৮৭ হাজার ৬৮২ টাকা, ২০০৮ সালে ৭০ হাজার ৪৩০ টাকা এবং ২০০৭ সালে ছিল ১৭ হাজার ৬৪৭ টাকা। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ছিল ১ লাখ ৭০ হাজার ৯৩০ টাকা, ২০০৮ সালে ২ লাখ ৫৪ হাজার ৯৫৩ টাকা এবং ২০০৭ সালে ১ লাখ ৪০ হাজার ৪৮০ টাকা। হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৮২ হাজার ৫১১ টাকা, ২০০৮ সালে ৬৭ হাজার ৯৩৮ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৫৭ হাজার ২৮৯ টাকা। মওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৪৬ হাজার ৪৬ টাকা, ২০০৮ সালে ৭২ হাজার ৮১৪ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৪৯ হাজার ২০৬ টাকা। পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৫৭ হাজার ১৪২ টাকা, ২০০৮ সালে ৮৪ হাজার ৮১৪ টাকা, ২০০৭ সালে ৭৪ হাজার ৭৯৬ টাকা। শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৯০ হাজার ৫৮৫ টাকা, ২০০৮ সালে ৫২ হাজার ৮৫৩ টাকা এবং ২০০৭ সালে ১ লাখ ৩ হাজার ৮৯২ টাকা। চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৬৯ হাজার ৩৮৩ টাকা, ২০০৮ সালে ১ লাখ ১১ হাজার ১৮৬ টাকা, ২০০৭ সালে ৫ হাজার ৫৯ টাকা। রাজশাহী প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৫৬ হাজার ১৬৩ টাকা, ২০০৮ সালে ৪৪ হাজার ২৮ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৪৩ হাজার ৬৮৩ টাকা। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৫১ হাজার ৪৪৯ টাকা, ২০০৮ সালে ৩৩ হাজার ৮৮৭ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৪৫ হাজার ৮৬৪ টাকা। ঢাকা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৫৯ হাজার ৪৭২ টাকা, ২০০৮ সালে ২৯ হাজার ৬৩৭ হাজার টাকা, ২০০৭ সালে ৩৫ হাজার ৮৬৫ টাকা। নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৫৪ হাজার ৫৪৫ টাকা, ২০০৮ সালে ৬৪ হাজার টাকা ৯২ টাকা, ২০০৭ সালে ৭৮ হাজার ৪৪৮ টাকা। জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৯ হাজার ৩২৩ টাকা, ২০০৮ সালে ৪ হাজার ৫৪১ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৭৪৫ টাকা। কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ১৩ হাজার ৫৭৯ টাকা, ২০০৮ সালে ১৪ হাজার ৮৯০ টাকা এবং ২০০৭ সালে ১ হাজার ৪৩৩ টাকা। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৩০ হাজার ৪৮৩ টাকা, ২০০৮ সালে ২৪ হাজার ৬৩৭ টাকা এবং ২০০৭ সালে ১৪ হাজার ৮৯৩ টাকা। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি সায়েন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ১ লাখ ৪২ হাজার ৫১৩ টাকা, ২০০৮ সালে ১ লাখ ১৫ হাজার ৫৫৫ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৬১ হাজার ৪৩২ টাকা। সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৭২ হাজার ২৯৫ টাকা, ২০০৮ সালে ৬১ হাজার ২২৪ টাকা এবং ২০০৭ সালে ৩৯ হাজার ৭৫৩ টাকা। যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ২৩ হাজার ৫০০ টাকা।
বাংলাদেশ ইউনিভার্সিটি অব প্রফেশনালে ২০০৯ সালে ৭ হাজার ৭৫৩ টাকা। বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ৯ হাজার ১৩৮ টাকা এবং পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০০৯ সালে ব্যয় ছিল ১০ হাজার ৫০ টাকা।
এদিকে মঞ্জুরি কমিশন থেকে বর্তমানে একজন শিক্ষার্থীকে বার্ষিক ৬১ হাজার ৬১৬ টাকা দেয়া হলেও এর প্রায় সমপরিমাণ আরও ৬০ হাজার টাকার বেশি মাথাপিছু ব্যয় হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমিক বিভিন্ন উন্নয়ন ফি, বেতন, হলের আবাসিক ফি, প্রশিক্ষণ ফি, পরীক্ষা ফিসহ বিভিন্ন খাতে মাথাপিছু এ ব্যয় হচ্ছে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলো যে যার মতো করে যত খুশি এসব ফি আদায় করলেও তা দেখভাল করার কেউ নেই।
উচ্চশিক্ষা কী কাজে আসছে?
বাংলাতে অনার্স মাস্টার্স করে চাকরি করছে কেউ ব্যাংকের অ্যাকাউন্টসে। বুয়েট থেকে স্নাতকোত্তর করে সান্ধ্যকালীন এমবিএ করে চাকরি করছেন কেউ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর মার্কেটিং বিভাগে। বিজ্ঞানের তুখোড় মেধাবী ছাত্র বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর শেষে ভর্তি হচ্ছেন ল’ কলেজে। যে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা সে বিষয়ে যোগ্যতা অনুযায়ী চাকরি না পাওয়ায় শিক্ষার্থীরা চলে যাচ্ছে অন্য সেক্টরে। অনুসন্ধানে দেখা গেছে বর্তমানে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে যারা এমবিএ করছেন তাদের অনেকেই মানবিক বা বিজ্ঞান বিভাগ থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করে এমবিএ করছেন। এর একটিই কারণ শিক্ষার্থীরা যে বিষয়ে উচ্চশিক্ষা নিয়েছেন তা তাদের চাকরি নিশ্চিত করতে পারছে না বা বর্তমান চাকরির বাজারে সে সব বিষয়ে স্নাতকধারীদের চাহিদা নেই। তাহলে এখানে প্রশ্ন আসতে পারে এসব উচ্চশিক্ষা দেশের অর্থনীতিতে কতটুকু ভূমিকা রাখছে। এসব ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ৫ বছরের উচ্চশিক্ষা গ্রহণ পর্বটি কোনও কাজেই আসছে না। ফলে উচ্চশিক্ষা শেষে চাকরি জোটাতে প্রার্থীকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। চাকরি হয়ে পড়ছে সোনার হরিণ। জীবন ধারণের জন্য তাই বিভিন্ন ক্ষেত্রে উচ্চশিক্ষা গ্রহণকারীরা সম্পূর্ণ বিপরীত সেক্টরের চাকরিতে ঢুকছেন। চাকরিতে ঢোকার আগে বা পরে নানা ধরনের প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে নিজেকে পরিবর্তিত ক্ষেত্রে প্রস্তুত করছেন। বিপরীত সেক্টরে চাকরিরতরা জানিয়েছেন, প্রাতিষ্ঠানিক উচ্চশিক্ষা এক্ষেত্রে তাদের কাজেই আসছে না। নতুন কর্মক্ষেত্রে তাই তাদের মানিয়ে নিতে কষ্ট হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানগুলোও দক্ষ জনশক্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।
