somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গ্রীক পুরানের হিজিবিজি পাঠ

১৫ ই মার্চ, ২০১৬ সকাল ১১:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মিথলজিকাল এই পরিবেশনায় গ্রীক পুরানের সর্ব-ভীতিকর, শৌর্য্য-বীর্যে বলীয়ান চরিত্রগুলোর বর্ননার মধ্য দিয়ে গ্রীক মিথলজির পুরোটা অথবা আংশিক বোঝার চেষ্টা করা হয়েছে।




সেনতোরাস (Centaurs):
সেনতোর গ্রিক পুরানে খুব পরিচিত একটি প্রজাতি যাদের শরীরের উর্দ্ধাংশ মানব শরীর আর নিম্নাংশ হল ঘোড়ার। কথিত আছে যে, Ixion ছিল Lapiths নামক বহু প্রাচীন গোত্র তথা Thessaly এর রাজা। তিনি Deioneus এর কন্যা তথা দেবী Dia কে বিবাহ করেছিলেন Deioneus কে উচ্চ মূল্যের কনে পন প্রদানের আশ্বাসের মধ্য দিয়ে। কিন্তু তিনি সেটা আর পরবর্তীতে কোন ভাবেই পরিশোধ করেন নাই। Deioneus এর প্রতিশোধ স্বরুপ Ixion এর আস্তাবল হতে কিছু ঘোড়া চুরি করেন। বিষয়টি বুঝতে পেরেও Ixion সবকিছু গোপন করে যান। তিনি তার শ্বশুড়কে রাজধানী Larissa তে ডেকে পাঠান এবং হত্যা করেন। গ্রীক পুরানের সর্ব প্রথম হত্যার মত জঘন্য ঘটনা সংঘটনের ফলাফল স্বরুপ Ixion পাগল হয়ে যান এবং তাকে তার রাজ্যে এক ঘরে করে রাখা হয়। দেবতাদের অধিপতি জিউস Ixion এর প্রতি সহানুভূতিশীল হয়ে ওঠেন এবং তাকে অলিম্পাসের অন্যান্য দেবতাদের সাথে ভোজনের নিমিত্ত্বে অলিম্পাসে নিয়ে আসেন। যেখানে Ixion জিউসের স্ত্রী হেরা কে দেখতে পান এবং তার প্রতি ভালোবাসায় নিমজ্জ্বিত হন এবং তার যৌনলিপ্সা অনুভব করেন। জিউস খুব দ্রুত বিষয়টা অনুধাবন করে ফেলেন। তিনি Ixion কে অবিশ্বাস করা শুরু করেন এবং তার জন্য একটি ফাদ পাতেন। কিছুদিন পর জিউস একদিন Ixion কে মেঘের সাহাজ্যে হেরার অবয়ব নির্মান করে একটি মাঠের মধ্যে ঘুমন্ত অবস্থায় আবিস্কার করলেন। জিউস সেই অবয়বটিকেই জীবন দান করলেন (যে কিনা পরবর্তীতে Nephele নাম ধারন করে) এবং Ixion এর পাশে শায়িত করে রাখলেন। ঘুম থেকে জাগার পর Nephele কে পাশে শায়িত অবস্থায় পেয়ে Ixion তাকে হেরা ভেবে তার সাথে যৌন সঙ্গম করলেন। জিউস এটি দেখে যার পর নাই ক্রুদ্ধ হলেন এবং তাকে অলিম্পাস হতে ছুড়ে ফেলে দিয়ে তার উপর বজ্র নিক্ষেপ করলেন।
Ixion এবং Nephele এর মিলনের ফলে Nephele একটি সন্তান জন্মদান করেন পরবর্তীতে যার নাম হয় Centaurus। Centaurus ছিল মূলত বাঁকা এবং অঙ্গহীন একটি শিশু যে কিনা আর সকল মানুষের মত পৃথিবীর কোথাও শান্তি খুজে পাচ্ছিল না। পরবর্তীতে সে Pelion নামক পর্বতে এসে তার বসবাস শুরু করে। এখানে এসে সে তার ইচ্ছে মত ঘুরে বেড়াতে শুরু করল এবং ম্যাগনেশিয়ান এক ঘোটকীর (ঘোড়ার স্ত্রী বাচক) সাথে যৌন সঙ্গমে লিপ্ত হল। ধারনা করা হয় এই সঙ্গমের পর থেকেই সেনতোর প্রজাতির আবির্ভাব হয়। বলা হয়ে থাকে যে, সেনতোরদের আদি পিতা Centaurus ই হলেন প্রথম ব্যাক্তি যিনি নক্ষত্ররাজীকে আলাদা আলাদা গ্রুপে বিভক্ত করেন এবং এবং কিভাবে এই নক্ষত্রমালাকে অধ্যয়ন করতে হবে তার শিক্ষা প্রদান করেন।


