মুক্তিযুদ্ধ ও ধর্মনিরপেক্ষতা
আচমকা ধ্রুম্ ধ্রুম্ শব্দ। পাকিস্তানি হানাদার সশস্ত্র বাহিনী ঝাপিয়ে পড়েছে এদেশের নিরীহ জনতার উপর।
বাঙ্গালীরা প্রতিরোধ গড়ে তুলল। দীঘ নয় মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে হটিয়ে দিল বর্বর পাকিস্তানি হানাদারদের। তারা বাঙ্গালীদের কাছে আত্নসমর্পণ করল ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১। এর মধ্যে চলে অসংখ্য টগবগে যুবক, বৃদ্ধ, শিশুর প্রাণ, অসংখ্য মা-বোনের সম্ভ্রম। অনেক প্রাণ আর ইজ্জতের বিনিময়ে এ জাতি মুক্তি পেল পশ্চিম পাকিস্তানিদের শোষন, নিপীড়ন, অত্যাচার থেকে।
মূলত, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে মুক্তির এ যাত্রা শুরু হয়েছিল আরও অনেক আগে। ৫২ এর ভাষা আন্দোলন, ৬৬ সালে বঙ্গবন্ধুর দেয়া ৬ দফা, এরপর ১১ দফা সর্বোপরি ১৯৭১ সালের ৭-ই মার্চে তদানীন্তন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়াদী উদ্যান) বঙ্গবন্ধুর ভাষন এক এক করে জাতিকে নিয়ে গেছে মুক্তির সিংহ দরজায়। ১৬ ডিসেম্বর, ১৯৭১।
এই ৫২ থেকে ৭১ এর ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে কোন একটি জায়গায়ও কি আমরা "ধর্মনিরপেক্ষতা" এর কথা বলেছি । একটিবারও কি শব্দটি উচ্চারন করছি। আমরা চেয়েছি পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের শোষন থেকে মুক্তি।
কৃষক, শ্রমিক, তাতী, কামার, কুমার সহ খেটে খাওয় মানুষ কি সেদিন ধর্মনিরপেক্ষতা প্রতিস্ঠার জন্য প্রাণ বিসর্জন দিতে উদ্বুদ্ধ হয়েছিল। তারা তো "ধর্মনিরপেক্ষতা" বিষয়টি সম্পর্কে জানতই না। এর আগে কখনই শব্দটি তারা শোনে নাই।
বঙ্গবন্ধুর ডাকে আমরা যুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়েছিলাম। তিনি কি কখনো বলেছেন _ ভাইয়েরা আমার! ধর্মনিরপেক্ষতার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে তোমরা পাকিস্তানিদের বিরুদ্ধে যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়ো। বরং তিনি এদেশের অধিকার বহ্ঞ্চিত ও শোষিত মানুষের অধিকার আদয়ের জন্য, আমাদের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য, গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য ডাক দিয়েছিলেন।
তাহলে, কেন যুদ্ধের পড়ে এদেশের সংবিধানের মূলনীতি "ধর্মনিরপেক্ষতা" করার জন্য এত নগ্নতা?
কারো কাছে মূলনীতি "ধর্মনিরপেক্ষতা" হওয়ার পক্ষে কিছু জানা থাকলে যদি দয়া করে জানান, উপকৃত হব।
কুরসি নাশিন
সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে
তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ
১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন
কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা
গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন
সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে
সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।
কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।
ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।
যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন
বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!
যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।
কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!
ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন