somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হেফাজতিরা যদি গনজাগরনের কাউকে হাতের কাছে পাইত । গণজাগরণ মঞ্চ এবং হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের এদিক সেদিক । (আপডেট) ।

২২ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৩:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

গণজাগরণ মঞ্চ এবং হেফাজতে ইসলাম দুইটি সংগঠন এই মুহূর্তে আন্দোলন করছে । তাদের আদর্শ , উদ্দেশ্য , চিন্তা চেতনা, দাবী দাওয়া সব কিছুই ভিন্ন । আমি তাদের এই আন্দোলনের এই সমস্ত মোটিভ নিয়েও আলোচনা করব না । আমি চেষ্টা করব এই নিবন্ধে উভয়ের আন্দোলনের প্যাটার্ন অর্থাৎ গণজাগরণ মঞ্চ এবং হেফাজতে ইসলামের আন্দোলনের প্রক্রিয়া ,সোজা কথায় উভয়ের আন্দোলনের ধরন ধারন নিয়ে আমার আলোচনা সীমাবদ্ব রাখতে ।

প্রথমেই আসুন গণজাগরণ মঞ্চের কর্মসূচি গুলির দিকে আলোকপাত করি ।তারা সারা দেশে একযোগে নীরবতা পালন , জাতীয় পতাকা উড়ানো , জাতীয় সঙ্গীত গাওয়া ,মোম বাতি প্রজ্বলন, শহীদের উদ্দেশ্যে চিঠি লিখে বেলুনে বেধে আকাশে উড়ানো । তন্মধ্যে মোম বাতি প্রজ্বলন হিন্দুয়ানী , জাতীয় পতাকা এভাবে উড়ানোর এখতিয়ার এই সমস্ত কর্মসুচী নিয়ে বিতর্ক করা যেতে পারে ।এ ব্যাপারে সবার ভিন্ন ভিন্ন বক্তব্য থাকতে পারে আমারও আছে । আমি সে দিকে যাচ্ছি না ।তারা একটি হরতাল বা অবরোধও করেছে । আমার বক্তব্য হল এই সমস্ত কর্মসূচি পালন করতে তারা কারও উপর কোন বল প্রয়োগ বা জবরদস্তি করে নাই । গন জাগরণ মঞ্চ কোথায় কোন গাড়ীতে আগুন দেয় নাই , মানুষ পুড়িয়ে মারে নাই । মোট কথা তাদের আন্দোলনে কোথায় কোন প্যানিক সৃষ্টি হয় নাই । নারী, শিশু ,বৃদ্দ্ব সবায় দিনে রাতে শাহ বাগে গিয়েছে , দীর্ঘ দিন আন্দোলন চলছে কিন্তু কোন অঘটন ঘটে নাই ।

আর হেফাজতে ইসলাম একদিন শাপলা চত্বরে আসল ঢাকা তথা সারা বাংলাদেশ আতঙ্ক গ্রস্ত হয়ে পড়ল । মঞ্চে এবং মঞ্চের বাইরে ওদের যে আস্ফালন ,রক্ত চক্ষু বের করে বক্তৃতার যে মহড়া দেখলাম , শান্তির ধর্ম ইসলামের সাথে এটা কতটুকু খাপ খায় ? শশ্রুমণ্ডিত সফেদ পাঞ্জাবী পরিহিত পাড়ার মুরুব্বিদের দেখলে মনের অজান্তেই সালামের জন্য হাত উপরে উঠে আসত , আর বর্তমানে টিভিতে ওদের মুখ ভঙ্গি , অঙ্গভঙ্গি দেখে বাচ্চারা আতঙ্ক গ্রস্ত হয়ে পড়ে

নাম মনে নেই সেদিন খুলনায় হেফাজতের দীনে রেসালতের এক সম্মেলনে ঢাকার এক নেতা যে ভাবে দুহস্ত প্রসারিত করে গণজাগরণ মঞ্চ সম্পর্কে প্রবল বেগে মাথা দুলিয়ে চোখ রাঙিয়ে যে ভাবে বক্তব্য রাখছিলেন , যদি গণজাগরণ মঞ্চের কাউকে হাতের কাছে পেতেন তাহলে কি অবস্থা হত সেটা কল্পনা করতেও গা শিউরে উঠে ।

অথচ আমি ইমারন সরকারের সাথে হেফাজতের কর্মীদের সাক্ষাতের ছবি এবং একটা নিউজ তুলে ধরছি ।