সেরবারাস (Cerberus):
সেরবারাস হল নরকের দুয়ারে পাহাড়ারত তিন মাথা ওয়ালা কুকুর বিশেষ প্রানী।
সেরবারাস হল গায়া দেবী এবং টারটারাস এর শেষ সন্তান, Typhaon নামক বহু সর্পিল মাথা ওয়ালা দৈত্যের সন্তান। সেরবারাস এর মত তার পিতার অন্য দুই সন্তান ও বহু মাথার অধিকারী। খুব সাধারন অবস্থায় সেরবারাস এক মাথা বিশিষ্ট অবস্থায় থাকে কিন্তু অবস্থাভেদে সে তার মাথার সংখ্যা বাড়াতে থাকে। এটি মূলত ‘হেল ডগ’ অথবা "hound of Hades" নামে গ্রীক পুরানে পরিচিত তিন মাথার সাথে যার সর্পিল লেজ এবং সিংহের থাবা রয়েছে। সেরাবাস মৃতদের নরকে প্রবেশ করতে দেয় কিন্তু কাউকে নরক হতে বের হতে দেয় না। কথিত আছে যে, রাজা ইউরেস্থিয়াস কর্তৃক হারিউলিসকে প্রদত্ত ১২ তম কাজ ছিল এই সেরবারাস কে নক হতে ধরে নিয়ে আসা।

হারকিউলিস ছিলেন দেবরাজ জিউস এবং দেবী হেরার সন্তান। তিনি তার ছোট খাট এডভেঞ্চার আর শৌর্য্য বীর্যের জন্য দেবকুলের কাছে প্রিয় পাত্র হয়ে ওঠেন। ব্যাতিক্রম ছিল হেইডিস, জিউসের ভাই এবং নরকের অধিপতি। হেডিস মূলত অলিম্পাসের রাজা হতে চেয়েছিল আর এজন্য সে তিন ভাগ্যদেবীর সহায়তা কামনা করেন। ভাগ্যদেবীরা তাকে জানান যে, ১৮ বছর পরে , টাইটান নামক এক দৈত্য দ্বারা জিউসকে হত্যা করা গেলেও , হারকিউলিস সেই দৈত্যকে হত্যা করবে । এর পর হেইডিস বিকল্প ভাবতে লাগলেন , হেইডিস হারকিউলিসকে হত্যার জন্য একধরনের বিষ তৈরী করেন , কিন্তু তিনি হারকিউলিসকে সেই বিষ সম্পূর্নরূপে পান করাতে ব্যার্থ্য হন । পরবর্তীতে হারকিউলিস , তার পালিত পিতা মাতার (আনফিট্রাইয়ন ও আলকেমিন) কাছে বড় হন। ছোটবেলা থেকে হারকিউলিস মোটামুটি নিঃসঙ্গ ছিলো , এবং তার শক্তি ছিলো তার অন্যতম সমস্যা , সে যা কিছুই ছুয়ে দেখার চেস্টা করতো সেটাই ভেঙ্গে যেত।



