জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আহবানে দেশমাতৃকাকে শত্রু মুক্ত করতে ১৯৭১ সালে জীবনকে বাজি রেখে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জয়নাল আবেদীন। পাকহানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে মুক্তিযুদ্ধে জয়লাভ করলেও জীবনযুদ্ধে এখন সে পরাজিত।
সম্প্রতি কথা হয় মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদীনের সাথে। ষাট বছর বয়সী জয়নাল আবেদীন নদীতে সর্বস্ব হারিয়ে বর্তমানে বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ঘোলাগাড়ী গ্রামে কোন রকমে মাথা গোজার জায়গাকে আশ্রয় করে আছেন। তার পরিবারের ৪ সদস্যদের মুখে অন্ন তুলে দিতে এই বয়সেও তাকে কাজ করতে হয়। তিনি বাসষ্ট্যান্ড ব্যবসায়ী সমিতির একজন পাহাড়াদার হিসাবে কাজ করছেন। রাত ৯টা থেকে ভোর পর্যন্ত তাকে ২০০টি দোকান পাহাড়া দেবার কাজ করতে হয়।
একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে গর্ব বোধ করলেও মানুষ হিসাবে অনেক বঞ্চনার শিকার হয়ে তিনি অসহায় বোধ করেন। দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধা হিসাবে মাসিক সম্মানী ভাতা পেলেও বিগত বিএনপি সরকারের আমলে রাজনৈতিক শঠতার কারনে ভাতাপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধাদের তালিকা থেকে তাকে বাদ দেয়া হয়েছে। তিনি এখন আর সম্মানী ভাতা পাননা।
তিনি জানান, তিনটি তালিকায় অর্ন্তভুক্ত মুক্তিযোদ্ধা হওয়া সত্বেও জীবনযাপনে তিনি অনেক কষ্টভোগ করছেন।
মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারন করতে গিয়ে তিনি বলেন, ১৯৭১ সালের মে মাসে তার এলাকার ৫০/৬০ জন যুবকের সঙ্গে নৌকাযোগে তিনি ভারতের বালুঘাট গিয়ে পৌছান। সেখান থেকে শিলিগুড়ি হয়ে পানিঘাটা ক্যাম্পে ২১ দিনের হায়ার ট্রেনিং গ্রহন শেষে দিনাজপুরে ফেরেন যুদ্ধ করার জন্য। বাহদুরাবাদ ফেরিঘাট পার হয়ে ময়মনসিংহে পাকসেনাদের সাথে তাদের যুদ্ধ হয়। তিনি সহযোদ্ধাদের সাথে সরিষাবাড়ী,কাঠালিয়া মির্জাপুর,জগন্নাথঘাট এলাকায় সম্মুখ যুদ্ধে অংশ নিয়ে জয়লাভ করেন। চুড়ান্ত বিজয়ের পর বঙ্গবন্ধুর আহবানেই অস্ত্র জমা দিয়ে স্বাধীন দেশে ধানচালের ব্যবসা শুরু করেন। কিন্তু যমুনা নদী তার সর্বস্ব কেড়ে নেয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থেকে তিনি চলে আসেন শেরপুর এলাকায়। কিন্তু এখানে তিনি জীবনযুদ্ধে পরাজিত হন। এখন তিনি দুই বছর যাবত পাহাড়াদারে কাজ করছেন।
তিনি জানান, মুক্তিযোদ্ধাদের মৃত্যুর পর রাষ্ট্রীয় মর্যাদা না দিয়ে জীবদ্দশায় রাষ্ট্রীয় সম্মান দেয়া জরুরী।
মুক্তিযোদ্ধা জয়নাল আবেদন দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তানদের মধ্যে অবহেলিত একজন। এরকম হাজারো জয়নাল আবেদীন আছে আমাদের আশে পাশে। তার সাথে আলাপ হবার পর তার ছবি তুলি এবং দায়িত্ববোধ থেকে পত্রিকায় নিউজ পাঠাই। দেশে অনেক সামর্থবান ব্যক্তি আছেন যারা ইচ্ছা করলে একেক জন দুঃস্থ মুক্তিযোদ্ধার দায়িত্ব নিতে পারেন। যাদের রক্তের-সাহসের-ত্যাগের বিনিময়ে আমাদের এই বাংলাদেশ তাদের দুর্দশা কি আমাদের কাম্য হতে পারে?
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ
২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।