উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, কারাগারগুলোকে শোধনাগার হিসেবে গড়ে তুলতে হবে, যাতে প্রত্যেকে সুস্থ জীবনে ফিরে যেতে পারেন। অপরাধীদের সংশোধন করতে হবে। সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। তারা না থাকলে পরিবারের কী অবস্থা হয়, তা বন্দীদের জানা দরকার। শুধু অপরাধের পর গ্রেফতারের চিন্তা না করে অপরাধপ্রবণতা থেকে মানুষকে কিভাবে বের করে আনা যায় সেদিকে চিন্তা-ভাবনা করতে হবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, অপরাধ করলে শাস্তি দিলাম- এতেই শেষ না। একজন ছিঁচকে চোর যদি জেলখানায় গিয়ে আরও বড় চোরদের সংস্পর্শে আসে, তাহলে জেলখানা থেকে বেরিয়ে সে পাকা চোর হয়ে ওঠে। ট্রেনিংটা সেখানেই পেয়ে যায়।
কারাবন্দীদের বৃত্তিমূলক বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ওপর জোর দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের লক্ষ্য তাদের উৎপাদনমুখী কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা। একটি মানুষের জীবনে প্রয়োজনীয় অনেক কিছুই কারাবন্দীরা তৈরি করতে পারে। কারাবন্দীরা যেসব পণ্য তৈরি করবে সেজন্য তারা নির্দিষ্ট পরিমাণ মজুরি পাবে এবং সেটা জমা থাকবে। যখন সে মুক্তি পেয়ে বাড়ি ফিরবে, তখন এ টাকা দিয়ে একটা ছোটখাটো ব্যবসা বা দোকান দিয়ে সমাজে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারবে। সে কারাগারে বন্দী থাকা অবস্থায় তার মজুরির একটা অংশ পরিবারকেও দেয়া হবে। কারণ অপরাধ করে একজন কিন্তু তার জন্য ভুক্তভোগী হয় গোটা পরিবার। কাজের মধ্যে দিয়ে বন্দী অবস্থায় তার কাজের প্রবণতা বৃদ্ধি পাবে। নিজেকে সংশোধন করে বন্দীদের জীবন কর্মমুখর করতে হবে।
প্রধানমন্ত্রী গত ওয়ান ইলেভেনের সময় নিজের কারাবরণ সম্পর্কে বলেন, আমাকেও জেলে আসতে হয়েছে। তবে তা সরাসরি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নয়। জাতীয় সংসদ ভবনের একটি বাড়িকে সাবজেল তৈরি করে আমাকে আটক রাখা হয়। কেন আমাকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়নিÑ এ বিষয়ে আমি কারা সংশ্লিষ্টদের কাছে জেনেছি। তারা বলেছেন, আমাকে আটক করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে আনা হলে কারাগারে আটক বন্দীরা আমাকে দেখার জন্য অতি উৎসাহী হয়ে পড়বে। এর ফলে কারাগারে এক বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হবে, যা তারা সামলাতে পারবে না। তাই আমাকে কারাগারে নেয়া হয়নি। আমি বঙ্গবন্ধুর আদর্শে রাজনীতি করি। বঙ্গবন্ধু স্বাধীন দেশ দিয়েছেন কিন্তু সোনার বাংলা গড়ে যেতে পারেননি। তাই আমরা উন্নত ও সমৃদ্ধ দেশ গড়তে যা যা করা প্রয়োজন তাই করছি। ফলে দেশ সমৃদ্ধির দিকে দ্রুত এগোচ্ছে।
পুরান ঢাকার কারাগারটি সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী বলেন, মোগল আমলে এ কারাগারটি একটি দুর্গ হিসেবে ব্যবহৃত হতো। পরবর্তীতে পাকিস্তান আমলেও এটি পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় কারাগার হিসেবে ব্যবহারিত হয়। আড়াই হাজারের কিছু বেশি বন্দীকে রাখার জন্য তৈরি করা কারাগারটিতে অমানবিকভাবে হাজার হাজার বন্দীকে মানবেতর জীবনযাপন করতে হতো। এ কারাগারটি তৈরির মাধ্যমে এ কষ্ট অনেকটা লাঘব হবে। এমন কিছু বন্দী আছে যাদের অভাবে স্বভাব নষ্ট হয়ে যায়। এসব অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা কমিয়ে আনতে কাজ হবে। আবার কিছু দুর্ধর্ষ বন্দী রয়েছে তাদের কোনক্রমেই ভাল করা যাবে না। তাই তাদের শাস্তি দিতে হবে।
এ সময় কারান্তরীণ অবস্থায় বন্দীর পরিবারের কী অবস্থা হয় তার জলন্ত উদাহরণ তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমার পিতা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান জীবনের এক উল্লেখযোগ্য সময় কারাগারেই কাটিয়েছেন। জীবনের দুটি বছর কোন সময়ই কারাগারের বাইরে কাটাতে পারেননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাকে ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য প্রথমবারের মতো কারাগারে যান বঙ্গবন্ধু। এরপর কিছুদিন পরপর কয়েকবার কারাগারে যান। এরপর ১৯৫২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি কারাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। এরপর ’৫৪ সাল, ’৫৬ সাল, ’৬২ সাল, ’৬৬ সাল, ’৬৯ সাল, ’৭১ সালসহ অসংখ্যবার দেশের জন্য গ্রেফতার হয়ে কারাগারে কাটাতে হয়েছে।
পিতার কারাগারের জীবন নিয়ে স্মৃতিচারণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, একসময় কারাগার থেকে বঙ্গবন্ধুকে ক্যান্টনমেন্টে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দীর্ঘদিন আমরা বঙ্গবন্ধু বেঁচে আছেন নাকি মারা গেছেন তার কোন খোঁজ পাইনি। এরপর যখন তাকে আদালতে আনা হলো তখন কেবল আমরা জানতে পারলাম যে বঙ্গবন্ধু জীবিত। এমনকি তার সাথে পরিবারের সবাইকে দেখা পর্যন্ত করতে দেয়া হতো না। আমি পরিবারের বড় ছিলাম বলে দেখা করতাম। ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুকে গ্রেফতার করে পাকিস্তান নিয়ে যাওয়ার পর আমরা তিনি জীবিত নাকি মারা গেছেন তাও একবার পর্যন্ত জানতে পারিনি। এরপর ১৯৭২ সালের ৮ জানুয়ারি পাকিস্তান কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে লন্ডনে পৌঁছার পরই কেবল জানলাম যে তিনি জীবিত রয়েছেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বন্দীদের জন্য পাবলিক টেলিফোনের ব্যবস্থা করা হবে। কারাগারের আটক বন্দীদের চুরি করে মোবাইল টেলিফোনে কথা বলা বন্ধ করতে পাবলিক টেলিফোনে মাসে হয়ত একবার পরিবারের সাথে কথা বলার ব্যবস্থা করা যেতে পারে। পরিবারের সদস্যদের সাথে বন্দীরা যোগাযোগ করতে পারলে মনটা ভাল থাকবে ও অপরাধ প্রবণতা অনেকাংশে কমবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বন্দীদের অপরাধ প্রবণতা থেকে বের করে আনা একান্ত প্রয়োজন। অপরাধীদের কিভাবে অপরাধ প্রবণতা থেকে সরিয়ে আনা যায়, সে বিষয়ে চিন্তা করতে ও ব্যবস্থা নিতে হবে। যারা জঘন্য অপরাধ করেছে তাদের কথা বলব না, যাদের সুযোগ আছে, তাদের সংশোধনের মাধ্যমে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে হবে। অপরাধীদের অপরাধ প্রবণতা থেকে সরিয়ে আনতে বহুমুখী কর্মসূচী নেয়ার কথাও বলেন শেখ হাসিনা। কারাগার থেকে যেন বড় অপরাধী তৈরি না হয়, সেদিকে সর্তক থাকার নির্দেশ দিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অনেক সময় ছিঁচকে চোর কারাগারে ঢুকে। কারাগারে বড়-বড় চোর, অপরাধীদের সঙ্গে মিশে আরও বড় চোর হয়ে বের হয়। সেটা যেন না হতে পারে, সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে। কারাবন্দীদের প্রশিক্ষণ ও উৎপাদনমুখী কাজের মধ্য দিয়ে অপরাধ প্রবণতা থেকে বের করে সুস্থ-স্বাভাবিক জীবনে নিয়ে আসার পরামর্শ দেন তিনি।
