কোন পথে এগুচ্ছে বাংলাদেশ। সমাজে এক প্রকার বিভক্তি লক্ষণীয়।
এক দল মানব ধর্মে বিশ্বাসী। অসাম্প্রদায়িক মানবতার পথে দ্রুত এরা এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চালাচ্ছে। জ্ঞানের স্পর্শে নতুন সমাজ গঠন এদের লক্ষ্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। ধর্ম নিয়ে কথা বলা এদের নিত্য যেন স্বভাব। পশ্চাতের মতো ঘরে কোণে হটাৎ ভালোবাসার জন্ম, আবার হটাত করেই তার সমাপ্তি। পরিশেষে শীথিল সামাজিক বন্ধনে আত্নকেন্দ্রিক সমাজ গঠন।
আর একদল ধর্মান্ধ। কুঁড়িয়ে পাওয়া চিন্তা চেতনার মাঝে এদের দাসত্ব। ধর্মকে টিকে রাখতে হত্যার মাঝে খোঁজে এরা সমাধান।এদের সঠিক ধর্মীয় জ্ঞান নিয়ে প্রশ্ন রাখা যায়। হিংস্রতা আর জঙ্গিবাদ কখনোই হতে পারে না ধর্মের দর্শন।
এই দুই দলের উগ্রবাদী চিন্তা-চেতনা সমাজটাকে করে তুলেছে বিভক্ত। সমাজিক পরিবর্তন কখনই থেমে থাকেনা । ভালো-মন্দ পরিবর্তনগুলো চক্রাকারে ঘুরতেই থাকে। কিন্তু অতি দ্রুত পরিবর্তন চাইলে হত্যা- সংঘর্সের মধ্যদিয়ে সময়টা অতিক্রম করতে হয়। সাধারণ মানুষ সামাজিক পরিবর্তনগুলো ধীর গতিতে চায় কিন্তু চায় না কোন হত্যা- সংঘর্সের ঘটনা দেখতে।
প্রগতিশীল লেখক-বুদ্ধিজীবীদের আবস্থান বরাবরের মতো নাস্তিকতাকে ছুঁয়ে। শিক্ষিত-জ্ঞানী সমাজ তৈরি তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য। কিন্তু দেশ তো তার নাগরিকদের দিতে পারছে না বেকারত্বের অভিশাপ থেকে মুক্তি। এমন অবস্থায় পেটে ক্ষুধা নিয়ে কেমন করে সভ্য জ্ঞানী সমাজ আশা করা যায়। বেকারত্বের অভিশাপে সমাজটা এখন পঙ্গু হয়ে আছে। টিকে থাকার সংগ্রামে মানুষগুলো আজ তিন শ্রেণীতে বিভক্ত --- ক্ষমতাবান, দালাল, নিরীহ সাধারণ মানুষ। প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় শিক্ষিতরাও বেকারত্ব নিয়ে ঘোরে। দেশ ও জাতির বর্তমান মূখ্য সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে এটি।
''রাজনীতিজীবিরা আত্নসেবা তো অনেক করেন। এবার একটু মানুষের জন্য পর্যাপ্ত কর্মসংস্থানটা তৈরি করেন।''----- একটা দাবি।