বলতে গেলে সমস্ত আলেমরাই এখন শিরক শেখাচ্ছে । কারণ ১৪০০ বছরে মানুষ দুর্বল থেকে দুর্বলতর হয়েছে , কিন্তু ধর্ম এখন আগের চাইতে বেশি কঠোর হয়েছে । তাছাড়া মানুষ এখন আল্লাহর ভয়ে ইবাদত করে না । বরং ভয় করে পীর সাহেবকে , ভয় করে বক্তাকে এবং ভয় করে সাধারণ লোককে । অর্থাৎ নামাজ রোজা , দাড়ি টুপি রাখা , টাখনুর উপর কাপড় পড়া ইত্যাদি আমলগুলো লোকের ভয়ে বা বক্তার ভয়ে বা পীরের ভয়ে করছে । অন্যদিকে টিভি দেখা , চুরি করা , নারীর দিকে তাকানো ইত্যাদি কাজ থেকে বিরতও থাকছে পীরের ভয়ে বা আলেমের ভয়ে বা সাধারণ লোকের ভয়ে । অথচ আল্লাহর ইবাদতে কোন অংশী নেই ।
মানুষ এখন এর থেকে মুক্তি চায় , আল্লাহর ভয়ে বা আল্লাহকে ভালবেসে ইবাদত করতে চায় , আর এজন্য দ্বীনকে সহজভাবে পেতে চায় । অতঃপর ইনশাআল্লাহ , দ্বীনকে সহজভাবে উপস্থাপন করবেন মহান আল্লাহর সংস্কারক ।
প্রিয় বিশ্বাসীগন ইবাদত করতে হবে আল্লাহর ভয়ে এবং আল্লাহকে ভালবেসে । গোলাম মালিককে ভালবেসে গোলামী করবে , এটাই তো স্বাভাবিক এবং এটাই সর্বোচ্চ ঈমান । তাছাড়া আল্লাহর ইবাদতে কোন অংশী থাকতে পারে না । যদিও প্রথমদিকে কিছুদিন লোকের ভয়ে ইবাদত করা জায়েজ । আর এটা শিখার জন্য । কিন্তু মুসলমানগন এখন সারা জীবন লোকের ভয়ে , আলেমের ভয়ে এবং পীরের ভয়ে ইবাদত করছে , যা প্রকাশ্য শিরক এবং এ শিরক আমলকারীও করছে এবং বক্তা , আলেম বা পীর সাহেবও করছেন ।
প্রিয় বন্ধুগন মানুষকে ইবাদতে উৎসাহ দিতে হবে এবং ইবাদতে উদ্বুদ্ধ করতে হবে , তবেই ইবাদতে মজা পেয়ে মানুষ সর্বদা ইবাদতে লিপ্ত থাকবে । আর এজন্য সুন্নত মুস্তাহাব দিয়ে ভয় দেখানো যাবে না । কুয়াকাটা , আব্বাসী , চরমোনাই কথায় কথায় সুন্নত মুস্তাহাব নিয়ে ভয় দেখায় এবং সগীরা গুনাহ নিয়ে চরম ভয় দেখায় , যা বর্তমানে প্রকাশ্য শিরক ।
বর্তমানে প্রায় সব আলেমরাই এখন ইউটিউব এবং ফেসবুকে তাদের বক্তৃতা শেয়ার করছেন এবং নিজেরাও দেখছেন । আর ইউটিউবে ভালো কিছু দেখতে গেলে কিছু গান টানও দেখে সবাই । আর এটাই স্বাভাবিক । অতএব বক্তারাও কিছু দেখেন , তবে কেনো তারা এতো ভয় দেখান । তাছাড়া দিন যত যাবে প্রযুক্তি আরও সহজলভ্য হবে । আর এজন্যই ফতোয়া দিতে হবে সময়জ্ঞান দিয়ে । কেননা ফতোয়া দেওয়ার জন্য সময়জ্ঞান থাকা ওয়াজিব । কিন্তু বলতে গেলে এখন সমস্ত মুফতিই সময়জ্ঞানহীন ।
আর এজন্যই এখন প্রায় সব মুফতিকেই এড়িয়ে চলতে হবে , কারণ এড়িয়ে না চললে মানুষ প্রকাশ্য শিরকে লিপ্ত হবে এবং চিরজাহান্নামী হবে ।
( ডাঃ আকন্দ ) ।