অবহেলিত পুরোনো ঢাকা-১
২৯ শে এপ্রিল, ২০০৯ দুপুর ১২:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
ঢাকা শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থান ও বিভিন্ন ইতিহাসের সাক্ষী পুরোনো ঢাকাকে দেখাশোনা করার যেন কেউ নেই। আমি আজকে তার-ই একটি স্থানের বর্তমান অবস্থা আপনাদের নিকট তুলে ধরছি। বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী নিদর্শনগুলোর মধ্যে ঢাকার লালবাগের কেল্লা একটি বিশেষ স্থান দখল করে আছে। এখানে প্রতিদিন অসংখ্য দেশী-বিদেশী পর্যটকের সমাগম হয়। একসময় সরকারের হস্তক্ষেপে এটি বেশ সুন্দর ভাবে সেজে ওঠে। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের সাথে বলতে হয় যে, গত কিছুদিন যাবত সংস্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যেন এই লালবাগের কেল্লার সাথে অভিমান করেছে। প্রথমেই প্রবেশ করি প্রবেশমূল্যে, বেশ কয়েক বছর আগে লালবাগ কেল্লার প্রবেশ মূল্য ছিল ২ টাকা। তিন বছর আগে তা বাড়িয়ে ৫ টাকা করা হয়। আশ্চর্যের ব্যাপার হচ্ছে ১ বছর হল এটি আবার পরিবর্তন করে ১০ টাকা পুনঃনির্ধারন করা হয়। কিন্তু কেল্লার পার্কের সৌন্দর্যের দিকে কারো দৃষ্টি নেই। লনগুলোতে দর্শনার্থীদের বসা নিষিদ্ধ হলেও অনেকেই এগুলোতে বসছে ও বাচ্চারা খেলাধুলা করছে ইচ্ছামতো। পার্কের ভেতর সৌন্দর্য বর্ধনের জন্য একদা যে ফোয়ারাগুলোর জন্ম হয় সেগুলোই যেন এখন সৌন্দর্যহানির বড় কারণ হয়ে দেখা দিচ্ছে। কেননা, এগুলোতে পরিকল্পনা অনুযায়ী স্বচ্ছ পানি টলমল করার কথা, যা কিছুদিন বর্তমান ছিল। কিন্তু দেশে প্রতিবছর বন্যা হলেও এগুলোর খরা যেন আর কাটে না। অধিকাংশ ফোয়ারার চৌবাচ্চাগুলো নোংরা ও সেঁতসেঁতে। বৃষ্টির পানি ছাড়া এগুলোর আর কোন পানির উত্স আছে বলে মনে হয় না। পার্কের পার্শ্বে পার্কেরই একটি অংশ হচ্ছে সেই মুঘল আমলের মসজিদ। মসজিদ আর পার্কের মাঝের বেষ্টনী ডিঙিয়ে অসংখ্য লোকজন প্রতিদিন পার্কে প্রবেশ করে। কেল্লায় প্রবেশের সময়সীমা শেষ হওয়ার পরও গার্ডদের সহযোগিতায় অনেকে ঢুকে পড়ে এর সীমানায়। পার্কের দক্ষিন দিকের উচুঁ অংশে সন্ধ্যার পর মাঝে মাঝে যা চোখে পড়ে তা বলার মত নয়। এর পাঁশ ঘেষে রয়েছে অনেক দালান-কোঠা যেখানে স্থানীয় বাসিন্দাদের বসবাস। সন্ধ্যার পরের দৃশ্যের জন্য তাদেরকে প্রায়ই অপ্রস্তুত অবস্থার মধ্যে পড়তে হয়। যাইহোক এখানে একটি বিরাট পুকুর রয়েছে যা আপনাদেরকে বলতে ভুলেই গিয়েছিলাম। এই পুকুরটি বড়ই করুন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। সর্বোপরি কর্তৃপক্ষের নিকট অনুরোধ, একটু নজর দিন আমাদের এই সাধের লালবাগের কেল্লাটির দিকে ।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি...
...বাকিটুকু পড়ুন তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-...
...বাকিটুকু পড়ুন সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
লিখেছেন
নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন