সাধারণ মানুষ ও সিএনজি মালিকদের অভিযোগ স্বল্প দূরত্বের যাতায়াতে বিকল্প কোন ব্যাবস্থা না রেখে এভাবে বিনা প্রচারণায় মহাসড়কে সিএনজি অটোরিক্সা বন্ধ করে দেয়া কতটা যৌক্তিক। এছাড়া সারাদেশে বিপুল সংখ্যক মানুষ যারা এই পেশার সঙ্গে জড়িত তাদের নতুন কর্ম সংস্থানেরও কোন ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। এছাড়া সিএনজি মালিকদের অনেকেই ক্ষুদ্র উদ্যোক্তা। সরকারের এমন সিদ্ধান্তের কারনে অনেকটা বিপাকে পড়েছে সিএনজি মালিকরা। দুশ্চিন্তায় পড়েছে মালিক শ্রমিকরা।
বাংলাদেশে সড়ক দুর্ঘটনা নিত্যনৈমিত্তিক ঘটনা। কিন্তু এর জন্য শুধু মাত্র সিএনজি অটোরিক্সা আর কতটুকুই বা দায়ী। দায়ী হলো চালকদের অসচেতনতা ও নিয়ম ভাঙ্গার প্রতিযোগিতা। সেজন্য কঠোর আইন করে এর প্রয়োগ করতে পারেন। দায়ী চালকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেন। কিন্তু সাধারণ মানুষকে ভোগান্তিতে রেখে এ ধরণের সিদ্ধান্তকে মাথা ব্যাথা হলে মাথা কেটে ফেলার শামিল বলেই মনে হয়।
তাই সাধারণ নাগরিকদের ভোগান্তির কথা মাথায় রেখে এবং ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের কথা ভেবে, এই সেক্টরে কর্মরত কয়েক লাখ মালিক শ্রমিকের কথা ভেবে সরকারের সিদ্ধান্তটিকে পুনর্বিবেচনার অনুরোধ জানাচ্ছি।
প্রসঙ্গত, ২৩ জুলাই সচিবালয়ে এক পর্যালোচনা সভায় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের মহাসড়কে সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও অটোটেম্পো চলাচল বন্ধের এই ঘোষণা দেন। যুক্তি হিসেবে তিনি বলেন, এবার মহাসড়কে যে দুর্ঘটনাগুলো ঘটেছে তা সিএনজিচালিত অটোরিকশার কারণে। অতীতে মহাসড়কে এত অটোরিকশা কখনও ছিল না। সড়ককে নিরাপত্তা রাখতে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ থেকে ২৭ জুলাই এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, জাতীয় মহাসড়কে থ্রি-হুইলার অটোরিকশা ও অটোটেম্পো এবং সব ধরনের অযান্ত্রিক যানবাহন চলাচল ১ আগস্ট থেকে নিষিদ্ধ। এর আগে উচ্চ আদালত থেকেও মহাসড়কে অটোরিকশা বন্ধের নির্দেশ দেয়া হয়েছিল।