//
১৯৩৯ সালের কোন একদিনের কথা।গোপালগঞ্জ মাথুরানাথ ইনস্টিটিউট মিশন স্কুল পরিদর্শনে এলেন তৎকালীন অবিভক্ত বাংলার মুখ্যমন্ত্রী শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।সাথে ছিলেন হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী।স্কুল পরিদর্শন শেষে মন্ত্রী ডাক বাংলোর দিকে হেঁটে যাচ্ছিলেন।এমন সময় একদল ছাত্র হঠাৎ এসে তাদের পথ আগলে দাঁড়ালো।ছাত্রদের দুঃসাহস দেখে হেড মাস্টার থ বনে গেলেন।তিনি চিৎকার দিয়ে বললেন,"এই তোমরা কী করছ,রাস্তা ছেড়ে দাও।"হেড মাস্টারের কথা কর্ণপাত না করে হ্যাংলা-পাতলা লম্বা,মাথায় ঘন কালো চুল পিছনে সিঁতি করা ৮ম শ্রেণীর একটি ছেলে গিয়ে দাঁড়ালো মুখ্যমন্ত্রীর সম্মুখে।মন্ত্রী জিজ্ঞেস করলেন,"কি চাও?" নির্ভয়ে সে ছেলে উত্তর দিল,
'আমরা এই ইনস্টিটিউটের ছাত্র।স্কুলের ছাদে ফাটল ধরেছে।সামান্য বৃষ্টি হলেই বৃষ্টির পানি চুইয়ে পড়ে।আমাদের বই খাতা ভিজে যায়।ক্লাস করতে অসুবিধা হয়।স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার এ ব্যাপারে বলা হলেও কোন ফল হয়নি।ছাদ সংস্কারের আর্থিক সাহায্য না দিলে রাস্তা মুক্ত করা হবে না।'
সেই ছাত্রের বলিষ্ট নেতৃত্ব,সৎ সাহস আর স্পষ্টবাদীতায় মুগ্ধ হয়ে ফজলুল হক তার তহবিল থেকে প্রয়োজনীয় টাকা মঞ্জুর করে জেলা প্রশাসককে ছাদ সংস্কারের জন্য নির্দেশ দিলেন।এমনি এক দাবী আদায়ের মধ্য দিয়ে যার রাজনৈতিক জীবনের বীজ রোপিত হয়,তিনি পরদেশী কেউ নন।তিনি ছিলেন,হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি,আধুনিক বাংলাদেশের রূপকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা মার্চ, ২০১৬ রাত ৮:০৭