ইন্ডিয়াতে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি অরুণাচল প্রদেশ সফরে গিয়েছিলেন। চীন অরুণাচল প্রদেশকে "দক্ষিণ তিব্বত" বলে দাবি করে। এই সফর ভূ-রাজনৈতিক কৌশলের একটা ভবিষ্যৎ ইঙ্গিত। এই অঞ্চল নিয়ে ইন্ডিয়া-চীন বিরোধে আমেরিকার ভবিষ্যৎ অবস্থানের একটা ইঙ্গিত। আমেরিকা জানে এই সফর নিয়ে চীন তার স্বভাব সুলভ ভাবে কঠোর এবং তীব্র প্রতিক্রিয়া জানাবে।
আশ্চর্যের বিষয় গারসেটির সর্বশেষ সফরে চীন এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি। এই অঞ্চলে সর্বশেষ আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সফর ছিল ২০১৯ সালে। তখন রাষ্ট্রদূত কেনেথ জাস্টার অরুণাচল প্রদেশের রাজধানী তাওয়াং সফর করেছিলেন। অতীতে চীন আমেরিকার কূটনৈতিক সফরের কঠোর সমালোচনা করেছিল। প্রাক্তন রাষ্ট্রদূত রিচার্ড ভার্মার ২০১৬ সালে অরুণাচল প্রদেশ সফরের পরে চীন বলেছিল, "আমেরিকার হস্তক্ষেপ কেবল বিরোধকে আরও জটিল করে তুলবে, সীমান্ত অঞ্চলের শান্তি বিঘ্নিত করবে এবং এই অঞ্চলের শান্তিপূর্ণ উন্নয়নকে ক্ষতিগ্রস্ত করবে।"
এই সফরের আরেকটা গুরুত্বপূর্ণ দিক হচ্ছে দ্বিতীয় বিশ্ব যুদ্ধের সময় আমেরিকার যুদ্ধ বিমানগুলি হিমালয় পর্বতের উপর দিয়ে উড়ে এসে চীনকে সাহায্য করতো। কিন্তু এই রুট ছিল বিপদজনক। বেশ কয়েকটা আমেরিকান বিমান এই দুর্গম পথে জঙ্গল এবং পাহাড়ে বিধ্বস্ত হয়। এখানে জাদুঘরে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় অরুণাচল প্রদেশে বিধ্বস্ত আমেরিকান বিমানের ধ্বংসাবশেষ রয়েছে। সুতরাং আমেরিকার কাছে এই পথের একটা গুরুত্ব আছে, যা চীন জানে।
২০২২ সালের ৯ ডিসেম্বর প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা [Line of Actual Control (LAC)] বরাবর অরুণাচল প্রদেশের তাওয়াং-এর ইয়াংটস অঞ্চলে ইন্ডিয়া ও চীনা সেনাদের মধ্যে সীমান্ত সংঘর্ষের প্রায় এক বছর পর আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের সফর এই অঞ্চলের স্পর্শকাতর বিষয়টি স্পষ্ট করে। ঐ সংঘর্ষে চীনা সৈন্যরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। খবরে বলা হয় ওই সময় আমেরিকা অরুণাচল প্রদেশে চীনের অনুপ্রবেশকে ব্যর্থ করার জন্য ইন্ডিয়াকে গোয়েন্দা তথ্য সরবরাহ করেছিল।
[তথ্য যাচাই এবং গবেষণায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সাহায্য নেয়া হয়েছে।]
সূত্র: নিউজউইক, পিপলস ডেইলি অনলাইন, নিউজ টুডে, ডন, ডেইলি পাকিস্তান।
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:২৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



