বিগত কয়েকদিন ধরে সোশ্যাল মিডিয়ায় সবচেয়ে চর্চিত বিষয়, কোকের বয়কট ও গত দুই দিন ধরে সেইন্ট মার্টিন মায়ানমার দখল করে নেয়ার খবর।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিশ্রিভাবে ছড়িয়ে পড়েছে, মায়ানমার সেইন্ট মার্টিন দখল করে নিচ্ছে। তাই সমুদ্রে বাংলাদেশি জাহাজ দেখলেই গুলি মেরে, জাহাজ নৌকার লোকেদের খুলি উড়িয়ে দেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।
এমতাবস্থায় দেশের সরকার, যুদ্ধ জাহাজ পাঠিয়ে হাঙ্গামা, দাঙ্গা না থামিয়ে, চুপচাপ বসে আছে।
পত্রিকা মারফত জানতে পারলাম, এটা মায়ানমারের সীমান্তে তাদের অভ্যন্তরীণ মারামারি, কাটাকাটি, গুলি ছোড়াছুড়ি। সে গুলির কিছু এসে পড়ছে আমাদের দেশে। যেহেতু নাফ নদীতে বাংলাদেশ ও মায়ানমার উভয়ের ভাগ আছে, তাই গুলি এসে পড়াটা অস্বাভাবিক নয়। এছাড়া নদীতে জাহাজ দেখে বিপক্ষ, শত্রু পক্ষের জাহাজ ভেবে ধ্বসিয়ে দেয়ার চেষ্টাও এটা হতে পারে।
আপনি কোন মতকে মেনে নিচ্ছেন বা বিশ্বাস করছেন?
এবার আসি কোক প্রসঙ্গে।
বেশ বড়সড় মাপের বয়কট আন্দোলন চলছে, কোকের বিপক্ষে। এক্ষেত্রে কয়েকটি পক্ষ দেখা যাচ্ছে।
১। কোক সরাসরি ইসরায়েলকে সাপোর্ট করছে, তাই কোক বয়কট করা উচিত। ওরা হত্যার পক্ষে সাফাই গাইছে।
২। কোকের সরাসরি ইসরায়েল সেনাবাহিনীর সাথে কোনো সম্পর্ক নেই, কারণ কোকের ওয়েবসাইটে লেখা।
৩। কোকের সাথে সাথে অন্যান্য আমেরিকান পণ্যও বয়কট করতে হবে, পেপসির মতন। কারণ আমেরিকা ইসরায়েলকে সাপোর্ট করে। দেশি পণ্য খেতে হবে, মোজোর মতন। তবে ফেসবুক ও গুগলের বিষয় আলাদা, কারণ এগুলোর বিকল্প নেই, ও এগুলোই বয়কটের অস্ত্র।
৪। টাকা দিয়ে কিনলে কোকও কিনবে, কারণ কোক, পেপসির মানের কোলা এ দেশে নেই।
৫। কোক বয়কট করুন, কারণ কোক শরীরের জন্য ক্ষতিকর।
আপনার এ ব্যাপারে মতামত কী?
তবে আমার একটা আশঙ্কা হচ্ছে। কোক নিয়ে যেভাবে দু'পক্ষে ভাগ হয়ে গিয়েছে মানুষ, প্রকাশ্যে কোক খেতে দেখলে কাউকে তার উপর হামলা হতে পারে কি? এরকম এক্সট্রিম লেভেলে কি ব্যাপারটা যাবে?
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৯