মর্ত্যপুরে আর্তধ্বনি উঠছে আহাজারির,
ঘণ্টাধ্বনি বাজছে বুঝি মানুষ-মহামারির!
বাঘের মতো হিংস্র হয়ে ছুটছে যত মানুষ,
ক্রুদ্ধ বুকে টগবগিয়ে ফুটছে শত ফানুস!
ফুটুক সবে, ছুটুক সবে,স্বার্থ সবে লুটুক;
পাপের চাপে, পাপের শাপে ন্যায়ের মোহ টুটুক;
দোযখ ফুঁড়ে, দোযখ ফেঁড়ে আপদ ছুটে আসুক;
শ্বাপদ-সম মানুষগুলো ভুলের স্রোতে ভাসুক;
পুণ্যগুলো শূন্য করে পাপের দলে ভিড়ুক;
ঘৃণ্য বোধে বন্য ক্রোধে ভায়ের টুটি ছিঁড়ুক।
ঝরুক শুধু রক্ত-ধারা, মরুক সবে মরুক;
স্রষ্টা ভুলে সৃষ্টি-টারে মানুষ পুজো করুক;
আসুক জরা, আসুক খরা—ধরার পরে আসুক;
রক্তপায়ী শ্বাপদ পুনঃ রক্ত-হাসি হাসুক;
মরণ-পণে মারণ-রণে কারণ ছাড়াই লড়ুক;
বিষাদ-বাণে আশার দৃঢ় প্রাসাদ ধ্বসে পড়ুক।
ধ্বংস হলে তবেই নয়া সৃষ্টি জাগে আবার,
জাহেল যুগের আঁধার এলেই আযান ফোটে কাবার।
—পদধ্বনি
স্নিগ্ধ মুগ্ধতা।
৮ ডিসেম্বর, ২০১৭।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৭ রাত ১২:১৯