অবহেলিত পুরোনো ঢাকা-১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বিভিন্ন ইতিহাসের সাক্ষী পুরোনো ঢাকাকে দেখাশোনা করার যেন কেউ নেই। আমি আজকে তার-ই একটি স্থানের বর্তমান অবস্থা আপনাদের নিকট তুলে ধরছি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলোর মধ্যে ঢাকার লালবাগের কেল্লা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য দেশী-বিদেশী পর্যটকের সমাগম হয়। একসময় সরকারের হস্তক্ষেপে এটি বেশ সুন্দর ভাবে সেজে ওঠে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, গত কিছুদিন যাবত সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এই লালবাগের কেল্লার সাথে অভিমান করেছে। প্রথমেই প্রবেশ করি প্রবেশমূল্যে, বেশ কয়েক বছর আগে লালবাগ কেল্লার প্রবেশ মূল্য ছিল ২ টাকা। তিন বছর আগে তা বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হয়। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ১ বছর হল এটি আবার পরিবর্তন করে ১০ টাকা পুনঃনির্ধারন করা হয়। কিন্তু কেল্লার পার্কের সৌন্দর্যের দিকে কারো দৃষ্টি নেই। লনগুলোতে দর্শনার্থীদের বসা নিষিদ্ধ হলেও অনেকেই এগুলোতে বসছে ও বাচ্চারা খেলাধুলা করছে ইচ্ছামতো। পার্কের ভেতর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য একদা যে ফোয়ারাগুলোর জন্ম হয় সেগুলোই যেন এখন সৌন্দর্যহানির বড় কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। কেননা, এগুলোতে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বচ্ছ পানি টলমল করার কথা, যা কিছুদিন বর্তমান ছিল। কিন্তু দেশে প্রতিবছর বন্যা হলেও এগুলোর খরা যেন আর কাটে না। অধিকাংশ ফোয়ারার চৌবাচ্চাগুলো নোংরা ও সেঁতসেঁতে। বৃষ্টির পানি ছাড়া এগুলোর আর কোন পানির উত্স আছে বলে মনে হয় না। পার্কের পার্শ্বে পার্কেরই একটি অংশ হচ্ছে সেই মুঘল আমলের মসজিদ। মসজিদ আর পার্কের মাঝের বেষ্টনী ডিঙিয়ে অসংখ্য লোকজন প্রতিদিন পার্কে প্রবেশ করে। কেল্লায় প্রবেশের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও গার্ডদের সহযোগিতায় অনেকে ঢুকে পড়ে এর সীমানায়। পার্কের দক্ষিন দিকের উচুঁ অংশে সন্ধ্যার পর মাঝে মাঝে যা চোখে পড়ে তা বলার মত নয়। এর পাঁশ ঘেষে রয়েছে অনেক দালান-কোঠা যেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসবাস। সন্ধ্যার পরের দৃশ্যের জন্য তাদেরকে প্রায়ই অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। যাইহোক এখানে একটি বিরাট পুকুর রয়েছে যা আপনাদেরকে বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। এই পুকুরটি বড়ই করুন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সর্বোপরি কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ, একটু নজর দিন আমাদের এই সাধের লালবাগের কেল্লাটির দিকে ।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন্যায়ের বিচার হবে একদিন।

ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন
আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন
মিশন: কাঁসার থালা–বাটি
বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন
আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন
J K and Our liberation war১৯৭১


জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।