হারকিউলেস একাকীত্ব এবং অন্যান্য সমস্যা তার পালিত মা বাবা বুঝতে পারে , এবং তাকে সত্য বলে দেয় , তাকে বোঝানো হয় সে দেবতার ঘরে জন্ম নেওয়া এজন্যই সে অন্যদের থেকে ভিন্ন রকম । হারকিউলিস তার জন্মের রহস্য উন্মোচনের জন্য সে জিউসের মন্দিরে যায় , এবং সেখানে গিয়ে সে অবাক হয় যখন সে দেখতে পায় জিউসের এবং হেরার মূর্তি জীবিত হয়ে গেছে । এবং জিউস এবং হেরা স্বীকার করে যে তারাই তার আসল পিতামাতা। হারকিউলিস , তার আসল পিতামাতার কাছে থেকে যেতে চায় , কিন্তু জিউস তাকে বলে “এখানে শুধু দেবতারাই থাকতে পারবে , তুমি যদি কোনদিন নিজেকে এই পৃথিবীর সত্যিকারের বীরে পরিনত করতে পারো , তবেই তুমি এখানে থাকতে পারবে” । হারকিউলিস নিজেকে সত্যিকারের বীরে পরিনত করার জন্য তার বাবার কথা অনুযায়ী , বীর তৈরীর শিক্ষক ফিলোকটেসের কাছে যায় ,তার কাছে দীক্ষিত হবার পর জীবনের প্রথম পরীক্ষার জন্য থেবসের দিকে রওনা হয় ।

কথিত আছে যে, হেরা দেবীর প্ররোচনায় পাগল হয়ে হারকিউলিস তার পুত্র, কন্যা এবং স্ত্রী কে হত্যা করেন। পরবর্তীতে মানসিক ভাবে সুস্থ হয়ে উঠলে তিনি তার কৃতকর্মের জন্য চরম অনুতপ্ত হন এবং রাজা থেসপায়াস কর্তৃক পরিশুদ্ধ হন। পরবর্তিতে তিনি ডেলফিতে চলে যান এবং খুজতে থাকেন কি করে তিনি তার কৃতকর্মের প্রতিকার বা প্রতিবিধান করতে পারবেন। সেখানে তিনি পিথিয়া নামক এক ভবিষ্যত বক্তার সাক্ষ্যাত লাভ করেন। পিথিয়া তাকে টিরিনসে যেতে উপদেশ দেন এবং সেখানে গিয়ে তার চাচাত ভাই রাজা ইউরেস্থিয়াস এর ১২ বছর সেবা করতে বলেন। সেখানে ইউরেস্থিয়াস তাকে যেই কাজেই নিযুক্ত করুক না কেন সেই কাজই যদি সে করতে পারে তবে বিনিময় হিসেবে হারকিউলিস অমরত্ব লাভ করতে পারবে। শুরুর দিকে ইউরেস্থিয়াস হারকিউলিসকে ১০ টি কাজ করতে বলেন। যেগুলো ছিলঃ

১। নেমিয়ার সিংহ বধঃ
নেমিয়ার সিংহ গ্রিক পুরানে চরম বদমেজাজী একটি সিংহ যেটি নেমিয়াতে বাস করত। কথিত ছিল যে এই সিংহ কোন মরনশীলের অস্ত্র দ্বারা বধ করা সম্ভব নয়। এর থাবা ছিল তলোয়ারের চেয়েও তীক্ষ্ণ। এটি নেমিয়া হতে নারীদের বন্দী বানিয়ে তার আস্তানায় নিয়ে আসত এবং নেমিয়ার যোদ্ধাদের প্রলুব্ধ করত সেই নারীকে উদ্ধারের জন্য। যোদ্ধা যখন নারীকে উদ্ধারের জন্য সিংহের আস্তানায় পৌছাত তখন সে আহত এক নারীকে দেখতে পেত একটি খাচায় বন্দী। যখনি যোদ্ধা খাচার ভেতরে প্রবেশ করত তখনই খাচার দরজা বন্ধ হয়ে যেত এবং নারীটি সিংহে রুপান্তরিত হয়ে যোদ্ধার উপর ঝাপিয়ে পড়ত।