মাদ্রাসা বোর্ড থেকে উত্তীর্ণদের মধ্যে যারা আলিম পাশ করে সাধারণ শিক্ষায় প্রবেশ করছে তাদের কেউ কেউ উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় আসলেও ফাজিল-কামিলে উচ্চশিক্ষা নেওয়া শিক্ষার্থীরাও মূল স্রোতে আসতে পারছেন না। মাদ্রাসায় শিক্ষকতা, মসজিদে ইমামতির মধ্যে কর্মজীবন সঙ্কুচিত হয়ে পড়ছে। আর কওমী মাদ্রাসায় উচ্চশিক্ষিতরাতো উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় নেই বললেই চলে। ধর্মীয় কয়েকটি পুস্তকে তাদের পাঠ সীমাবদ্ধ।
প্রয়োজন কারিগরি শিক্ষা
একটি দেশকে উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় নিয়ে যেতে বিকল্প নেই কারিগরি শিক্ষার। শিল্পায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বিশ্বব্যাপী কারিগরি শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা বাড়ছে। উন্নত বিশ্বে উচ্চশিক্ষার চেয়ে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিতের সংখ্যাই বেশি। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা, অস্ট্রেলিয়াসহ শিল্পোন্নত দেশগুলোয় কারিগরি শিক্ষার ব্যাপক সম্প্রসারণ হয়েছে। এশিয়ার সবচেয়ে শিল্পন্নোত দেশ জাপানে শিক্ষিত জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। সিঙ্গাপুরে ৫০ শতাংশ কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত। এমনকি উন্নয়নশীল দেশ মালয়েশিয়ার কারিগরি শিক্ষার হার ৪০ শতাংশ। অথচ বাংলাদেশে এ হার ২ শতাংশেরও কম।
শিল্পায়নের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে দেশে বাড়ছে কল-কারাখানা অটোমোবাইল, টেক্সটাইল, ইলেক্ট্রনিক্স, গ্লাস, সিরামিক ও স্থাপত্যকলায় জনশক্তির চাহিদা। পশ্চিমা শিল্পোন্নত দেশ, মধ্যপ্রাচ্য এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোয় বাংলাদেশের ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের কর্মক্ষেত্র সম্প্রসারিত হচ্ছে। স্বকর্মসংস্থানের জন্যও অনেকে উদ্যোক্তা হিসাবে আবির্ভূত হচ্ছেন। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প গড়ে তুলছেন। এসব ক্ষেত্রে দরকার দক্ষ জনগোষ্ঠী। প্রয়োজন ডিপ্লোমা প্রকৌশলী। কর্মমুখী কারিগরি শিক্ষাই পারে বেকারত্ব লাঘব করতে। সৃষ্টি হতে পারে নতুন কর্মক্ষেত্র।
সুপারিশ
১. দেশের মানবসম্পদ গঠন ও উন্নয়নে উচ্চশিক্ষার ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দেশে পাবলিক এবং প্রাইভেট উভয় ধরনের বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা গত কয়েক বছরে বহুগুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। কিন্তু শিক্ষার মানের ক্ষেত্রে খুব একটা আশার কথা শোনাতে পারছে না কেউই। অন্যদিকে আরেকটি তাৎপর্যপূর্ণ ঘটনা হচ্ছে উচ্চশিক্ষার ক্রমবর্ধমান ব্যয়। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়তো বটেই অনেক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের খরচও এখন অনেক বেশি। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে নিজের আয়ে চলার পরামর্শ ও কমস্পৃহা নির্ধারণ করে দেওয়া হচ্ছে। যদিও নাগরিককে মানবসম্পদে পরিণত করার দায়িত্ব রাষ্ট্রেরই। আর কর্মদক্ষ শিক্ষিত মানুষ রাষ্ট্রের অগ্রগতিকে টিকিয়ে রাখার জন্যই প্রয়োজন।
২. মাদ্রাসা শিক্ষাকে উন্নয়নের মূল স্রোতধারায় নিয়ে আসতে হবে। বিশেষ করে কওমী মাদ্রাসাগুলোকে। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষা ব্যবস্থা একুশ শতকেও কয়েকটি ধর্মীয় বইয়ের মধ্যে সীমাবদ্ধ। কওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের উন্নয়নের মূল স্রোত ধারায় নিয়ে এসে তাদের কারিগরি ও বৃত্তিমূলক শিক্ষায় শিক্ষিত করতে হবে।
৩. পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে কর্মমূখী শিক্ষার বিষয় ও বিভাগ বাড়াতে হবে।
৪. কারিগরি শিক্ষার প্রতি জোর প্রচারণা চালাতে হবে। কারিগরি শিক্ষাই পারে দেশকে এগিয়ে নিতে। দেশে দক্ষ জনশক্তি বাড়াতে প্রতিটি জেলায় পলিটেকনিক্যাল স্থাপনের উদ্যেগ নিতে হবে।
৫. সরকারি বিভিন্ন সেক্টরে শূণ্য আসন থাকলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় এসব সেক্টরে নিয়োগ প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে তাই সরকারকে দ্রুত এসব শূন্য আসনে যোগ্যদের কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিতে হবে।
৬. নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বচ্ছভাবে হচ্ছে কি-না সরকারকে এ ব্যাপারে বিশেষ দৃষ্টি রাখতে হবে।
৭. শিক্ষিত যুবকরা কর্মসংস্থান ব্যাংক বা অন্যান্য সরকারি-বেসরকারি ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে স্বাবলম্বি হতে পারে সরকারকে সে
৭টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস পরীক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বসতে না পারার কষ্টটা সমালোচনার কোন বিষয়বস্তু নয়