আধুনিক প্রযুক্তির এ বিশ্বে নতুন-নতুন অপরাধের ধরন ও প্রতিকারের বিষয়টি মাথায় রেখে পদক্ষেপ নেয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সমাজে নতুন-নতুন অপরাধ প্রবণতা বাড়ছে। এসব অপরাধ থেকে অপরাধীদের সরিয়ে আনার জন্য কাজ করতে হবে। অপরাধীদের সুস্থ জীবনে ফিরিয়ে আনা আমাদের সবার দায়িত্ব।
কারাগারের নিরাপত্তায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুত সংযোগ প্রয়োজন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকারের উন্নয়নে ‘বাধা সৃষ্টি’ করতে ‘উদ্ভট’ কারণ দেখিয়ে বর্তমানে বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণের বিরোধিতা করা হচ্ছে। আজকাল বিদ্যুত উৎপাদন করতে গেলেই আবার একদল আন্দোলনে নামে পরিবেশ রক্ষার নামে। কিছু কিছু উদ্ভট চিন্তাভাবনা এ দেশের মানুষের আছে। আমি জানি না- কিভাবে আসে! প্রধানমন্ত্রী বাঁশখালীর সাম্প্রতিক ঘটনাপ্রবাহ নিয়েও প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে। তিনি বলেন, এ ধরনের উদ্ভট কথা বলে অযথা কিছু মানুষের জীবন পর্যন্ত নিয়ে নেয়া হলো। আমি জানি না, উদ্দেশ্যটা কী আমি বলতে পারব না। প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা যত দ্রুত বিদ্যুত উৎপাদন করে সবাইকে একটু স্বস্তি দিয়েছিলাম, এখন সেই উৎপাদনে বাধা দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। অথচ এটা আমাদের উন্নয়নের জন্য দরকার।
বিদ্যুত কেন্দ্রের বিরোধিতার প্রসঙ্গ টেনে শেখ হাসিনা বলেন, সেটা আপনারা নিশ্চয়ই দেখেছেন। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র করতেই নাকি দেবে না। বিশেষজ্ঞদের একটি দল বলছেন, সুন্দরবনের এত কাছে তাপবিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে সমুদ্র, সংলগ্ন ভূমি এবং ওই এলাকার আবহাওয়া গরম হয়ে জীববৈচিত্র্যে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব পড়তে পারে। বিশেষজ্ঞদের ওই আশঙ্কা উড়িয়ে দেয় দিনাজপুরের বড়পুকুরিয়া তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দিনাজপুরের আগের সরকারের আমলে যখন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ করেছিলামÑ কই ওই এলাকার কোন ক্ষতি হয়নি। সেখানে বরং জমির উর্বরতা বৃদ্ধি পেয়েছে। ধান হচ্ছে, গাছপালা হচ্ছে, সব হচ্ছেÑ মানুষ বসবাস করছে। যারা পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেন তাদেরও সমালোচনা করে তিনি বলেন, কয়লার একটা কার্গো ডুবে গেল নদীতে, আর কিছু লোক চিৎকার করল, পানি নাকি সব দূষিত হয়ে গেছে। শৈশবে কয়লার ওয়াটার ফিল্টার ব্যবহারের কথা স্মরণ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি জানি না, এটা সায়েন্টিফিক্যালি কতটা সত্য। কারণ আমরা ছোটবেলা থেকে দেখেছি, আমাদের বাড়িতে পানির ফিল্টার ছিল। সেই ফিল্টারের ওপরের স্তরে কয়লা থাকত। কয়লা পানিকে দূষণমুক্ত করে। এখনও গ্রামেগঞ্জে এই ফিল্টার দিয়ে পানি দূষণমুক্ত