দেশব্যাপী পুলিশের গণগ্রেফতার-চিরুনী অভিযান, সবই ছিল একটি রায়কে ঘিরেই। তবে এতো কিছুর পরেও বিএনপি বা খালেদা জিয়ার অহিংস কর্মসুচি নিসংকোচে প্রশংসার দাবি রাখে। এসবনা কথা বলবো অন্য একটি প্রসঙ্গে। তা হলো, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, বিরোধীদল জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদ সিলেট মাজার জিয়ারত করে তাদের নির্বাচনী প্রচারনা শুরু করেছেন। বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াও গেছেন তবে তা শুধু ব্যক্তিগত জিয়ারত। তাদের কথায় বিশ্বাস আনলে বলতে হয় রায়কে সামনে রেখেই তিনি দোয়া করতে গেছেন। শোনা যায় রায়ের দিন বাসা থেকে বের হওয়ার সময়েও দোয়া মোনাজাত করে বের হয়েছেন খালেদা জিয়া।
তবে শেষ পর্যন্ত রায় বিপক্ষে গেলেও কঠোর কোন প্রতিক্রিয়া দেখায়নি দলটি। কেন্দ্রীয় নেতারা কান্নাকাটি করেই নেত্রীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। যদিও কেউ কেউ বলেন, বুর্জেোয়া রাজনীতিতে এই ধরনের শস্তা আবেগের জায়গা নেই। দলের সর্বেোচ্চ নেতা কারাগারে গেলেও কঠোর কোন কর্মসুচি না দিয়ে সাদামাটা বিক্ষোভ কর্মসুচি দিলো বিএনপি। এটাকেও রাজণীতিতে ইতিবাচক ধারার চর্চা বলা যায়। তবে শেষ পর্যন্ত রাজনীতির জটিল হিসেবে কার জয় হলো সেটা তর্কের বিষয়। কিন্তু দেখা গেলো শুক্রবার কর্মসুচি পালন করতে বায়তুল মোকারম থেকেই এই মিছিল বের হলো মির্জ ফখরুলের নেতৃত্বে। যেখানে সাধারনত ইসলামী দলগুলো বা আলেম ওলামারা বিভিন্ন সময় বিক্ষোভ দেখিয়ে থাকে। যদিও বিএনপি এখানে বিক্ষোভ দেখানোতে কোন সমস্যা নেই। কিন্তু একজন আগন্তুকের প্রশ্ন এতো জায়গা থাকতে বায়তুল মোকাররমে কেন মিছিল করতে হলো বিএনপিকে।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ রাত ২:২২