আমাদের দুজনের বেশ ভালোই দিন কেটে যাচ্ছিল । খাচছিলাম দাচ্ছিলাম, মাঝে মধ্যে উইন্ডো শপিং করচ্ছিলাম আর ধুমসে আড্ডা মারচ্ছিলাম । বিয়ের পর সম্পূর্ণ অজানা একটা মানুষকে এরকম করে ধীরে ধীরে চিনতে শুরু করলাম । দিন যত বয়ে যেতে লাগলো ততই বেশী আপন হতে লাগলো সম্পর্কটা । মনে হল গভীর বিশ্বাসে নিজের জীবনটা ওর হাতে তুলে দিতে পারবো । কি শান্তি, রাতে কি নিশ্চীন্তে ঘুমাতে পারি । আমি জানি আমাকে দেখে রাখার এখন একজন আছে, চোখ বুজলে আমার কিছু হবে না। এভাবে দেখতে দেখতে বছর গুলো কেটে যেতে লাগলো, সংসারটা আর একটু বড় হল ,তিনজন অথিতি এলো । সুখ আরো বাড়লো কিন্তু জটিল হতে লাগলো জীবন । সব কিছুতে কেমন যেন সময়ের এক টানাটানি পরে গেল । আগের সেই কেয়ার ফ্রী দিন গুলো কোথায় জানি হারিয়ে গেল । মাঝে মধ্যে হঠাৎ করে যখন অবসরের কিছুটাক্ষণ অঘোষিত এসে পরতো , বিভ্রান্ত হয়ে পড়তাম, কি করবো ? কি করা যায় ? চিন্তা করতে করতে সময় শেষ । তখন মনে হত সেই ফেলে আসা দিনগুলোর কথা । তারপর আবার সেই কাজ, কাজ আর কাজ চিন্তা করার অবসরহীন কাজ । বিয়ের ১০টা বছর কেটে গেল । শরীরে প্রচুর অসুখ এসে বাসা বেধেছে । অনেক দিন থেকেই সংসারের বহু চাহিদা মিটিয়ে উঠতে পারছিলামনা । সবার সম্মতিতেই নিয়ে আসা হল আমার সতীনকে । আমি বয়স আর অসুখে ভারাক্রান্ত চোখে চেয়ে দেখলাম কি প্রচন্ড কর্মদক্ষম সে । বিশ্বাস করেন একটুকুও হিংসে হত না তখন আমার । হিংসে হত যখন দেখতাম আমার প্রীয় মানুষটা আমার চেয়ে বেশী সময় দিত সতীনকে ,আমার বাচ্চারাও ধীরে ধীরে ওর একনিষ্ট ভক্ত হয়ে উঠলো । প্রচন্ড হিংসে হল যখন আমি হয়ে গেলাম দ্বিতীয় আর ও প্রথম , আমার অস্তীত্ব সেদিন সম্পূর্ণভাবে বিলুপ্ত হয়ে গেল । কিন্তু একটি দিন, সূর্য্যের আলো ছড়ানো একটি দিন, আমার স্পষ্ট মনে আছে, যেদিন হঠাৎ করে কোন কারণ ছাড়া মারা গেল আমার সেই সতীন । সবার মনে কি গভীর কষ্ট , শুধু কষ্ট পাইনি আমি , পেয়েছি আমার মুক্তি , এযেন কবেকার ফেলে আসা সেই মুক্ত জীবন , সেই বুক ভরা নিশ্বাস । সত্যিই যেদিন হার্ডডিস্কটা ক্র্যাশ করলো আর আমার স্বামীমহাশয় বগলদাবা করে ওটাকে নিয়ে রিপেয়ারিং শপের দিকে রওনা হল সেদিন সত্যিই মুক্তির স্বাদ পেয়েছিলাম । অবশ্য এই স্বাদ মাত্র তিনদিনের জন্য । এরপর আর কি করার , কম্পিউটারের জগতে আমারো আজকের এই অনুপ্রবেশ ।
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।