somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

এই হার মেনে নেওয়া কঠিন

২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

খুবই দুঃখজনক এই হার। তীরে এসে তরি ডুবল। মুশফিকের দুটি বাউন্ডারিতে শেষ ওভারের শঙ্কা অনেকটাই দূর হয়ে যাওয়ার পরও এই হার মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু মেনে নিতে হবে। এটাই ক্রিকেট।
টি-টোয়েন্টিতে এ ধরনের পরিস্থিতি আমাদের দলের জন্য নতুন। শেষ দিকে অতিরিক্ত উত্তেজনায় ভোগাটা তাই স্বাভাবিক এবং আমার কাছে সেটাকেই হারের কারণ মনে হচ্ছে। কিন্তু মাহমুদউল্লাহ-মুশফিকের মতো সিনিয়র ব্যাটসম্যান উইকেটে থাকার পরও কেন এ রকম হবে, সেটাই আমার প্রশ্ন। এই হার আমাদের জন্য বড় একটা শিক্ষা হয়ে থাকবে।
শেষ বলে ম্যাচের নিষ্পত্তি হলে আসলে কিছু বলার থাকে না। আবার চাইলে অনেক কিছুই বলা যায়। আট ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলা, মাশরাফিকে আগে পাঠানো—এসব সিদ্ধান্ত ভালো লাগেনি আমার।
টসের সময় টেলিভিশনে দেখে বোঝার উপায় ছিল না গত ম্যাচের উইকেটের সঙ্গে কালকের ম্যাচের উইকেটের পার্থক্য কী ছিল। পরে বুঝলাম, এই উইকেটে টসে জিতে ভারতের মতো দলকে ব্যাটিংয়ের আমন্ত্রণ জানানো কতটা সাহসী কাজ ছিল। সম্ভবত টুর্নামেন্টেরই সবচেয়ে সাহসী সিদ্ধান্তটা নিলেন আমাদের অধিনায়ক।
কাল ফিল্ডিং সাজানোটা ছিল অসাধারণ। আরও ভালো লেগেছে বোলারদের সে অনুযায়ী বল করতে দেখে। ভারতের ব্যাটসম্যানদের বারবারই ফিল্ডারদের কাছে বল পাঠাতে বাধ্য করছিলেন তাঁরা। শুভাগত হোমের কথা আলাদা করে বলতে হয়। ভারতের বিপক্ষে নতুন বলে বল করার সাহসই শুধু দেখাননি তিনি, অধিনায়কের প্রত্যাশা মিটিয়েছেন দারুণভাবে। শুভাগতর সবচেয়ে বড় সাফল্য বিরাট কোহলির উইকেট নেওয়া। ওই সময় কোহলিকে ফেরানো না গেলে হয়তো আমরা ভারতকেও ১৪৬ রানে আটকাতে পারতাম না।

