অফিস টাইমে বা অন্যকোন গুরুত্বপূর্ণ কাজের সময় ঘন্টার পর ঘন্টা অপেক্ষা করে, বাদুর ঝোলা হয়ে যাওয়া নতুন কিছু নয়। কিন্তু বাসের ভাড়া বৃদ্ধি পেলেও সেবার মান কিন্তু বাড়েনি এতটুকুও। বরং কমেছে।
রাজধানীতে যত ধরনের গণপরিবহন রয়েছে সেগুলোতে না উঠলে কেউ ধারণাও করতে পারবেনা কত রকমের ভোগান্তি হতে পারে। এর মধ্যে অন্যতম হলো অপরিচ্ছন্ন ও ময়লাযুক্ত সিট। যদিও আমাদের খুব কম লোকই বসার স্থান পায়। বেশিরভাগ সময় দাড়িয়ে বা ঝুলেই চলাচল করতে হয়। তবুও যারা বসার সুযোগ পান তাদের খুবই অস্বস্তিতে থাকতে হয়। তাছাড়া বসার স্থান এতোই সরু ও কম যে দুইজনতো বসাই যায়না তার উপর ঠিকমত পা ফেলেও বসা যায়না। বাসের মেঝেতেও থাকে বিস্তর ময়লা।
যেহেতু আমাাদের দেশের রাস্তাঘাটগুলো ধুলায় ধুসরিত সেহেতু ধুলাবালি থাকবেই এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু এরপরেও যদি নিয়মিত পরিস্কার না করে তাহলে এর পরিণতি কি হতে পারে তা তো ভুক্তভোগীরাই দেখছে। এসব নিয়ে যাত্রী সাধারণের মধ্যে চাপা ক্ষোভ থাকলেও বাস থেকে নেমে যাওয়ার পর আর মনে রাখেননা বা বলার মতো উপযুক্ত যায়গা পাননা।
যাই হোক আমাদের মাননীয় দুই মেয়র সাহেবকে দেখলাম তারা ক্লীন ও সুন্দর ঢাকা গড়তে বেশ তৎপড়। তারা কখনো ড্রেন পরিস্কার করতে, বাড়ি নতুন করে রং করতে নির্দেশনা দিচ্ছেন, আবার কখনো কখনো দেখছি নিজেরাই ঝাড়ু হাতে রাস্তায় নেমে পড়ছেন পরিস্কার পরিচ্ছন্নতা অভিযানে। এটা অবশ্যই ভালো দিক। তাদের এমন কর্মতৎপড়তা আমাদেরকে আশান্বিত করেছে।
তাই আমি মাননীয় দুই মেয়র সাহেবকেই বলব, প্লীজ...এবার একটু গনপরিবহনের পরিবেশের দিকে নজর দিন। আপনাদের নিজেেএসে এসব করতে হবেনা। বা কোন বাজেটও বরাদ্দ দেয়া লাগবেনা। শুধু মাত্র একটি নির্দেশনা চাই। বাস মালিক-চালকদের একটা নির্দেশনা দিন তারা যেন অন্তত প্রতিদিন তাদের গাড়ীগুলো পরিস্কার করে রাস্তায় বের করে। তাতে আশা করি পুরো নগরবাসী স্বস্তি অনুভব করবে।
আর সম্ভব হলে ঢাকার জন্য একটু সম্প্রসারিত গাড়ি নামানোর ব্যাবস্থা করবেন। গাড়ীতে নির্দিষ্ট সিটের বাইরেও আমাদের যাত্রীদের উঠতে হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:১৯