লেখার হয়তোবা কোন প্রয়োজন ছিল না,
প্রয়োজন ছিল না মনের কথা বা ব্যাথা প্রকাশ করার।
কিন্তু ফিকে হয়ে আসা নীলরঙা গল্পগুলো
যতই দানা বাঁধতে শুরু করলো,
প্রয়োজন ক্রমশ গাঢ় থেকে গাঢ় হলো।
পরিচিত টেবিলটির ঠিক সামনে বসে কফির অর্ডার দিতে দিতে
যখন জানালা দিয়ে পাতা ঝরে গিয়েছিল,
সেদিন অনুভূত হয়েছিল কলমের।
একাকীত্বের পথ ধরে চলতে চলতে
যখন প্রতিটি প্রাণের একাকীত্বের খোঁজ পেলাম,
সেদিন প্রয়োজন এসেছিল কাগজের।
মানুষগুলোর সীমাহীন চাওয়া-পাওয়ার মাঝে
যেদিন হারিয়ে গিয়েছিল কিছু কঙ্কালসারের না পাওয়া,
সেদিনই হয়তো নাড়া দিয়েছিল কালো কালো পোকাগুলো ...
কাগজের পাতায় পাতায়, কলমের চলতে থাকায়
শব্দগুলো এলোমেলো ভঙ্গিতে জট পাকাতো।
এখনও হয়তো আর লেখার প্রয়োজন নেই।
মানুষ যেখানে আবেদন হারাচ্ছে,
সেখানে ভাস্করের বন্ধু নিরঞ্জনের মূল্য কি?
হয়তো প্রয়োজন নেই, বৃথা ব্যাথার করুন হাহাকারের,
কিন্তু মনে রাখি,
কঙ্কালসার প্রাণগুলোর টেবিলটিতে বসার ইচ্ছে আজও রয়ে গেছে।