হাকীম আল-মীযান
শিক্ষার ইংরেজি প্রতিশব্দ হলো: Education. যা Educare শব্দ থেকে এসেছে। এর অর্থ লালন করা। তাই অর্থগত ভাবে ব্যক্তি বা শিক্ষার্থীর যথার্থ লালন ও পরিচর্যার মাধ্যমে পরিপূর্ণ বিকাশ কার্যক্রমকেই শিক্ষা বা Education বলে।
ক্যান্ট বলেছেন; আদর্শ মনুষ্যত্বের বিকাশই হলো: শিক্ষা। তাই নেতিবাচক শিক্ষা মূলত: শিক্ষা হলেও আদর্শগত দিক বিবেচনা করলে শিক্ষা বলা যায় না। শিক্ষা আনুষ্ঠানিক, অনানুষ্ঠানিক এবং উপ-আনুষ্ঠানিক উপায়ে অর্জন করা যেতে পারে।
শিক্ষার বহুবিধ সঙ্গা থেকে মূল কথাটা এরূপ: যা দ্বারা ব্যক্তির আচরণের স্থায়ী পরিবর্তন ঘটে কিন্তু তা হতে হবে সমাজ কাঙ্খিত এবং ইতিবাচক। এ পরিবর্তনটা ঘটে মূলত: ৩টি ক্ষেত্রে: ১। জ্ঞান (Knowledge) ২। দক্ষতা (Skill) এবং ৩। দৃষ্টি ভঙ্গি (Attitude) এর ক্ষেত্রে।
উদাহরণ স্বরূপ: একজন ব্যক্তি ভালো চাষা-বাদ করতে জানেন কিন্তু অক্ষর জ্ঞান সম্পন্ন না হওয়ায় তাকে আমরা নিরক্ষর মানুষ বলে থাকি। পুস্তকগত বিদ্যার ক্ষেত্রে শিক্ষিত বা জ্ঞানী বলে বিবেচনা করতে পারি না। প্রচুর মাষ্টার্স পাশ কিন্তু সে মানের জব পাই না। এখানে স্কিল এর অভাব থাকে। স্কিল আছে কিন্তু মানবতা নাই, দেশপ্রেম নাই। এখানে দৃষ্টি ভঙ্গি তথা Attitude এ সমস্যা।
ব্লুম তার Taxonomy of educational objectives গ্রন্থে শিক্ষা তথা শিখন উদ্দেশ্যগুলোকে তিনটি ডোমেইন বা ক্ষেত্রে ভাগ করেছেন। তা হলো: ১। জ্ঞানগত ক্ষেত্র তথা জ্ঞান, অনুধাবন, প্রয়োগ, এবং উচ্চতর দক্ষতা। ২। মনোপেশিজ তথা মন ও পেশি দক্ষতা। ৩। আবেগিক ক্ষেত্র তথা মূল্যবোধ সৃষ্টি।
উপরোক্ত থিউরি এটাই প্রমাণ করে যে; শিক্ষা ক্ষেত্রে জ্ঞান, দক্ষতা ও দৃষ্টিভংগির বিকাশ অপরিহার্য।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১:০৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