নেমিয়ার সিংহ বধ ছিল হারকিউলিসকে রাজা ইউরেস্থিয়াস কর্তৃক প্রদত্ত প্রথম কাজ। সিংহ বধের উদ্দেশ্যে হারকিউলিস নেমিয়াতে পৌছালে সেখানে তিনি এক ছেলের সাথে পরিচিত হন। এবং তাকে সিংহ বধের বিষয়টি খুলে বলেন। ছেলেটি জিউস পুত্র হারকিউলিসের উপর এমন ভাবে আস্থা এবং বিশ্বাস স্থাপন করে যে সে হারকিউলিসকে কথা দেয় যদি সে সিংহ বধ করতে পারে তবে সে জিউসের উদ্দেশ্যে একটি সিংহ বলি দেবে আর যদি না পারে তবে সে নিজেকে বলি দেবে।

সিংহ খুজতে খুঁজতে হারকিউলিস সিংহ বধের নিমিত্ত্বে কিছু তীর তৈরি করে ফেলে যদিও সে তখন জানত না যে সিংহের স্বর্ন চামড়া কোন অস্ত্র দ্বারা ভেদ করা সম্ভব নয়। একদিন হারকিউলিস সিংহটিকে খুজে পেল এবং তার প্রতি তীর ছুড়ল। তখন সে আবিস্কার করল সিংহের দুর্ভেদ্য স্বর্ন চামড়া কোনভাবেই অস্ত্র দ্বারা ভেদ করা সম্ভব নয়। সে আলাদা উপায় খুঁজতে শুরু করল। কিছুদিন পর হারকিউলিস একদিন সিংহকে তার খাচায় ফিরতে দেখল। সে লক্ষ্য করল খাচায় প্রবেশে দুটো দরজা রয়েছে। কৌশলে হারকিউলিস একটি দরজা বন্ধ করে দিল। পরবর্তীতে সিংহ যখন খাঁচায় প্রবেশ করল তখন হারকিউলিস ও খাঁচায় প্রবেশ করে সম্মুখ দ্বার ও বন্ধ করে দিয়ে সিংহের সাথে তুমুল লড়াইয়ে লিপ্ত হল। পরাক্রমী বীর হারকিউলিসের এই যুদ্ধে জয় হল এবং সিংহের মৃত্যু হল। মৃত সিংহের স্বর্ন চামড়া ছাড়াতে গিয়ে হারকিউলিস বেশ বিপদেই পড়ে গেল। বারংবার তার অস্ত্র ভোতা হয়ে পড়ছিন আর চামড়া ছিল দূর্ভেদ্য। তার এহেন মন্দাবস্থা দেখে দেবী এথেনা তাকে উপদেশ দিলেন সিংহটির থাবা তার চামড়া ছাড়ানোর কাছে ব্যাবহার করতে। এই উপদেশে হারকিউলিস সফলকাম হলেন এবং সেই চামড়া ইউরেস্থিয়াস এর কাছে নিয়ে এলেন সিংহ বধের প্রমান স্বরুপ।

২। লারনা’র নয় মাথা ওয়ালা হাইড্রা বধঃ
লারনা’র নয় মাথা ওয়ালা হাইড্রা মূলত একটি সাপ জাতীয় দৈত্য যার নয়টি মাথা রয়েছে। এটির বাসস্থল ছিল মূলত গ্রীসের আরগোলিদ নামক রিজিয়নের লারনা লেকে। লারনা লেকটি আবার একভাবে নরকে প্রবেশের একটি দ্বার হিসেবেও বিবেচিত হত। হাইড্রাটি মূলত টাইফন এবং এচিডনার বংশধর ছিল। এটি এতই বিষধর ছিল যে মাঝে মাঝে এর নিঃশ্বাস ও প্রাননাশী হয়ে উঠত। ইউরেস্থিয়াস কর্তৃক প্রদত্ত হারকিউলিসের দ্বিতীয় কাজ ছিল এই হাইড্রা বধ। তবে ধারনা করা হয় যে, হারকিউলিসের চির শত্রু হেরাই হাইড্রাটিকে নিযুক্ত করেছিল হারকিউলিস বধ করবার জন্য।