কাল সবার বোলিংই প্রশংসা পাওয়ার মতো ছিল। লাইন-লেংথ ঠিক রাখার পাশাপাশি উইকেটের সুবিধা নেওয়ার কাজটাও তাঁরা সাফল্যের সঙ্গে করতে পেরেছেন। মাশরাফির বোলিং দেখে ভালো লেগেছে। মুস্তাফিজের কথা না বললেই নয়। তাঁকে নিয়ে ভারতীয় শিবিরে নিশ্চিতভাবেই বিশেষ দুশ্চিন্তা ছিল। আমাদের বাঁহাতি তরুণ পেসার তাঁর সে চেহারা ভালোভাবেই দেখালেন।
ফিল্ডিংও আগের ম্যাচের তুলনায় অনেক ভালো ছিল। ফিল্ডার সৌম্য সরকার তো প্রতি ম্যাচেই নিজেকে একটু একটু করে ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। প্রতি ম্যাচেই একটা না একটা দুর্দান্ত ক্যাচ নিচ্ছেন তিনি। এর মধ্যে কালকেরটিই আমার চোখে সেরা।
সাকিবকে খুব স্বতঃস্ফূর্ত মনে হলো মাঠে। উইকেট পাওয়ার পর তাঁর যে উদ্যাপন দেখলাম, মনে হয়েছে ম্যাচটা তিনি জিততেই মাঠে নেমেছেন। পরে ব্যাট হাতেও দেখলাম আগ্রাসী মূর্তি। ফিল্ডিং সাজানো থেকে শুরু করে সবকিছুতেই দলের সঙ্গে সাকিবকে অনেক বেশি সম্পৃক্ত মনে হয়েছে।
ব্যাটিংয়ে তামিমের কাছ থেকে আরেকটু ধৈর্য আশা করেছিলাম। পুরো টুর্নামেন্টে যেভাবে খেলে এসেছেন, ভেবেছিলাম ভারতের বিপক্ষে হয়তো আরও বেশি কিছু দেবেন। কিন্তু ফিল্ডিং ছড়িয়ে দেওয়ার পর যখন সিঙ্গেল নেওয়া খুব সহজ ছিল, তখন জাদেজাকে ওভাবে ডাউন দ্য উইকেটে খেলার কোনো দরকার ছিল না। বল একটু নিচু হলেও জায়গায় দাঁড়িয়ে খেললে ওটা তিনি ব্যাটেই পেতেন।
সবচেয়ে দুঃখজনক ছিল সাব্বিরের আউট। ধোনি স্টাম্প ভেঙে দিয়ে যে সুযোগটা নিয়েছেন, খেলায় এই অভ্যাসটাকে অনেক সময় অপ্রয়োজনীয় মনে হয়। কিন্তু ধোনি দেখালেন একজন উইকেটকিপারকে কেন এই অভ্যাসটা রপ্ত করতে হয়।
সবশেষে আবারও বলি, এমন হার মেনে নেওয়া কঠিন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মার্চ, ২০১৬ সকাল ৮:৩০
২টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=বেনারসী রঙে সাজিয়ে দিলাম চায়ের আসর=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫২



©কাজী ফাতেমা ছবি
মনে কি পড়ে সেই স্মৃতিময় সময়, সেই লাজুক লাজুক দিন,
যেদিন তুমি আমি ভেবেছিলাম এ আমাদের সুদিন,
আহা খয়েরী চা রঙা টিপ কপালে, বউ সাজানো ক্ষণ,
এমন রঙবাহারী আসর,সাজিয়েছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিজ্ঞানময় গ্রন্থ!

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪২

একটু আগে জনৈক ব্লগারের একটি পোস্টে কমেন্ট করেছিলাম, কমেন্ট করার পর দেখি বেশ বড় একটি কমেন্ট হয়ে গেছে, তাই ভাবলাম জনস্বার্থে কমেন্ট'টি পোস্ট আকারে শেয়ার করি :-P । তাছাড়া বেশ... ...বাকিটুকু পড়ুন

অস্ট্রেলিয়ার গল্প ২০২৪-৪

লিখেছেন শায়মা, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৫


চলে যাবার দিন ঘনিয়ে আসছিলো। ফুরিয়ে আসছিলো ছুটি। ছোট থেকেই দুদিনের জন্য কোথাও গেলেও ফিরে আসার সময় মানে বিদায় বেলা আমার কাছে বড়ই বেদনাদায়ক। সেদিন চ্যাটসউডের স্ট্রিট ফুড... ...বাকিটুকু পড়ুন

আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?

লিখেছেন শেরজা তপন, ২২ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫২


ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসের নায়িকাকে একদিন দেখতে গেলাম

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৫

যে মেয়েকে নিয়ে ‘অন্তরবাসিনী’ উপন্যাসটি লিখেছিলাম, তার নাম ভুলে গেছি। এ গল্প শেষ করার আগে তার নাম মনে পড়বে কিনা জানি না। গল্পের খাতিরে ওর নাম ‘অ’ ধরে নিচ্ছি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

×