করে। তাহলে এটা কী করে দূষিত হলো? প্রশ্ন করেন প্রধানমন্ত্রী। তাপ বিদ্যুত কেন্দ্রের ছাই সিমেন্ট কারখানায় চলে যায় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীর সব দেশেই কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র আছে। অক্সফোর্ডেও আছে। কয়লাভিত্তিক বিদ্যুত কেন্দ্র হলে ‘এ্যাসিড বৃষ্টি হবে’Ñ এ ধরনের ‘উদ্ভট প্রচারও’ চালানো হচ্ছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ থেকে সবাইকে বেরিয়ে আসার আহ্বান জানান। প্রধানমন্ত্রী অপরাধীদের কারাগার থেকে বের হয়ে মানুষের মতো মানুষ হিসেবে বসবাস করতে সুযোগ প্রদানের জন্য সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, সরকারের উন্নয়নের অংশ হিসেবে বিভিন্ন স্থানে নতুন নতুন কারাগার নির্মাণ করে গত ৮ বছরে ৭ হাজার ৫১২ জন বন্দী ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। বন্দীদের কল্যাণে কাশিমপুরে বন্দী পুনর্বাসন স্কুল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বন্দীর সকল তথ্য সংরক্ষণের জন্য র্যাব প্রিজন্স ইনমেইড ডাটাবেজ তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া বন্দীদের আধুনিক সুবিধা প্রদান করতেই ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারটি তৈরি করা হয়েছে। বন্দীর নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে লাগেজ স্ক্যানার ও বডি স্ক্যানার কেনা হচ্ছে। তাছাড়া কারাগারকে আইসিটিভুক্ত করার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখা হয়েছে। তিনি বন্দীর কল্যাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রসচিব বলেন, কারাগারকে শাস্তি প্রদান নয় সংশোধনাগার হিসেবে প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ চলমান রয়েছে। এসব কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে একসময় কারাগার হবে সমাজসেবামূলক কর্মকা-ের জন্য মূল কেন্দ্র হবে। বর্তমান সরকার কারা উন্নয়নে এ পর্যন্ত ১১ শত কোটি টাকা ব্যয়ে ৭টি বিভিন্ন উন্নয়নমূলক প্রকল্প বাস্তবায়নের কাজ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এছাড়া আরও ১০টি প্রকল্পের কাজ শেষ করেছে।
অনুষ্ঠানে কারা মহাপরিদর্শক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সৈয়দ ইফতেখার উদ্দীন বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রী কারাগারের উন্নয়নে বিশেষ নজর রাখছেন। তিনি শুধু অপরাধ নিয়ে চিন্তিত নন, সাথে সাথে বন্দীদের নিয়েও চিন্তিত ও ব্যথিত। নতুন এ কারাগারটির মাধ্যমে সারাদেশে ১৯শ’ বন্দী থাকার ব্যবস্থা হয়েছে। আইজি প্রিজন্স কারা কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সমস্যা নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কাছে আবদার করেন। কারাবন্দীদের পাশাপাশি কারা কর্মকর্তা কর্মচারীদের একই বেতনে চাকরি করে নিম্ন গ্রেডে বেতন প্রাপ্তি ও উপযুক্ত সম্মান না পাওয়ার কথা তুলে ধরেন। এছাড়া কারা কর্মচারীদের সপ্তাহে সাত দিনই ডিউটি করা, অর্জিত ছুটি ভোগ করতে না পারা, জনবলের প্রবল সঙ্কট, পর্যাপ্ত সংখ্যক প্রথম শ্রেণীর কর্মকর্তা না থাকাসহ বিভিন্ন অসুবিধার কথা তুলে ধরেন।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৭