হাইড্রাকে বধের নিমিত্ত্বে হারকিউলিস যখন লেক লারনায় পৌছাল তখন সে হাইড্রার নিঃশ্বাস বিষ হতে বাচবার জন্য নিজের নাক মুখ কাপড় দিয়ে ঢেকে ফেলল। সে প্রথমে হাইড্রার সেই গুহা মুখে জ্বলন্ত তীর ছুড়ে মারা শুরু করল যেটি দিয়ে সে নিকটবর্তী মানুষেদের ভয় দেখাত এবং অত্যাচার করত। পরবর্তীতে সে হাইড্রার মুখোমুখি হল এবং অনুধাবন করতে সক্ষম হল যে এই উপায়ে সে হাইড্রাকে বধ করতে পারবে না। সাহাজ্যের জন্য হারকিউলিস তার ভাতিজা আইওলাউস কে ডেকে নিল। হারকিউলিসের সাহাজ্যে হাত বাড়িয়ে দেয়া ভাতিজা আইওলাস এর মাথায় নতুন এক বুদ্ধি এল। সে একটি জ্বলন্ত কাঠের সাহাজ্যে হাইড্রার ঘাড় বরাবর চলে গেল এবং আগুনের শিখায় ভীত হয়ে হাইড্রা যেই তার মাথা সরাল অমনি হারকিউলিস হাইড্রার একটি করে শিরোচ্ছেদ করা শুরু করে দিল। হারকিউলিসের জয় অবশ্যম্ভাবী দেখে হেরা তাকে হতবিহবল করে দেবার জন্য সেখানে অতিকায় এক কাকড়া প্রেরন করল। হারকিউলিস তার শক্তিশালী পা দিয়ে কাকড়াটিকে চূর্ন করে দিল। হাইড্রাটির নয়টি মাথার মধ্যে একটি মাথা তথা আসল মাথাটি ছিল অমর। দেবী এথেনা কর্তৃক দেয়া স্বর্ন তরবারী দিয়ে হারকিউলিস হাইড্রার সেই মাথাটিও ছিন্ন করে ফেলল। ছিন্ন মাথাটিকে জীবিত দেখে হারকিউলিস খুব গোপনীয়তার সাথে লারনা এবং ইলাইয়াসের মধ্যবর্তি স্থানে বড় একটি পাথর চাপা দিয়ে রাখল। আর এভাবেই সে তার দ্বিতীয় কাজ সমাধা করে ফেলল।
(চলবে)

পরবর্তী পর্বে,
৩। আর্টিমিসের স্বর্ন হরিনী ধরে আনা
৪। ইরিমেন্থোসের পর্বত হতে বন্য শুকর ধরে আনা
৫। একদিনের মধ্যে অজিয়ান রাজার আস্তাবল পরিছন্ন করা (যেখানে প্রায় ৩০০০০ গবাদী পশু থাকত এবং বিগত ত্রিশ বছরে একবারের জন্যেও পরিছন্ন করা হয়নি)
৬। স্টিম্ফিলিয়ার পাখি বধ। (মূলত একদল মানুষখেকো পাখি যাদের ব্রোঞ্জের ঠোট এবং লোহার পাখনা ছিল)
৭। ক্রীট দেশীয় ষাঁড় ধরে আনা।
৮। রাজা থ্রেসের ঘোটকী চুরি করে আনা।
৯। আমাজনের রানী হিপোলিতার কোমরবন্ধ সংগ্রহ করা।
১০। দৈত্য গেরিওনের গবাদী পশু চুরি করে আনা।
১১। এটলাস পর্বত হতে সন্ধ্যা কন্যা হেসপেরিডেস বাগান হতে আপেল চুরি করা।
১২। সেরবেরাস কে নরক হতে ধরে নিয়ে আসা।
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে মে, ২০১৬ বিকাল ৫:৪৫
১৯টি মন্তব্য ১৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×