হেফাজতের কর্মীদের সঙ্গে ইমরানের সাক্ষাত্

নিজস্ব প্রতিবেদক | তারিখ: ০৩-০৪-২০১৩

০ মন্তব্যপ্রিন্ট
ShareThis





« আগের সংবাদ

পল্টনে সমাবেশ শেষে হেফাজতে ইসলামের সমর্থক ও কর্মীরা দল বেঁধে শাহবাগ দিয়ে যাচ্ছিলেন। গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ডা. ইমরান এইচ সরকারসহ কয়েকজন ব্লগার তখন শাহবাগে অবস্থান করছিলেন। হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের দেখে ইমরান নিজ থেকেই এগিয়ে যান তাঁদের সঙ্গে কথা বলার জন্য। আজ বুধবার এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হেফাজতের কর্মীদের কাছে ইমরান জানতে চান, আপনারা কোথা থেকে ফিরলেন? এ সময় একজন কর্মী উত্তর দেন, ‘নাস্তিক ব্লগারদের শাস্তির দাবিতে মিছিলে গিয়েছিলাম।’ ইমরান এবার বলে ওঠেন, আচ্ছা, ব্লগার মানে কি জানেন? উত্তরে তাঁরা হেসে ‘না’ সূচক উত্তর দেন।
ইমরান এ সময় নিজের পরিচয় দিলে হেফাজতের কর্মীরা কিছুটা বিস্মিত হয়ে জানতে চান, ‘আপনিই ব্লগার ইমরান’? ইমরান তখন বলেন, ‘হ্যাঁ ভাই, আমি তো একজন মুসলমান। নামাজ পড়ি। আল্লাহর ওপরে আমার পূর্ণ বিশ্বাস ও আস্থা আছে।’
এরপর ইমরান হেফাজতের কর্মীদের উদ্দেশ করে বলেন, ‘মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) তো কাফেরদের সঙ্গেও আলোচনা করেছেন। কিন্তু আপনাদের হুজুর আমাদেরকে ভুল বুঝে আমাদের সঙ্গে আলোচনা করতে রাজি হচ্ছেন না। আপনাদের হুজুরকে গিয়ে বলবেন। আমরাও মুসলমান। আমরা ওনার সঙ্গে আলোচনা করে ভুল ভাঙাতে চাই। উনি যাতে আমাদের সেই সুযোগ দেন।’ এই অনুরোধের পর হেফাজতের কর্মীরা গণজাগরণ মঞ্চের এই মুখপাত্রকে আশ্বাস দেন যে, তাঁরা আল্লামা শাহ আহমেদ শাফির কাছে এই বার্তা পৌঁছে দেবেন।
এ প্রসঙ্গে ইমরান এইচ সরকার প্রথম আলোকে বলেন, ‘গণজাগরণ মঞ্চের কোনো বক্তৃতা ও আলোচনায় ইসলাম বা মহানবী (সা.) নিয়ে কোনো ধরনের কটূক্তি করা হয়নি। আমরা সব ধর্মের প্রতি শ্রদ্ধাশীল।’



বর্তমান প্রজন্মের বিরুদ্বে একটা অভিযোগ যে তারা আলেম ওলামাদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করে না । এ কথাটার সত্যতা কিছু না কিছু অবশ্যই আছে । কিন্তু দায়টা কার ? আগে মানুষ মুরগির প্রথম ডিমটা , গাছের প্রথম লাউটা মসজিদে দিত , কিন্তু এই রীতি রেওয়াজ আর এখন দেখিনা বললেই চলে । আমাদের ভাবতে হবে এই অবস্থার জন্য বর্তমান প্রজন্মের পাশাপাশি হুজুরদেরও কোন দায় ভার আছে কিনা ?

আর জামাতের কথা বাদই দিলাম । তাদের মানুষ পুড়ানো , গাড়ি পুড়ানো , ট্রেন লাইন উপরে ফেলা ,রাষ্ট্র যন্ত্রকে এইভাবে চ্যালেঞ্জ করে যে তাণ্ডব তারা চালাচ্ছে তা দেখে যদি কেউ দাড়ি টুপির ব্যপারে বিরূপ ধারনা পোষণ করে তাহলে এর দায় দায়িত্ব ধারনা পোষণ কারীর না ,আমি মনে করি এই দোষ সেই দাড়ি টুপি ওয়ালার । সে কেন দাড়ি টুপি পড়ে এই উন্মত্ত আচরণ করল ? দোষের মাত্রা আরও বেড়ে যায় যদি কেউ অপকর্ম ঢাকার জন্য দাড়ি টুপির আশ্রয় নেয় ।

আসুন যারা ধর্মের বিরুদ্বে লেখালেখি করে তাদের বিরুদ্বে প্রতিরোধ গড়ে তোলার পাশাপাশি আরও বেশী সোচ্চার হই তাদের বিরুদ্বে যারা ধর্মকে আশ্রয় করে তাদের হীন স্বার্থ চরিতার্থ করার পায়তারা করছে ।


আমি উপরে গণজাগরণ মঞ্চের কর্মীদের সাথে হেফাজত কর্মীদের একটি সাক্ষাতের বর্ণনা দিয়েছি । আজ আবার হেফাজতের কর্মীদের সাথে গণজাগরণ মঞ্চের আর একটি সাক্ষাতের বর্ণনা দেয়া হল ।


গণজাগরণ মঞ্চের সেবায় ধন্য অসুস্থ হেফাজত কর্মী ।
এখন আপনারাই তুলনামূলক বিচার করুন যারা নিজেদেরকে ইসলামের ঠিকাদার মনে করে তাদের আচার আচরণ আর যাদের নাস্তিক আখ্যা দিয়ে প্রতি নিয়ত মুণ্ডপাত করা হয় উভয়ের মধ্যে কে বা কারা ইসলাম শান্তির ধর্ম এই শাশ্বত বাণী লালন করে ।


সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:২৫
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×