হারিয়ে যাওয়া ফিনিসীয় সভ্যতা
ফিনিসীয়রা ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র স্বাধীন নগররাষ্ট্রে বাস করতো। নগরগুলো ঐক্যবদ্ধ করে তারা কোনো একক বড় রাষ্ট্র গড়ে তুলতে পারেনি। সমুদ্রতীরের বাসিন্দা হিসেবে তারা দক্ষ নাবিক এবং নৌচালনায় বিশেষ পারদর্শী ছিল। তারা ব্যবসা-বাণিজ্যেও ছিল পারঙ্গম। বাণিজ্যের স্বার্থে প্রাচীন মিসরের সঙ্গে তাদের ঘনিষ্ঠতা ছিল। ফলে তারা পারস্পরিকভাবে একে অপরকে সাংস্কৃতিক দিকেও প্রভাবিত করেছিল। ব্যাবিলনের সঙ্গেও তাদের বাণিজ্যিক লেনদেন ছিল। ব্যাবিলনীয় সভ্যতা ফিনিসীয়দের খুবই প্রভাবিত করে। তারা ব্যাবিলনীয়দের কিউনিফর্ম লিখন পদ্ধতি গ্রহণ করে এবং পুরাকাহিনীগুলো সারা দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়ায় বাণিজ্য করতে গিয়ে ছড়িয়ে দেয়, যেমন মহাপ্লাবনের কাহিনী।
খ্রিস্টপূর্ব এগারো শতক থেকে ফিনিসীয়রা স্বাধীনভাবে প্রায় আড়াইশ’ বছর অপ্রতিহত ক্ষমতা ভোগ করে। সারা ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চল তাদের প্রভাবাধীনে চলে আসে। জিব্রাল্টার প্রণালির উভয় পার্শ্ব পর্যন্ত এ প্রভাব বিস্তৃত হয়। খ্রিস্টপূর্ব ছয় শতকে তারা সম্ভবত আফ্রিকা পরিভ্রমণ করে। আফ্রিকার উত্তরে অবস্থিত কার্থেজ ছিল তাদের প্রধান উপনিবেশ এবং বিশাল বাণিজ্যকেন্দ্র। ফিনিসীয়দের উপনিবেশগুলোও মূল মাতৃনগরগুলোর মতো করেই তৈরি হতো। বহু কারিগর-শিল্পশ্রমিক, ব্যবসায়ী ও নাবিক সেখানে বসবাস করতো। ফিনিসিয়ায় অবস্থিত সিডোন, টায়ার ইত্যাদি নগর বাণিজ্যকেন্দ্র হিসেবে তৎকালে জগদ্বিখ্যাত হয়ে ওঠে। মদ, তেল, সিডার কাঠ, বস্ত্র, কাচ এবং ময়ূরী রঙ তাদের প্রধান রপ্তানিদ্রব্য ছিল।
খ্রিস্টপূর্ব নয় শতকের মাঝামাঝি অ্যাসেরীয়রা ফিনিসিয়ার নগরগুলো দখল করে নেয়। পরে এগুলো অধিকৃত হয় ব্যাবিলনীয়দের দ্বারা। এর পরে পারসিকেরা তাদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে। তবে পারসিকদের সময় তাদের ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নৌ-দক্ষতার কাজকর্ম পুরোদমে চলে। অতঃপর ফিনিসীয়রা গ্রিকদের অধীনে চলে যায় এবং গ্রিক ভাষা ও সংস্কৃতি তাদের ওপর প্রভাব বিস্তার করে। ৬৪ খ্রিস্টাব্দে রোমানরা ফিনিসীয়দের আবাসস্থলকে প্রদেশে পরিণত করে এবং বৈরুত নামক স্থানে একটি আইন বিদ্যালয় স্থাপন করে। খ্রিস্টীয় ছয় শতকের দিকে আরবরা ফিনিসিয়া অঞ্চল দখল করে। বিভিন্ন দেশের দ্বারা এভাবে বিজিত হতে হতে ফিনিসীয়রা তাদের আদি বৈশিষ্ট্য হারিয়ে ফেলে।
কিন্তু বিশ্বে তাদের বিশেষ দুটি অবদান অনস্বীকার্য :
এক, সভ্যতার ধারক হিসেবে নানা স্থানে তা বিস্তৃত করা এবং দুই তাদের অক্ষর থেকে গ্রিক অক্ষরের উদ্ভব, যা থেকে পরবর্তী রোমান এবং ইউরোপীয় বর্ণমালার উৎপত্তি।
![](https://s3.amazonaws.com/somewherein/assets/css/images/generic-ads-580x400.jpg)
শোকের উচ্চারণ।
নিত্যদিনের জেগে উঠা ঢাকা - সমস্তরাত ভারী যানবাহন টানা কিছুটা ক্লান্ত রাজপথ, ফজরের আজান, বসবাস অযোগ্য শহরের তকমা পাওয়া প্রতিদিনের ভোর। এই শ্রাবণেও ময়লা ভেপে উঠা দুর্গন্ধ নিয়ে জেগে... ...বাকিটুকু পড়ুন
যা হচ্ছে বা হলো তা কি উপকারে লাগলো?
৫ হাজার মৃত্যু গুজব ছড়াচ্ছে কারা?
মানুষ মারা গিয়েছে বলা ভুল হবে হত্যা করা হয়েছে। করলো কারা? দেশে এখন দুই পক্ষ! একে অপর কে দোষ দিচ্ছে! কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন
আন্দোলনের নামে উগ্রতা কাম্য নয় | সন্ত্রাস ও নৈরাজ্যবাদকে না বলুন
প্রথমেই বলে নেয়া প্রয়োজন "বাংলাদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করার সমস্ত অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে" ধীরে ধীরে দেশে স্বাভাবিক অবস্থা ফিরে আসছে। ছাত্রদের কোটা আন্দোলনের উপর ভর করে বা ছাত্রদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
কোন প্রশ্নের কি উত্তর? আপনাদের মতামত।
এখানে মাত্র ৫টি প্রশ্ন রয়েছে আপনাদের নিকট। আপনারা মানে যত মুক্তিযোদ্ধা বা অতিজ্ঞানী, অতিবুদ্ধিমান ব্লগার রয়েছেন এই ব্লগে প্রশ্নটা তাদের নিকট-ই, যদি তারা এর উত্তর না দিতে পারেন, তবে সাধারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন
চাকুরী সৃষ্টির ব্যাপারে আমাদের সরকার-প্রধানরা শুরু থেকেই অজ্ঞ ছিলেন
আমার বাবা চাষী ছিলেন; তখন(১৯৫৭-১৯৬৪ সাল ) চাষ করা খুবই কষ্টকর পেশা ছিলো; আমাদের এলাকাটি চট্টগ্রাম অন্চলের মাঝে মোটামুটি একটু নীচু এলাকা, বর্ষায় পানি জমে থাকতো... ...বাকিটুকু পড়ুন