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৩৬

গতকালের একটি ভাইরাল খবর হচ্ছে কয়েক মিনিটের জন্য বিসিএস পরীক্ষা দেয়া হলো না ২০ প্রার্থীর !! অনেক প্রার্থীর কান্নাকাটির ভিডিও ভাইরাল হয়েছে।এ বিষয়ে পিএসসি চেয়ারম্যান এর নিয়ামানুবর্তিতার জ্ঞান বিতরনের... ...বাকিটুকু পড়ুন

বারবাজারে মাটির নিচ থেকে উঠে আসা মসজিদ

লিখেছেন কামরুল ইসলাম মান্না, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:৪০

ঝিনাইদহ জেলার কালীগঞ্জ উপজেলার বারবাজার ইউনিয়নে মাটির নিচ থেকে মসজিদ পাওয়া গেছে। এরকম গল্প অনেকের কাছেই শুনেছিলাম। তারপর মনে হলো একদিন যেয়ে দেখি কি ঘটনা। চলে গেলাম বারবাজার। জানলাম আসল... ...বাকিটুকু পড়ুন

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

পরিবর্তন অপরিহার্য গত দেড়যুগের যন্ত্রণা জাতির ঘাড়ে,ব্যবসায়ীরা কোথায় কোথায় অসহায় জানেন কি?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:৫৭


রমজানে বেশিরভাগ ব্যবসায়ীকে বেপরোয়া হতে দেখা যায়। সবাই গালমন্দ ব্যবসায়ীকেই করেন। আপনি জানেন কি তাতে কোন ব্যবসায়ীই আপনার মুখের দিকেও তাকায় না? বরং মনে মনে একটা চরম গালিই দেয়! আপনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×